Probhat Songeet and sondhya Songeet by Rabindranath Tagore

                      

                                  দৃষ্টি 

বুঝি গো সন্ধ্যার কাছে                শিখেছে সন্ধ্যার মায়া 
                          ওই আঁখিদুটি ,
চাহিলে হৃদয় পানে                      মরমেতে পরে ছায়া ,
                        তারা উঠে ফুটি ।
আগে কে জনিত বলো                কত কি লুকানো ছিল 
                         হৃদয়নিভৃতে --
তোমার নয়ন দিয়া                    আমার নিজের হিয়া 
                      পাইনি দেখিতে ।
কখনো গাও নি তুমি ,                 কেবল নীরবে রহি 
                       শিখায়েছ গান -
স্বপ্নময় শান্তিময়                         পুরোবিরাগিণীতানে 
                      বাঁধিয়েছ প্রাণ ।
আকাশের পানে চাই,                   সে সুরে গান গাই 
                      একেলা বসিয়া ।
একে একে সুরগুলি                      অনন্তে হারায়ে যায় 
                     আঁধারে পশিয়া ।।



                          সৃষ্টি স্থিতি প্রলয় 

দেশশূন্য কালশুন্য জ্যোতিঃশুন্য  মহাশূন্য - 'পরি
               চতুর্মুখ করিছেন ধ্যান ।
     সহসা আনন্দসিন্ধু হৃদয়ে উঠিল উথলিয়া ,
              আদিদেব খুলিলা নয়ান ।
              চারি মুখে বাহিরিল বাণী ,
              চারি দিকে করিল প্রয়াণ ।
              সীমাহারা মহা-অন্ধকারে
              সীমাশূন্য ব্যোমপরিবারে
              প্রাণপূর্ণ ঝটিকার মতো ,
              আশাপূর্ণ অতৃপ্তির প্রায় ,
              সঞ্চারিতে লাগিল সে ভাষা ।।

আনন্দের আন্দোলনে               ঘন ঘন বহে শ্বাস ,
            অষ্ট নেত্রে বিস্ফুরিল জ্যোতি ।
জ্যোতির্ময় জটাজাল               কোটিসূর্যপ্রভা বহি
             দিগ্বিদিকে পড়িল ছড়ায়ে ।।

                জগতের গঙ্গোত্রিশিখর হ্বতে
                                      শত শত স্রোতে
                উচ্ছসিল অগ্নিময় বিশ্বের নির্ঝর,
                                   স্তব্ধতার পাষাণহৃদয়
                                   শত ভাগে গেল বিদীরিয়া ।।

               নূতন সে প্রাণের উল্লাসে
               নূতন সে প্রাণের উচ্ছ্বাসে
               বিশ্ব যবে হয়েছে উন্মাদ ,
               অনন্ত আকাশে দাঁড়াইয়া
               চারি দিকে চারি হাত দিয়া
               বিষ্ণু আসি কৈলা আশীর্বাদ ।
               লইয়া মঙ্গলশঙ্খ করে
               কাঁপায়ে জগৎ-চরাচরে
               বিষ্ণু আসি কৈলা শংখনাদ ।
               থেমে এলো প্রচন্ড কল্লোল,
               নিতে এল জ্বলন্ত উচ্ছ্বাস,
               গ্রহগণ নিজ অশ্রুজলে
               নিভাইল নিজের হুতাশ ।
               জগতের মহাবেদব্যাস
               গঠিলা নিখিল-উপন্যাস ,
               বিশৃঙ্খল বিশ্বগীতি লয়ে
               মহাকাব্য করিলা রচন ।
               চক্রপথে ভ্রমে গ্রহ তারা ,
               চক্রপথে রবি শশী ভ্রমে,
              শাসনের গদা হস্তে লয়ে
              চরাচর রাখিলা নিয়মে ।
               মহাছন্দ মহা-অনুপ্রাস
               শূন্যে শূন্যে বিস্তারিল পাশ ।।

               অতল মানস সরোবরে
              বিষ্ণুদেব মেলিল নয়ন ।
              আলোককমলদল হতে
              উঠিল অতুল রূপরাশি ।
              ছড়ালো লক্ষীর হাসিখানি --
              মেঘেতে ফুটিল ইন্দ্রধনু,
              কাননে ফুটিল ফুলদল ।
              জগতের মত্ত কোলাহল
              রাগিণীতে হল অবসান ।
              কোমলে কঠিন লুকাইল ,
              শক্তিরে ঢাকিল রূপরাশি ।।

মহাছন্দে বন্দী হল যুগ-যুগ-যুগ-যুগান্তর--
             অসীম জগৎ চরাচর
             অবশেষে শ্রান্তকলেবর,
             নিদ্রা আসে নয়নে তাহার,
             আকর্ষণ হতেছে শিথিল,
             উত্তাপ হতেছে একাকার ।
             জগতের প্রাণ হতে
             উঠিল আকুল আর্তস্বর --
             'জাগো জাগো জাগো মহাদেব,
             অলঙ্ঘ্য নিয়ম পথে ভ্রমি
             হয়েছে বিশ্রান্ত কলেবর,
             আমারে নুতন দেহ দাও ।
             গাও, দেব, মরণসংগীত --
             পাব মোরা নুতন জীবন ।'

             জাগিয়া উঠিল মহেশ্বর ,
             তিন কাল  ত্রিনয়ন মেলি
             হেরিলেন দিক-দিগন্তর ।
প্রলয় পিনাক তুলি                    করে ধরিলেন শূলী
              পদতলে জগৎ চাপিয়া,
জগতের আদি অন্ত                   থরথর থরথর
                      উঠিল কাঁপিয়া ।
ছিঁড়িয়া পড়িয়া গেল জগতের সমস্ত বাঁধন ।
উঠিল অসীম শূন্যে গরজিয়া তরঙ্গিয়া
ছন্দোমুক্ত জগতের উন্মত্ত আনন্দকোলাহল ।
              মহাঅগ্নি উঠিল জ্বলিয়া --
              জগতের মহাচিতানল ।
খন্ড খন্ড রবি শশী,                 চূর্ন চূর্ন গ্রহ তারা
               বিন্দু বিন্দু আঁধারের মতো
               বরষিছে চারি দিক হতে,
               অনলের তেজোময় গ্রাসে
               মুহূর্তেই যেতেছে মিশায়ে ।
               সৃজনের আরম্ভ-সময়ে
               আছিল অনাদি অন্ধকার,
               সৃজনের ধ্বংস-যুগান্তরে
               রহিল অসীম হুতাশন ।
অনন্ত আকাশ গ্রাসী অনলসমুদ্র মাঝে
               মহাদেব মুদি ত্রিনয়ান
               করিতে লাগিলা মহাধ্যান ।।




                      নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ 


আজি এ প্রভাতে রবির কর
              কেমনে পশিল প্রাণের 'পর
      কেমনে পশিল গুহার আঁধারে প্রভাত পাখির গান !
 না জানি কেনরে এতো দিন পরে জাগিয়া উঠিল প্রাণ।
                  জাগিয়া উঠেছে প্রাণ,
         ওরে উথলি উঠিছে বারি,
ওরে প্রাণের বাসনা প্রাণের আবেগ রুধিয়া রাখিতে নারি।
                  থর থর করি কাঁপিছে ভূধর
                  শিলা রাশি রাশি পড়িছে খসে
                  ফুলিয়া ফুলিয়া ফেনিল সলিল
                  গরজি উঠিছে দারুন রোষে
                  হেথায় হেথায় পাগলের প্রায়
                  ঘুরিয়া ঘুরিয়া মাতিয়া বেড়ায় -
বাহিরিতে চায়, দেখিতে না পায় কোথায় কারার দ্বার।
                  কেন রে বিধাতা পাষান হেন,
                  চারিদিকে তার বাঁধন কেন !
                  ভাঙ রে হৃদয় , ভাঙ রে বাঁধন,
                  সাধ রে আজিকে প্রাণের সাধন
                  লহরির পরে লহরী তুলিয়া
                  আঘাতের 'পরে আঘাত কর।
                  মাতিয়া যখন উঠেছে পরান
                  কিসের আঁধার কিসের পাষাণ !
                  উথলি যখন উঠেছে বাসনা
                  জগতে তখন কিসের ডর !

                 আমি  ঢালিব করুনাধারা
                 আমি ভাঙিব পাষাণকারা
                 আমি জগৎ প্লাবিয়া বেড়াব  গাহিয়া
                            আকুল পাগল-পারা
                 কেশ এলাইয়া, ফুল কুড়াইয়া,
                 রামধনু-আঁকা পাখা উড়াইয়া,
রবির কিরণে হাসি ছড়াইয়া দিবো রে পড়ান ঢালি।
                 শিখর হইতে শিখরে ছুটিব
                 ভূধর হইতে ভূধরে লুটিব ,
হেসে খলখল গেয়ে কলকল তালে তালে দিব তালি।
এত  কথা আছে , এত গান আছে , এত প্রাণ আছে মোর,
এতো সুখ আছে , এতো সাধ আছে - প্রাণ হয়ে আছে ভোর ।।
কি জানি কি হলো আজি, জাগিয়া উঠিল প্রাণ -
দূর হতে শুনি যেন মহাসাগরের গান।
                  ওরে, চারিদিকে মোর
                  এ কী কারাগার ঘোর -
ভাঙ ভাঙ ভাঙ কারা , আঘাতে আঘাত কর।
ওরে আজ           কি গান গেয়েছে পাখি,
                        এসেছে রবির কর ।।




          প্রভাত-উৎসব 

হৃদয় আজি মোর কেমনে গেল খুলি ,
জগৎ আসি সেথা করিছে কোলাকুলি ।
প্রভাত হল যেই কিজানি কি হল একি ,
আকাশ-পানে চাই কি জানি কারে দেখি ।।

পুরব মেঘ মুখে পড়েছে রবিরেখা ,
অরুনরথচূড়া আধেক যায় দেখা ।
তরুণ আলো দেখে পাখির কলরব ,
মধুর আহা কিবা মধুর মধু সব ।।

আকাশ, 'এসো এসো ' ডাকিছ বুঝি ভাই --
গেছি তো তোরি বুকে , আমি তো হেথা নাই ।
প্রভাত-আলো-সাথে ছড়ায় প্রাণ মোর ,
আমার প্রাণ দিয়ে ভরিব প্রাণ তোর ।।

ওঠো হে ওঠো রবি, আমারে তুলে লও ,
অরুণতরী তব পুরবে ছেড়ে দাও ।
আকাশ পারাবার বুঝি হে পার হবে --
আমারে লও তবে, আমারে লও তবে ।।

Konika by Rabindranath Tagore

কণিকা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 

হাতে কলমে 

বোলতা কহিল এ যে ক্ষুদ্র মৌচাক ,
এরই তরে মধুকর এতো করে জাক !
মধুকর কহে তারে, তুমি এস ভাই ,
আরো ক্ষুদ্র মৌচাক রচো দেখে যাই ।।



গৃহভেদ

 আম্র কহে, একদিন , হে মাকাল ভাই,
আছিনু বনের মধ্যে সমান সবাই ;
মানুষ লইয়া এল আপনার রুচি --
মূল্যভেদ শুরু হল সাম্য গেল ঘুচি ।।


গরজের আত্মীয়তা 

কহিল ভিক্ষার ঝুলি টাকার থলিরে ,
আমরা কুটুম্ব দোঁহে ভুলে গেলি কি রে ?
থলি বলে, কুটুম্বিতা তুমিও ভুলিতে
আমার যা আছে গেলে তোমার ঝুলিতে ।।


কুটুম্বিতা 

কেরোসিন শিখা বলে মাটির প্রদীপে ,
ভাই বলে ডাকো যদি দেব গলা টিপে ।
হেনকালে গগনেতে উঠিলেন চাঁদা ;
কেরোসিন বলি উঠে , এস মোর দাদা ।।


উদারচরিতানাম 

প্রাচীরের ছিদ্রে এক নামগোত্রহীন
ফুটিয়াছে ফুল এক অতিশয় দীন ।
ধিক-ধিক করে তারে কাননে সবাই ;
সূর্য উঠি বলে তারে , ভালো আছো ভাই ?।


অসম্ভব ভালো

যথাসাধ্য ভালো বলে, ওগো আরো-ভালো ,
কোন স্বর্গপুরী তুমি করে থাকো আলো ?
আরো-ভালো কেঁদে কহে, আমি থাকি হায়
অকর্মন্য দাম্ভিকের অক্ষম ঈর্ষায় ।।


প্রত্যক্ষ প্রমান 

বজ্র কহে , দূরে আমি থাকি যতক্ষণ
আমার গর্জন বলে মেঘের গর্জন ,
বিদ্যুতের জ্যোতি বলি মোর জ্যোতি রটে ,
মাথায় পড়িলে তবে বলে -- 'বজ্র বটে !'


ভক্তিভাজন

রথযাত্রা , লোকারণ্য, মহাধুমধাম --
ভক্তেরা লুটায়ে পথে করিছে প্রণাম ।
পথ ভাবে 'আমি দেব' রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব' -- হাসে অন্তর্যামী ।।


উপকারদম্ভ 

শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ্ করি শির ,
লিখে রেখো, এক ফোঁটা দিলাম শিশির ।।


সন্দেহের কারণ 

'কতো বড়ো আমি ' কহে নকল হীরাটি ।
তাই তো সন্দেহ করি নহ ঠিক খাঁটি ।।


অকৃতজ্ঞ 

ধ্বনিটিরে প্রতিধ্বনি সোডা ব্যাঙ্গ করে ,
ধ্বনি কাছে ঋণী সে যে পাছে ধরা পড়ে ।।


নিজের ও সাধারণের

চন্দ্র কহে, বিশ্বে আলো দিয়েছি ছড়ায়ে ,
কলঙ্ক যা আছে তাহা আছে মোর গায়ে ।।


মাঝারির সতর্কতা 

উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে ,
তিনিই মধ্যম যিনি চলেন তফাতে ।।


নতিস্বীকার 

তপন-উদয়ে হবে মহিমার ক্ষয় ,
তবু প্রভাতের চাঁদ শান্তমুখে কয় ,
অপেক্ষা কোরিয়া আছি অস্তসিন্ধুতীরে
প্রণাম করিয়া যাব উদিত রবিরে ।।

কর্তব্যগ্রহণ 

কে লইবে মোর কার্য , কহে সন্ধ্যারবি --
শুনিয়া জগৎ রহে নিরুত্তর ছবি ।
মাটির প্রদীপ ছিল সে কহিল স্বামী ,
আমার যেটুকু সাধ্য করিব তা আমি ।।


ধ্রুবাণি তস্য নশ্যন্তি 

রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা ।।


মোহ 

নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিশ্বাস ,
ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস ।
নদীর ওপার বসি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে --
কহে, যাহা কিছু সুখ সকলই ও পারে ।।

ফুল ও ফল 

ফুল কহে ফুকারিয়া , ফল ওরে ফল ,
কতদূরে রয়েছিস বল মোর বল !
ফল কহে মহাশয় কেন হাঁকাহাঁকি --
তোমারি অন্তরে আমি নিরন্তর থাকি ।।


প্রশ্নের অতীত

হে সমুদ্র, চিরকাল কী তোমার ভাষা ?
সমুদ্র কহিল মোর অনন্ত জিজ্ঞাসা ।
কিসের স্তব্ধতা তব ওগো গিরিবর ?
হিমাদ্রি কহিল, মোর চিরনিরুত্তর ।।


মোহের আশংকা 

শিশু পুস্প আঁখি মেলি হেরিল এ ধরা  --
শ্যামল, সুন্দর, স্নিগ্ধ, গীত-গন্ধ ভরা ;
বিশ্বজগতেরে ডাকি কহিল - হে প্রিয়,
আমি যতকাল থাকি তুমিও থাকিয়ো ।।


চালক 

অদৃষ্টেরে শুধালেম, চিরদিন পিছে
অমোঘ নিষ্ঠুর বলে কে মোরে ঠেলিছে ?
সে কহিল, ফিরে দেখো । দেখিলাম থামি ,
সম্মুখে ঠেলিছে মোরে পশ্চাতের আমি ।।


এক পরিণাম 

শেফালি কহিল, আমি ঝরিলাম তারা !
তারা কহে, আমারো তো হল কাজ সারা --
ভরিলাম রজনীর বিদায়ের ডালি
আকাশের তারা আর বনের শেফালি ।।


~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~




Drawing tutorial 032 - Drawing hands

Drawing hands is probably considered as one of the most difficult anatomical features for any artist. That is partially because of the complex anatomy of the hands and partially because of so many different shapes that a hand can take each of which can look different from different angles thus taking the variation to challengingly difficult numbers. It is hard to remember so many shapes and render it accurately.

But here is good news !! With some good method to draw and some practice, hand drawing can be breeze. Here we shall learn to draw hands by knowing basic shapes that are its building blocks and then adding features to the basic building blocks.

Palm of the hand is almost a flat rectangle. The side towards the little finger is bulging outward a  little. Also, the base of the thumb is outside the base rectangle. The top is also not straight. It curves upward, the base of middle finger being top point of the curve. The dorsal side is little bulging outside and the anterior side is little concave.These are shown in the following illustration.

Bogamati - new destination for picnic goers in Assam- a leisure trip to chill out



We heard about Bogamati as a picnic spot from some two years back and in recent times we heard it even more frequently as an attraction for picnic goers. Before the Bihu Holidays therefore Baruah Sir came to me and asked if I wanted to accompany him for a trip to Bogamati. I replied in affirmative instantly knowing that four days at home with only work would become boring and a trip anywhere will be refreshing.

Bogamati is situated in (Indo-) Bhutan border around 80 km north of Guwahati. There is no railway connectivity towards that north from Guwahati and therefore the best way to reach the place is on road. The location is now in Baksa district of BTAD and has seen some infra development during the Hagrama regime. The road is good upto the spot and anyone with a smartphone can reach the place. But be aware ! Your mobile network will not work there and it is advised to note the same before you move towards this place.

After crossing Naokata, the large yards to beetle nut trees captivates the visitor's eyes. Its beetle nut trees everywhere. Grown up trees bearing fruits, young trees and saplings all over the place gives a soothing green background to the villages by the side of the pitch road. Road being good, the drive is a charming one.

After a drive of around 80 km with a halt at Baihata Chariali we reached the spot at around twelve. The spot for picnic is located by the side of Lokhaitora river which is more widely known as Puthimari river in the plains. Water was at its lowest presumably due to the winter season that was just over. A few pre-monsoon showers haven't added to the rivers vigour it seemed. But the cool and clear water was enough to captivate any person who loves nature. The administration recently created a parking lot but was completely empty as there was no picnic goer except a group of youths. 

Clear water, white pebbles and a blue sky - a place called Bogamati

We parked the car, had some light snacks that we took with us and then headed towards the water. The water streams had gone slim and a vast width of the river bed was just sand and mud. It seemed the stream carries a lot of mud too which settles down below the water making it slippery and very very difficult to walk. We carefully walked through the stream and went to the main water stream. I was surprised to see that peoples of the nearby villages were fishing in the stream with currents and that too with a fishing net. A group was also using eletrofishing to catch fish legality of which is questionable.

The group(sans author)


We took long bath in the cool water. It felt amazing to get the cold water flowing over your body and quickly dried by sun one out of water. For a long time we played with water and enjoyed the soothing bath. After the bath was over, we started collecting pebbles and boulders of our choice for decorating gardens and others ornamental uses. Baruah Sir, a collector of pebbles for decorating his garden in front of his house,  docked huge boulders in the car's dicky. The rocks thus loaded in the dickey at one point seemed would bend the dickey's floor but somehow it did not give away. The powerful engine of the car dragged out the 'payload' from the river bank to the road through bumpy patches of the rocky trail.

The author enjoying a refreshing bath

We had our late lunch at around four in the afternoon at a highway dhaba near Baihata Chariali and returned to City refreshed by nature. 



Noibedyo - Rabindranath Tagore - নৈবেদ্য - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

                জনারণ্য 

মধ্যাহ্নে নগর মাঝে পথ হতে পথে
কর্মবন্যা ধায় যবে উচ্ছলিত স্রোতে
শত শাখা প্রশাখায় নগরের নাড়ী
উঠে স্ফীত তপ্ত হয়ে, নাচে সে আছাড়ি
পাষাণভিত্তির 'পরে  - চৌদিক আকুলি
ধায় পান্থ, ছুটে রথ , উড়ে শুস্ক ধূলি –
তখন সহসা হেরি মুদিয়া নয়ন
মহাজনারণ্য-মাঝে অনন্ত নির্জন
তোমার আসনখানি, কোলাহল মাঝে
তোমার নিঃশব্দ সভা নিস্তব্ধে বিরাজে ।
সব দুঃখে , সব সুখে , সব ঘরে ঘরে ,
সব চিত্তে সব চিন্তা সব চেষ্টা- 'পরে
যত দূর দৃষ্টি যায় শুধু যায় দেখা ,
হে সঙ্গবিহীন দেব ,  তুমি বসি একা ।।



                  স্তব্ধতা

আজি হেমন্তের শান্তি ব্যাপ্ত চরাচরে ।
জনশূন্য ক্ষেত্র মাঝে দীপ্ত দ্বিপ্রহরে
শব্দহীন গতিহীন স্তব্ধতা উদার
রয়েছে পড়িয়া শ্রান্ত দিগন্ত প্রসার
স্বর্ণশ্যাম ডানা মেলি । ক্ষীণ নদীরেখা
নাহি করে গান আজি , নাহি  লেখে লেখা
বালুকার তটে । দূরে দূরে পল্লী যত
মুদ্রিত নয়নে রৌদ্র পোহাইতে রত ,
নিদ্রায় অলস, ক্লান্ত ।।
               এই স্তব্ধতায়
শুনিতেছি তৃণে তৃণে ধুলায় ধুলায় ,
 রোমে রোমে, লোকে লোকান্তরে
গ্রহে সূর্যে তারকায় নিত্যকাল ধ'রে
অনুপরমাণুদের নৃত্যকলরোল –
তোমার আসন ঘেরি অনন্ত কল্লোল ।।


                 সফলতা 

 মাঝে মাঝে  কতবার ভাবি, কর্মহীন
আজ  নষ্ট হল বেলা , নষ্ট হল দিন ।
নষ্ট হয় নাই, প্রভু , সে  সকল ক্ষণ –
আপনি তাদের তুমি করেছ গ্রহণ
ওগো অন্তর্যামী দেব ! অন্তরে অন্তরে
গোপনে প্রচ্ছন্ন রহি কোন অবসরে
বিজেরে অংকুর রূপে তুলেছ জাগায়ে,
মুকুলে প্রস্ফুট-বর্ণে দিয়েছ রাঙায়ে ।
ফুলেরে করেছ ফল রসে সুমধুর ,
বীজে পরিণত গর্ভ । আমি নিদ্রাতুর
আলস্য শয্যার 'পরে শ্রান্তিতে মরিয়া
ভেবেছিনু সর্বকর্ম রহিল পড়িয়া ।।

প্রভাতে জাগিয়া উঠি মেলিনু নয়ন ;
দেখিনু, ভরিয়া আছে  কানন ।।


                 প্রাণ 

 এ আমার শরীরের শিরায় শিরায়
যে প্রাণ তরঙ্গমালা  রাত্রিদিন ধায় 
সেই প্রাণ চুতিয়াছে বিশ্বদিগ্বিজয়ে ,
সেই প্রাণ অপরূপ ছন্দে তালে লয়ে
নাচিছে ভুবনে, সেই প্রাণ চুপে চুপে
বসুধার মৃত্তিকার প্রতি রোমকূপে
লক্ষ লক্ষ তৃণে তৃণে সঞ্চারে হরষে ,
বিকাশে পল্লবে পুষ্পে, বরষে বরষে
বিশ্বব্যাপী জন্মমৃত্যু-সমূদ্র-দোলায়
দুলিতেছে অন্তহীন জোয়ার-ভাঁটায় ।
করিতেছি অনুভব, সে অনন্ত প্রাণ
অঙ্গে অঙ্গে আমারে করেছে মহীয়ান ।।

সে যুগ যুগান্তরের বিরাট স্পন্দন
আমার নাড়ীতে আজি করিছে নর্তন ।।


                   দেহলীলা 

দেহে আর মনে প্রাণে হয়ে একাকার
একি অপরূপ লীলা এ অঙ্গে আমার ।।
একি জ্যোতি , একি ব্যোম দীপ্ত-দীপ -জ্বালা –
দিবা আর রজনীর শিরোনাট্যশালা ।
একি শ্যাম বসুন্ধরা – সমুদ্রে  চঞ্চল,
পর্বতে কঠিন, তরু-পল্লবে কোমল,
অরণ্যে আঁধার ! একি বিচিত্র বিশাল
অবিশ্রাম রচিতেছে সৃজনের জাল
আমার ইন্দ্রিয়যন্ত্রে ইন্দ্রজালবৎ !
প্রত্যেক প্রাণীর মাঝে অনন্ত জগৎ ।।

তোমারি মিলনশয্যা, হে মোর রাজন,
ক্ষুদ্র এ আমার মাঝে অনন্ত আসন
অসীম, বিচিত্র, ক্লান্ত । ওগো বিশ্বভূপ ,
দেহে মনে প্রাণে আমি একি অপরূপ ।।



                    মুক্তি 

বৈরাগ্যসাধনে মুক্তি, সে আমার নয় ।।

অসংখ বন্ধনমাঝে মহানন্দময়
লভিব মুক্তির স্বাদ ! এই বসুধার
মৃত্তিকার পাত্রখানি ভরি বারম্বার
তোমার অমৃত ঢালি দিবে অবিরত
নানা বর্ণগন্ধময় । প্রদীপের মতো
 সংসার মোর লক্ষ বর্তিকায়
জ্বালায়ে তুলিবে আলো তোমারি শিখায়
তোমার মন্দির-মাঝে ।।

                              ইন্দ্রিয়ের দ্বার
রুদ্ধ করি যোগাসনে, সে নহে আমার ।
যে-কিছু আনন্দ আছে দৃশ্যে গন্ধে গানে
তোমার আনন্দ রবে তার মাঝখানে ।।

মোহ মোর মুক্তিরূপে উঠিবে জ্বলিয়া ,
প্রেম মোর ভক্তিরূপে রহিবে ফলিয়া ।।



               অজ্ঞাতে 

তখন করিনি নাথ,কোনো  আয়োজন ।
 বিশ্বের সবার সাথে,  হে বিশ্বরাজন ,
অজ্ঞাতে আসিতে হাসি আমার অন্তরে
কত শুভদিনে ; কত মুহূর্তের 'পরে
অসীমের চিহ্নে  লিখে গেছ ! লই তুলি
তোমার-স্বাক্ষর-আঁকা সেই ক্ষণগুলি –
দেখি তারা স্মৃতি-মাঝে আছিল ছড়ায়ে
কত-না ধুলির সাথে আছিল জড়ায়ে
ক্ষনিকের কত তুচ্ছ  সুখ দুঃখ ঘিরে ।।

হে নাথ , অবজ্ঞা করি যাও নাই ফিরে
আমার এ  ধুলাস্তুপ খেলাঘর দেখে
খেলা-মাঝে শুনিতে পেয়েছি থেকে থেকে
যে চরণধ্বনি, আজ শুনি তাই বাজে
জগৎ সংগীত সাথে চন্দ্রসূর্য - মাঝে ।


              অপরাহ্নে

প্রভাতে যখন শঙ্খ উঠেছিল বাজি
তোমার প্রাঙ্গণতলে, ভরি লয়ে সাজি
চলেছিল নরনারী তোয়াগিয়া ঘর
নবীন শিশিরসিক্ত গুঞ্জনমুখর
স্নিগ্ধ বনপথ দিয়ে । আমি অন্যমনে
সঘনপল্লবপুঞ্জ ছায়াকুঞ্জবনে
ছিনু শুয়ে তৃণাস্তীর্ণ তরঙ্গীনিতীরে
বিহঙ্গের কলগীতে , সুমন্দ সমীরে ।।

আমি যাই নাই দেব, তোমার পূজায় –
চেয়ে দেখি নাই পথে করা চলে যায় ।
আজি ভাবি, ভালো হয়েছিল  মোর ভুল –
তখন কুসুমগুলি আছিল মুকুল ।।

হিরো আজি সারাদিনে  ফুটিতেছে আজি ।
অপরাহ্নে ভরিলাম এ পূজার সাজি ।।


                প্রতীক্ষা 

হে রাজেন্দ্র, তব হাতে কাল অন্তহীন ।
গণনা কেহ না করে ; রাত্রি আর দিন
 আসে যায় , ফুটে ঝরে যুগযুগান্তরা ।
বিলম্ব নাহিক তব , নাহি তবে ত্বরা –
প্রতীক্ষা করিতে জানো । শতবর্ষ ধরে
একটি পুষ্পের কলি ফুটাবার তরে
চলে তব ধীর আয়োজন । কাল নাই
আমাদের হাতে ;  কাড়াকাড়ি করে তাই
সবে মিলি ;  কারো নাহি সহে কভু ।।

আগে তাই সকলের সব সেবা , প্রভু ,
শেষ করে দিতে দিতে কেটে যায় কাল ,
শূন্য পরে থাকে হায় তব পুজাথাল ।।

অসময়ে ছুটে আসি , মনে বাসি ভয় –
এসে দেখে যায় নাই তোমার সময় ।।



                অপ্রমত্ত 

যে ভক্তি তোমারে লয়ে  ধৈর্য নাহি মানে ,
মুহূর্তে বিহ্বল হয় নৃত্যগীতগানে
ভাবোন্মত্ততায়, সেই জ্ঞানহারা
উদভ্রান্ত উচ্চলফেন ভক্তিমদধারা
নাহি চাহি নাথ ।।

                        দাও ভক্তি , শান্তিরস ,
স্নিগ্ধ সুধা পূর্ণ করি মঙ্গলকলস
সংসার ভবনদ্বারে । যে ভক্তি-অমৃত
সমস্ত জীবনে মোর  বিস্তৃত
নিগূঢ় গভীর – সর্ব কর্মে বল,
ব্যর্থ শুভচেষ্টারেও করিবে সফল
আনন্দ কল্যাণে । সর্ব কর্মে দিবে তৃপ্তি ,
সর্ব দুঃখে দিবে ক্ষেম , সর্ব  দীপ্তি
দাহহীন ।।
             সম্বরিয়া ভাব-অশ্রুনীর
চিত্ত রবে পরিপূর্ণ, অমত্ত, গম্ভীর ।।



                  দীক্ষা 

আঘাতসংঘাত মাঝে দাঁড়াইনু আসি ।
অঙ্গদ কুন্ডল কন্ঠী  অলংকাররাশি
খুলিয়া ফেলেছি দূরে । দাও হস্তে তুলি
নিজ হাতে তোমার অমোঘ শরগুলি,
তোমার অক্ষয় তূণ অস্ত্র দীক্ষা
রণগুরু ! তোমার প্রবল পিতৃস্নেহ
ধ্বনিয়া উঠুক আজি কঠিন আদেশে ।।

করো মোরে সম্মানিত নববীরবেশে ,
দুরূহ কর্তব্যভারে, দুঃসহ কঠোর
বেদনায় ! পরাইয়া দাও অঙ্গে মোর
ক্ষতচিহ্ন অলংকার । ধন্য করো দাসে
সফল চেষ্টায় আর নিষ্ফল প্রয়াসে ।
ভাবের ললিত ক্রোড়ে না রাখি নিলীন
কর্মক্ষেত্রে করে দাও সক্ষম স্বাধীন ।।



                   ত্রাণ 

এ দুর্ভাগ্য দেশ হতে , হে মঙ্গলময় ,
দূর করে দাও তুমি সর্ব তুচ্ছ ভয় –
লোকভয় , রাজভয়, মৃত্যুভয় আর ।
দীনপ্রান দুর্বলের এ পাষাণভার ,
এই চিরপেষণযন্ত্রনা , ধূলিতলে
এই নিত্য অবনতি , দন্ডে পলে পলে
এই আত্ম অবমান , অন্তরে বাহিরে
এই দাসত্বের রজ্জু , ত্রস্ত নতশিরে
সহস্রের পদপ্রান্ততলে বারম্বার
মনুষ্যমর্যাদাগর্ব চিরপরিহার –
এ বৃহৎ লজ্জারাশি চরণ-আঘাতে
চূর্ণ করি দূর করো । প্রভাতে
মস্তক তুলিতে দাও অনন্ত আকাশে
উদার আলোক মাঝে, উন্মুক্ত বাতাসে ।।



                ন্যায়দন্ড

তোমার ন্যায়ের দণ্ড প্রত্যেকের করে
অর্পণ করেছো নিজে, প্রত্যেকের 'পরে
দিয়েছ শাসনভার হে রাজাধিরাজ !
সে গুরু সন্মান তব, সে দুরূহ কাজ
নমিয়া তোমারে যেন শিরোধার্য করি
সবিনয়ে ; তব কার্যে যেন নাহি ডরি
কভু কারে ।।

               ক্ষমা যেথা ক্ষীণ দুর্বলতা ,
হে রুদ্র , নিষ্ঠুর যেন হতে পারি তথা
তোমার আদেশে । যেন রসনায় মম
সত্যবাক্য ঝলি উঠে খড়খড়্গ সম
তোমার ইঙ্গিতে । জন রাখি তব মান
তোমার বিচারাসনে লয়ে নিজ স্থান ।।

অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে
তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে ।।



                 প্রার্থনা 


চিত্ত যেথা ভয়শূন্য , উচ্চ্ যেথা শির
জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর
আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী
বসুধারে রাখে নাই খন্ড ক্ষুদ্র করি ,
যেথা বাক্য হৃদয়ের উৎসমুখ হতে
উচ্ছ্বসিয়া উঠে , যেথা নির্বারিত স্রোতে
দেশে দেশে দিশে দিশে কর্মধারা ধায়
অজস্র সহস্রবিধ চরিতার্থতায় ,
যেথা তুচ্ছ আচারের মরুবালুরাশি
বিচারের স্রোতপথ  গ্রাসি –
পৌরুষেরে করেনি শতধা , নিত্য যেথা
তুমি সর্ব কর্ম চিন্তা আনন্দের নেতা ,
নিজ হস্তে নির্দয় আঘাত করি পিতঃ,
ভারতেরে সেই স্বর্গে করো জাগরিত ।।



             নীড় ও আকাশ 

একাধারে তুমিই আকাশ, তুমি নীড় ।
হে সুন্দর , নীড় তব প্রেম সুনিবিড়
প্রতি ক্ষণে নানা বর্ণে, নানা গন্ধে গীতে,
মুগ্ধ প্রাণ বেষ্টন করেছে চারি ভিতে ।
সেথা উষা ডান হাতে ধরি স্বর্ণথালা
নিয়ে আসে এক খানি মাধুর্যের মালা
নীরবে পরায়ে দিতে ধরার ললাটে;
সন্ধ্যা আসে নম্রমুখে ধেনুশূন্য মাঠে
চিহ্নহীন পথ দিয়ে লয়ে স্বর্ণঝারি
পশ্চিমসমুদ্র হতে ভরি শান্তিবারি ।।

তুমি যেথা আমাদের আত্মার আকাশ
অপার সঞ্চারক্ষেত্র – সেথা শুভ্র ভাস –
দিন নাই রাত্রি নাই , নাই জনপ্রাণী ,
বর্ণ নাই, গন্ধ নাই, নাই নাই বাণী ।।



                  জন্ম 


জীবনের সিংহদ্বারে পশিনু যে ক্ষনে
এ আশ্চর্য সংসারের মহানিকেতনে
সে ক্ষণ অজ্ঞাত মোর । কোন শক্তি মোরে
ফুটাইল এ বিপুল রহস্যের ক্রোড়ে
অর্ধরাত্রে মহারণ্যে মুকুলের মতো ।।

তবু তো প্রভাতে শির করিয়া উন্নত
যখনি নয়ন মেলি নিরাখিনু ধরা
কনককিরণ-গাঁথা নীলাম্বর-পরা,
নিরখিনু সুখে দুঃখে খচিত সংসার –
তখনি অজ্ঞাত এই রহস্য অপার
নিমেষেই মনে হল মাতৃবক্ষ সম ।।

রূপহীন জ্ঞানাতীত ভীষণ শকতি
ধরেছে  আমার কাছে জননীমুরতি ।।

               


                    মৃত্যু 

মৃত্যুও অজ্ঞাত মোর ।  আজি তার তরে
ক্ষনে ক্ষনে শিহরিয়া কাঁপিতেছি ডরে ।
সংসারে বিদায় দিতে , আঁখি ছলছলি
জীবন আঁকড়ি ধরি আপনার বলি
দুই ভুজে ।।

            ওরে মূঢ়, জীবন সংসার
কে করিয়া রেখেছিল এতো আপনার
জনমমুহূর্ত হতে তোমার অজ্ঞাতে,
তোমার ইচ্ছার পূর্বে ! মৃত্যুর প্রভাতে
সেই অচেনার মুখ হেরিবি আবার
মুহূর্তে চেনার মতো । জীবন আমার
এতো ভালোবাসি বলে হয়েছে প্রত্যয় ,
মৃত্যুরে এমনি ভালো বাসিব নিশ্চয় ।।

স্তন হতে তুলে নিলে কাঁদে শিশু ডরে ,
মুহূর্তে আশ্বাস পায় গিয়ে স্তনান্তরে ।।


                নিবেদন 

তবে কাছে এই মোর শেষ নিবেদন
সকল ক্ষীণতা মম করহ ছেদন
দৃঢ়বলে, অন্তরের অন্তর হইতে
প্রভু মোর ! বীর্য দেহো সুখের সহিতে
সুখেরে কঠিন করি । বীর্য দেহ দুঃখে ,
যাহে দুঃখ আপনারে শান্তস্মিতমুখে
পারে উপেক্ষিত । ভকতিরে বীর্য দেহো
কর্মে যাহে হয় সে সফল, প্রীতি স্নেহ
পুণ্যে উঠি ফুটি । বীর্য দেহো ক্ষুদ্র জনে
না করিতে হীনজ্ঞান, বলের চরণে
না লুটিতে । বীর্য দেহো চিত্তেরে একাকী
প্রত্যহের তুচ্ছতার উর্ধে দিতে রাখি ।।

বীর্য দেহো তোমার চরণে রাহি শির
অহর্নিশি আপনারে রাখিবারে স্থির ।।