Madhyannat - মধ্যাহ্নত - Poems of Nirmalprabha Bordoloi

সমুখত দুখৰ পৰমান্ন
জয়জয় ময়ময় দুপৰৰ ভোজ ।

বিষন্নবোৰক কোৱা 
আমাৰ কাঁহী শুণ্য নহয়, নিৰন্ন নহয় 
তাত উপচি আছে 
আহা ! পৰমান্ন ।

যি অন্নৰ সুগন্ধতে 
ঝন্‌ ঝন্‌ শিকলি ছিগিব 
এশ এটা ৰনুৱা ঘোৰাৰ ।

Otoprot - ওতঃপ্ৰোত - Poems of Nirmalprabha Bordoloi

অশ্ৰু আৰু অস্ত্ৰ
বৰ ওচৰা - ওচৰি 
দুটা শব্দ ।
অস্ত্ৰই অশ্ৰু ৰচে বুলি
তোমাৰ মনত থাকে 
কিনু অশ্ৰুৱেও যে 
অস্ত্ৰ ৰচে 
সেই কথা 
পাহৰা কিয় ?

Sangket - সংকেত - Poems of Nirmalprabha Bordoloi

মই ভালকৈ চকুৰে নমনা হ'লো
চোৱাচোন পোহৰবোৰ সঁচাকৈয়ে
গলাৰুপ যেন হৈছেনে ??
বলিকটা দাখনৰ 
ধাৰ থকা ফালটোৰ দৰে ??
ক'ৰবাত কিবা এটা 
লৰচৰ কৰি থকাৰ 
উমান পাইছো
চোৱাচোন, গজলীয়া ল'ৰাটোৰ 
হাতখন পোন হ'লনে ?

খৰধৰ কৰিবলৈ কোৱা 
সংকটত আখৰা নেলাগে ।।

Bhogalir urukat - ভোগালীৰ উৰুকাত - Poems of Nirmalprabha Bordoloi

কি চাই আছা ?
আহাঁ আনো এটা দিন 
উদং ভৰাল ভৰি যোৱাকৈ 
ৰঙা নদীত ডুব দি থকা 
গোটে-পাতে এটা দিন ।

পচা, যাঠী, দা 
খোৱালী কোদাল
য'ত জি আছে আনা
সৰিয়হ ফুলৰ গন্ধ ভৰা 
পকাধানৰ গন্ধ ভৰা 
বিলাহী ৰঙৰ দিন ।

বিহু এখন পাতো আহাঁ ।
বিহু নেপাতিলে নাহে ।
দপ্‌ দপ্‌ দপ্‌
মেজিৰ জুইত
আহাঁ দলিয়াও
দুঃশাসনৰ ডোখৰ ডোখৰ দেহ 
অনশন 
আৰু বিবশন দিন ।

Samipeshu - Sunil Gangopadhyay - সমীপেষু ....সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় - Poems of Nirmalprabha Bordoloi

সমীপেষু ....সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় 

মৰমৰ সুনীল 
কি আৰু লিখিম !
মাজে মাজে ভাব হয়  
কোনো অৰ্থ নাই 
একোৰেই |
শব্দই অৰ্থ বহন নকৰে |
তুমি অকা জুইৰ ছবিত 
হাত সেকিব পৰা হ'লে 
নোৱাৰি 
কাগজত অঁকা বেলিত 
ৰাতি নুপুৱায় 
যাওক দিয়া সেইবোৰ।
তোমালৈ সেই একেটাই খবৰ পঠালোঁ
আমাৰ ইয়াত ৰাতিৰ অন্ধকাৰত 
বেৰৰ পানে মূৰ কৰি 
আমি আটায়ে 
একলে ফেকুঁৰো
পুৱা যে আকৌ 
উঠিব লাগিব
কান্দিবলৈকে
দাৰুণ সে দুখত !

Shesh nomoskar - শেষ নমস্কার - Geetanjali - Poems of Rabindranath Tagore

একটি নমস্কার প্রভু একটি নমস্কারে 
সকল দেহ লুটিয়ে পড়ুক তোমার এ সংসারে ।
ঘনশ্রাবণের মতো রসের ভরে নম্র নত 
একটি নমস্কারে, প্রভু , একটি নমস্কারে 
সমস্ত মন পড়িয়া থাক তব ভবন-দ্বারে ।।

Osomapto - অসমাপ্ত - Geetanjali - Poems of Rabindranath Tagore

জীবনে যত পূজা হল না সারা ,
জানি হে, জানি তাও হয় নি হারা ।
যে ফুল না ফুটিতে    ঝরেছে ধরণীতে ,
যে নদী মরুপথে হারালো ধারা,
জানি হে, জানি তাও হয় নি হারা ।।

Jabar din - যাবার দিন - Geetajnali - Poems of Rabindranath Tagore

যাবার দিনে এই কথাটি বলে যেন যাই -
যা দেখেছি, যা পেয়েছি , তুলনা তার নাই ।
এই জ্যোতিসমুদ্র মাঝে যে শতদল পদ্ম রাজে 
তারই মধু পান করেছি , ধন্য আমি তাই ।
যাবার দিনে এই কথাটি জানিয়ে যেন যাই ।।

Simay prokash - সীমায় প্রকাশ - (Geetanjali) - Poems of Rabindranath Tagore

সীমার মাঝে, অসীম, তুমি বাজাও আপন সুর ।
          আমার মধ্যে তোমার প্রকাশ তাই এতো মধুর ।
কত বর্ণে কত গন্ধে, কত গানে কত ছন্দে ,
          অরূপ তোমার রূপের লীলায় জাগে হৃদয়-পুর -
          আমার মধ্যে তোমার শোভা এমন সুমধুর ।।
তোমায় আমায় মিলন হলে সকলই যায় খুলে -
          বিশ্বসাগর ঢেউ খেলায়ে উঠে তখন দুলে ।

Khichuri - খিচুড়ি - Poems of Sukumar Ray

হাঁস  ছিল সজারুও (ব্যাকরণ মানি না )
হয়ে গেল হাঁসজারু কেমনে তা জানি না । 
বক কহে কচ্ছপে 'বাহবা কি ফুর্তি !
অতি খাসা আমাদের বকচ্ছপ মূর্তি '
টিয়ামুখো গিরগিটি মনে ভারী শঙ্কা 
পোকা ছেড়ে শেষে কিগো খাবে কাঁচা লঙ্কা 

Abol Tabol - আবোল তাবোল - Poems of Sukumar Ray

আয়রে ভোলা খেয়াল খোলা 
স্বপন দোলা নাচিয়ে আয় 
আয়রে পাগল আবোল তাবোল
মত্ত মাদল বাজিয়ে আয় 
আয় যেখানে ক্ষেপার গানে নেইকো সুর 
আয়রে যেথায় উধাও হাওয়ায় 
মন ভেসে যায় কোন সুদূর 

Dhulamondir - ধুলামন্দির -Poems of Rabindranath Tagore

ভজন পূজন সাধন আরাধনা সমস্ত থাকে পড়ে ।
রুদ্ধদ্বারে দেবালয়ের কোণে কেন আছিস ওরে !
        অন্ধকারে লুকিয়ে আপন মনে 
        কাহারে তুই পুঁজিস সংগোপনে ,
নয়ন  মেলে দেখ দেখি তুই চেয়ে -  দেবতা নাই ঘরে ।।

Opomanito - অপমানিত - Poems of Rabindranath Tagore

হে মোর দুর্ভাগা দেশ, যাদের করেছো অপমান 
অপমানে হতে  হবে তাহাদের সবার সমান ।
মানুষের অধিকারে        বঞ্চিত করেছ যারে ,
সম্মুখে দাড়ায়ে রেখে তবু কোলে দাও নাই স্থান ,
অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান ।।

Diner Songi - দীনের সঙ্গী - Poems of Rabindranath Tagore

যেথায় থাকে সবার অধম দীনের থেকে দীন 
সেখানে যে চরণ তোমার রাজে -
সবার পিছে , সবার নীচে , সব-হারাদের মাঝে ।
যখন তোমায় প্রণাম করি আমি 
প্রণাম আমার কোনখানে যায় থামি ,
তোমার চরণ যেথায় নামে অপমানের তলে 
সেথায় আমার প্রণাম নামে না যে -
সবার পিছে , সবার নীচে , সব-হারাদের মাঝে ।।

Bharatteertho - ভারততীর্থ - Geetanjali - Poems of Rabindranath Tagore

হে মোর চিত্ত, পুন্য তীর্থে জাগো রে ধীরে

এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে।

হেথায় দাঁড়ায়ে  দু বাহু বাড়ায়ে নমি নর দেবতারে

উদার ছন্দে পরমানন্দে বন্দন করি তারে

ধ্যানগম্ভীর এই যে ভূধর , নদী-জপমালা-ধৃত প্রান্তর,

হেথায় নিত্য হেরো পবিত্র ধরিত্রীর

এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে ।।

Protisristi - প্রতিসৃষ্টি - Poems of Rabindranath Tagore

হে মোর দেবতা, ভরিয়া এ দেহপ্রাণ 
কি অমৃত তুমি চাহ করিবারে পান !
           আমার নয়নে তোমার বিশ্বছবি 
           দেখিয়া লইতে সাধ যায় তব কবি -
           আমার মুগ্দ্ধ শ্রবনে নীরব রহি 
                          শুনিয়া লইতে চাহ আপনার গান ।।

Borshar rup - বর্ষার রূপ - Poem by Rabindranath Tagore

আজ           বর্ষার রূপ দেখি মানবের মাঝে -
              চলেছি গরজি , চলেছে নিবিড় সাজে ।
      হৃদয়ে তাহার নাচিয়া উঠিছে ভীমা ,
      ধাইতে ধাইতে লোপ করে চলে সীমা ,
      কোন তাড়নায় মেঘের সহিত মেঘে 
                    বক্ষে বক্ষে মিলিয়া বজ্র বাজে ।।

Chitra - চিত্রা - Poems of Rabindranath Tagore

জগতের মাঝে কত বিচিত্র তুমি হে 
        তুমি বিচিত্ররূপিণী ।
অযুত আলোকে ঝলসিছ নীল গগনে ,
আকুল পুলকে উলসিছ ফুলকাননে ,
দ্যুলোকে ভূলোকে বিলসিছ চলচরণে 
        তুমি চঞ্চলগামিনী ।
মুখর নূপুর বাজিছে সুদূর আকাশে ,
অলকগন্ধ উড়িছে মন্দ বাতাসে ,
মধুর নৃত্যে নিখিল চিত্তে বিকাশে 
         কত মঞ্জুল রাগিণী ।

Sohojatri - সহযাত্রী - Poems of Rabindranath Tagore

কথা ছিল এক তরীতে কেবল তুমি আমি 
          যাব                  অকারণে ভেসে কেবল ভেসে ,
ত্রিভুবনে জানবে না কেউ আমরা তীর্থগামী 
         কোথায়             যেতেছি কোন দেশে সে কোন দেশে ।
                   কুলহারা সেই সমুদ্র -মাঝখানে 
                   শোনাব গান একলা তোমার কানে ,
                   ঢেউয়ের মতন ভাষা বাঁধন হারা 
        আমার               সেই রাগিনী শুনবে নীরব হেসে ।।

Swopne - স্বপ্নে - (Geetanjali) Poems of Rabindranath Tagore

 সুন্দর তুমি এসেছিলে আজ প্রাতে 
অরুণবরন পারিজাত লয়ে হাতে ।
নিদ্রিত পুরী , পথিক ছিল না পথে,
এক চলি গেলে তোমার সোনার রথে -
বারেক থামিয়া, মোর বাতায়নপানে 
       চেয়েছিলে তবে করুন নয়নপাতে ।।

Aruproton - অরূপরতন - Poems of Rabindranath Tagore

          রূপ সাগরে ডুব দিয়েছি অরূপ রতন আশা করি ;
          ঘাটে ঘাটে ঘুরব না আর ভাসিয়ে আমার জীর্ন তরী ।
সময় যেন হয় রে এবার                 ঢেউ-খাওয়া সব চুকিয়ে দেবার ,
          সুধায় এবার তলিয়ে গিয়ে অমর হয়ে রব মরি ।
যে গান কানে যায় না শোনা           সে গান যেথায় নিত্য বাজে 
          প্রাণের বীণা নিয়ে যাব সেই অতলের সভা-মাঝে ।

Belashese - বেলাশেষে - Poems of Rabindranath Tagore

 আর     নাই রে বেলা , নামল ছায়া    ধরণীতে 
এখন     চল রে ঘাটে কলসখানি        ভরে নিতে ।
জলধারার কলস্বরে       সন্ধ্যাগগন আকুল করে -
ওরে      ডাকে আমার পথের পরে       সেই ধ্বনিতে ।।
এখন    বিজন পথে করে না কেউ       আসা-যাওয়া ,
ওরে,     প্রেম-নদীতে উঠেছে ঢেউ -          উতল হাওয়া ।
জানি নে আর ফিরবো কি না ,          কার সাথে আজ হবে চিনা -
ঘটে      সেই অজানা বজায় বীণা       তরণীতে ।
চল রে ঘাটে কলসখানি             ভরে নিতে ।।

[১৩ ভাদ্র , ১৩১৬]

Asharsondhya - আষাঢ়সন্ধ্যা - (Geetanjali) - Poems of Rabindranath Tagore

আষাঢ়সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো, গেলো  বয়ে 
বাঁধন-হারা বৃষ্টিধারা ঝরছে রয়ে রয়ে ।
একলা বসে ঘরের কোণে কি ভাবি যে আপন-মনে -
সজল হাওয়া জুথির বনে কি কথা যায় কয়ে ।।
হৃদয়ে আজ ঢেউ দিয়েছে, খুঁজে না পাই কূল -
সৌরভে প্রাণ কাঁদিয়ে তুলে ভিজে বনের ফুল ।
আঁধার রাতে প্রহরগুলি কোন সুরে আজ ভরিয়ে তুলি -
কোন ভুলে আজ সকল ভুলি    আছি আকুল হয়ে -
বাঁধন - হারা বৃষ্টিধারা ঝরছে রয়ে রয়ে ।। 

[২ আষাঢ় ১৩১৬ ]

Atmotran - আত্মত্রান - Poems of Rabindranath Tagore

বিপদে  মোরে রক্ষা করো, এ নহে মোর প্রার্থনা -
          বিপদে আমি  না যেন করি ভয় ।
দুঃখতাপে - ব্যথিত চিতে নাই বা দিলে স্বান্তনা ,
          দুঃখে যেন করিতে পারি জয় ।
সহায় মোর না যদি জুটে    নিজের বল না যেন টুটে -
সংসারেতে ঘটিলে ক্ষতি,   লভিলে শুধু বঞ্চনা ,
          নিজের মনে না মানি যেন ক্ষয় ।।

Jonmo o Moron - জন্ম ও মরণ - Poems of Rabindranath Tagore

সে তো সেদিনের কথা বাক্যহীন যবে 
এসেছিনু প্রবাসীর মতো এই ভবে 
বিনা কোনো পরিচয় , রিক্ত শূন্য হাতে ,
একমাত্র ক্রন্দন সম্বল লয়ে সাথে ।
আজ সেথা কি করিয়া মানুষের প্রীতি 
কণ্ঠ হতে টানি লয় যত মোর গীতি ।
এ ভুবনে মোর চিত্তে অতি অল্প স্থান 
নিয়েছে ভুবননাথ ! সমস্ত এ প্রাণ 
সংসারে করেছ পূর্ণ । পদপ্রান্তে তব 
প্রত্যহ যে ছন্দে-বাঁধা গীত নব নব 

Nobo besh (Utsorgo kabyo) - নব বেশ - Poems of Rabindranath Tagore

সেদিন কি তুমি এসেছিলে ওগো, সে কি তুমি, মোর সভাতে ? 
হাতে ছিল তব বাঁশি , অধরে অবাক হাঁসি ,
সেদিন ফাগুন মেতে উঠেছিল মদবিহ্বল শোভাতে ।
সে কি তুমি ওগো , তুমি এসেছিলে সেদিন নবীন প্রভাতে -
                   নবযৌবনসভাতে ?।

সেদিন আমার যত ছিল সব কাজ তুমি ভুলালে ।
খেলিলে সে কোন খেলা ,      কোথা কেটে গেলো বেলা ,

Probasi - প্রবাসী - Poem by Rabindranath Tagore

সব ঠাঁই মোর ঘর আছে , আমি সেই ঘর মরি খুঁজিয়া। 
দেশে দেশে মোর দেশ আছে , আমি সেই দেশ লব যুঝিয়া। 
পরবাসী আমি যে দুয়ারে চাই -
তারি মাঝে মোর আছে যেন ঠাঁই ,
কোথা দিয়া সেথা প্রবেশিতে পাই সন্ধান লব বুঝিয়া ।  
ঘরে ঘরে আছে পরমাত্মীয়, তারে আমি ফিরি খুঁজিয়া ।।

অতীত - Otit - Poems of Rabindranath Tagore

কথা কও , কথা কও ,
অনাদি অতীত, অনন্ত রাতে কেন বসে চেয়ে রও ?
কথা কও , কথা কও ।
যুগযুগান্ত ঢালে তার কথা তোমার সাগরতলে ,
কত জীবনের কত ধারা এসে মিশায় তোমার জলে ।
যেথা এসে তার স্রোত নাহি আর ,
কলকল ভাষ নীরব তাহার -
তরঙ্গহীন ভীষণ মৌন, তুমি টরে কোথা যে লও ?
হে অতীত, তুমি হৃদয়ে আমার কথা কও , কথা কও ।।

আবর্তন - Aborton - Poems of Rabindranath Tagore

ধূপ আপনারে মিলাইতে চাহে গন্ধে ,
গন্ধ সে চাহে ধূপেরে রহিতে জুড়ে। 
সুর আপনারে ধরা দিতে চাহে ছন্দে ,
ছন্দ ফিরিয়া ছুটে যেতে চায় সুরে ।
ভাব পেতে চায় রূপের মাঝারে অঙ্গ ,
রূপ পেতে চায় ভাবের মাঝারে ছাড়া 
অসীম সে চাহে সীমার নিবিড় সঙ্গ ,

Prosad - প্রসাদ - Poems of Rabindranath Tagore

'হায়        গগন নহিলে তোমাকে ধরিবে কে বা !
              ওগো তপন , তোমার স্বপন দেখি যে , করিতে পারি নে সেবা ।'
              শিশির কহিল কাঁদিয়া -
              'তোমারে রাখি যে বাঁধিয়া ,
              হে রবি , এমন নাহিকো আমার বল ।
              তোমা বিনা তাই ক্ষুদ্র জীবন কেবলই অশ্রুজল ।'

Consciousness - A beginners perspective

We are conscious beings. How? Because we are able to experience things. Experience comes through properties of things being perceived, If there is no property being perceived there will be no experience of anything. It is through body or the mind that we perceive things. A body without a mind will perceive things but the dimension will not be of that level of a human. For example a worm without a brain can not perceive emotions of a human mind but it would perceive many things for its own survival. It is the specific instruments in human body-mind complex that gives a human unique experience of the world.

Morichika - মরীচিকা - Poems of Rabindranath Tagore

পাগল হইয়া বনে বনে ফিরি আপন গন্ধে মম 
                                             কস্তুরীমৃগসম ।
ফাল্গুনরাতে দক্ষিনবায়ে কোথা দিশা খুঁজে পাই না ।
যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই, যাহা পাই তাহা চাই না ।।

বক্ষ হইতে বাহির হইয়া আপনা বাসনা মম 
                                             ফায়ার মরীচিকাসম ।
বাহু মেলি তারে বক্ষে লইতে বক্ষে ফিরিয়া পাই না ।
যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই , যাহা পাই তাহা চাই না ।।

Chena - চেনা - Poems of Rabindranath Tagore

আপনারে তুমি করিবে গোপন         কি করি ,  
হৃদয় তোমার আঁখির পাতায় থেকে থেকে পড়ে ঠিকরি। 
     আজ আসিয়াছে কৌতুকবেশে 
     মানিকের হার পরি এলো কেশে ,
নয়নের কোণে আধো হাসি হেসে     এসেছ হৃদয়পুলিনে। 
ভুলি নে তোমার বাঁকা কটাক্ষে ,
ভুলি নে চতুর নিঠুর বাক্যে ,     ভুলি নে  ।
      করপল্লবে দিলে যে আঘাত 
      করিব কি তাহে আখিঁজলপাত ?

Chhol - ছল - Poems of Rabindranath Tagore

 
তোমারে পাছে সহজে বুঝি        তাই কি এত লীলার ছল -
বাহিরে যবে হাসির ছটা            ভিতরে থাকে আঁখির জল। 
বুঝি গো আমি , বুঝি গো তব   ছলনা -
যে কথা তুমি বলিতে চাও          সে কথা তুমি বল না ।।
তোমারে পাছে সহজে ধরি         কিছুরই তব কিনারা নাই -
দশের দলে টানি গো পাছে        বিরূপ তুমি, বিমুখ তাই ।
বুঝি গো আমি , বুঝি গো তব ছলনা -

procchonno - প্রচ্ছন্ন - Poems of Rabindranath Tagore

মোর কিছু ধন আছে সংসারে 
      বাকি সব ধন স্বপনে,          নিভৃত 
            স্বপনে  ।
ওগো, কোথা মোর আসার অতীত !
ওগো, কোথা তুমি পরশচকিত !
      কোথা গো স্বপন বিহারী !
তুমি এসো এসো গভীর গোপনে ,
এসো গো নিবিড় নীরব চরণে 
      বসনে প্রদীপ নিবারি           এসো  গো 
            গোপনে ।

Ami chonchol he - আমি চঞ্চল হে - Rabindranath Tagore poems

আমি চঞ্চল হে ,
আমি সুদূরের পিয়াসী। 
দিন চলে যায় , আমি আনমনে 
তারি আশা চেয়ে থাকি বাতায়নে -
ওগো, প্রাণে মনে আমি যে তাহার  পরশ পাবার প্রয়াসী। 
আমি সুদূরের পিয়াসী। 
সুদূর বিপুল সুদূর , তুমি যে বাজাও ব্যাকুল বাঁশরি -
মোর ডানা নাই , আছি এক ঠাঁই , সে কথা যে যাই পাসরি ।।

Ebar firao more - এবার ফিরাও মোরে - Poem by Rabindranath Tagore

 
সংসারে সবাই যবে সারাক্ষন শতকর্মে রত ,
তুইশুধু ছিন্নবাধা পলাতক বালকের মতো 
মধ্যাহ্নে মাঠের মাঝে একাকী বিষণ্ণ তরুচ্ছায়ে 
দূরবনগন্ধবহ মন্দগতি ক্লান্ত তপ্ত বায়ে 
সারাদিন বাজাইলি বাঁশি । ওরে , তুই ওঠ আজি। 
আগুন লেগেছে কোথা !  কার শঙ্খ উঠিয়াছে বাজি 
জাগাতে জগৎ জনে ! কোথা হতে ধ্বনিছে ক্রন্দনে 
শূন্যতল ! কোন অন্ধ কারা-মাঝে জর্জর বন্ধনে
অনাথিনী মাগিছে সহায় ! স্ফীতপ্রায় অপমান 
অক্ষমের বক্ষহতে রক্ত শুষি করিতেছে পান 

Sukh - সুখ - poem by Rabindranath Tagore

আজি মেঘমুক্ত দিন ; প্রসন্ন আকাশ
হাসিছে বন্ধুর মতো ; সুমন্দ বাতাস
মুখে চক্ষে বক্ষে আসি লাগিছে মধুর ,
অদৃশ্য অঞ্চল যেন সুপ্ত দিগবধুর 
উড়িয়া পড়িছে গায়ে । ভেসে যায় তরী
প্রশান্ত পদ্মার স্থির বক্ষের উপরি 
তরল কল্লোলে । অর্ধমগ্ন বালুচর 
দূরে আছে পড়ি , যেন দীর্ঘ জলচর 
রৌদ্র পোহাইছে শুয়ে । ভাঙা উচ্চতীর ;
ঘনচ্ছায়াপূর্ণ তরু ; প্রচ্ছন্ন কুটির ।

Juta abiskar - জুতা আবিষ্কার - Poem by Rabindranath Tagore

কহিল হবু, 'শুন গো গবুরায়
            কালিকে আমি ভেবেছি সারা রাত্র ,
মলিন ধুলা লাগিবে কেন পায়
            ধরণী মাঝে চরন ফেলা মাত্র ।
তোমরা শুধু বেতন লহ বাঁটি 
            রাজার কাজে কিছুই নাহি দৃষ্টি ।
আমার মাটি লাগায় মোরে মাটি,
            রাজ্যে মোর একি এ অনাসৃষ্টি !
                    শীঘ্র এর করিবে প্রতিকার 
                              নহিলে কারো রক্ষা নাহি আর ।'

Aagami - আগামী - Poem by Sukanta Bhattacharya

জড় নই, মৃত নই, নই অন্ধকারের খনিজ, 
আমি তো জীবন্ত প্রাণ, আমি এক অঙ্কুরিত বীজ ;
মাটিতে লালিত, ভীরু, শুধু আজ আকাশের ডাকে 
মেলেছি সন্ধিগ্ধ চোখ, স্বপ্ন ঘিরে রয়েছে আমাকে ।
যদিও নগণ্য আমি, তুচ্ছ বটবৃক্ষের সমাজে 
তবু ক্ষুদ্র এ শরীরে গোপনে মর্মরধ্বনি বাজে,
বিদীর্ণ করেছি মাটি, দেখেছি আলোর আনাগোনা 
শিকড়ে আমার তাই অরণ্যের বিশাল চেতনা ।
আজ শুধু অঙ্কুরিত, জানি কাল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাতা 
উদ্দাম হাওয়ার তালে তাল রেখে নেড়ে যাবে মাথা ;

Charpotro - ছাড়পত্র - Poem by Sukanta Bhattacharya

যে শিশু ভূমিষ্ঠ হল আজ রাত্রে
তার মুখে খবর পেলুম ঃ
সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক,
নতুন বিশ্বের দ্বারে তাই ব্যক্ত করে অধিকার 
জন্মমাত্র সুতীব্র চিৎকারে ।
খর্বদেহ নিঃসহায়, তবু তার মুষ্টিবদ্ধ হাত
উত্তোলিত, উদ্ভাসিত 
কী এক দুর্বোধ প্রতিজ্ঞায় ।

Sonar tori - সোনার তরী - Poem by Rabindranath Tagore

 গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা ।
কূলে একা বসে আছি নাহি ভরসা ।
রাশি রাশি ভারা ভারা           ধান কাটা হলো সারা,
ভরা নদী খুরধারা        খরপরশা ¬
কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা ।।
একখানি ছোটো খেত , আমি একেলা ¬
চারি দিকে বাঁকা জল করিছে খেলা ।।
পরপারে দেখি আঁকা               তরুছায়ামসী -মাখা
গ্রামখানি মেঘে ঢাকা          প্রভাতবেলা ।
এ পারেতে ছোটো খেত , আমি একেলা ।।

Bosundhora - বসুন্ধরা - Poem by Rabindranath Tagore

আমারে ফিরায়ে লহ ওই বসুন্ধরে
কোলের সন্তান তব কোলের ভিতরে
বিপুল অঞ্চলতলে।  ওগো মা মৃন্ময়ী ,
তোমার মৃত্তিকা মাঝে ব্যাপ্ত হয়ে রই
দিগ্বিদিকে আপনারে দিই বিস্তারিয়া
বসন্তের আনন্দের মতো।  বিদারিয়া
এ বক্ষপঞ্জর , টুটিয়া পাষানবন্ধ
সঙ্কীর্ণ প্রাচীর , আপনার নিরানন্দ
অন্ধ কারাগার - হিল্লোলিয়া , মর্মরিয়া
কম্পিয়া, স্খলিয়া, বিকিরিয়া, বিচ্ছুরিয়া ,
শিহরিয়া, সচকিয়া আলোকে পুলকে ,
প্রবাহিয়া চলে যাই সমস্ত ভূলোকে

Sworgo hoite biday - স্বর্গ হইতে বিদায় - Poem by Rabindranath Tagore

 ম্লান হয়ে এল কণ্ঠে মন্দারমল্লিকা,
হে মহেন্দ্র, নির্বাপিত জ্যোতির্ময় টিকা
মলিন ললাটে । পুণ্যবল হল ক্ষীণ,
আজি মোর স্বর্গ হতে বিদায়ের দিন
হে দেব, হে দেবীগণ । বর্ষ লক্ষশত 
যাপন করেছি স্বর্গে দেবতার মতো 
দেবলোকে । আজি শেষ বিচ্ছেদের ক্ষণে 
লেশমাত্র অশ্রুরেখা স্বর্গের নয়নে 
দেখা যাবে এই আশা ছিল । শোকহীন 
হৃদিহীন সুখস্বর্গভূমি উদাসীন 
চেয়ে আছে । লক্ষ লক্ষ বর্ষ তার
চক্ষের পলক নহে । অশ্বত্থশাখার 

Choddosho saal - ১৪০০ সাল - Poem by Rabindranath Tagore

  
             আজি হতে শতবর্ষ পরে
কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি
                     কৌতুহলভরে,
             আজি হতে শতবর্ষ পরে !
আজিকার নব বসন্তের প্রভাতের আনন্দের
                     লেশমাত্র ভাগ,
আজিকার কোনো ফুল, বিহঙ্গের কোনো গান,
             আজিকার কোনো রক্তরাগ -
অনুরাগে সিক্ত করি পারিব কি পাঠাইতে
                         তোমাদের করে,
             আজি হতে শতবর্ষ পরে  ?।

Jete nahi dibo - যেতে নাহি দিব - Poem by Rabindranath Tagore

     
দুয়ারে প্রস্তুত গাড়ি, বেলা দ্বিপ্রহর
হেমন্তের রৌদ্র ক্রমে হতেছে প্রখর ।
জনশুন্য পল্লীপথে ধূলি উড়ে যায়
মধ্যাহ্নবাতাসে। স্নিগ্ধ অশ্বত্থের ছায়
ক্লান্ত বৃদ্ধা ভিখারিনি জীর্ণ বস্ত্র পাতি
ঘুমায়ে পড়েছে।  যেন রৌদ্রামায়ি রাতি
ঝাঁ ঝাঁ করে চারি দিকে নিস্তব্ধ নিঃঝুম -
শুধু মোর ঘরে নাহি বিশ্রামের ঘুম ।।
গিয়েছে আশিন। পূজার ছুটির শেষে
ফিরে  যেতে হবে আজি বহুদূর দেশে
 কর্মস্থানে।  ভৃত্যগণ ব্যস্ত হয়ে
বাঁধিছে জিনিস-পত্র দরাদড়ি লয়ে -
হাঁকাহাঁকি ডাকাডাকি এ ঘরে, ও ঘরে ।

Hing Ting Chhot - হিং টিং ছ্ট - A poem by Rabindranath Tagore

            হিং টিং ছ্ট
              স্বপ্নমঙ্গল

স্বপ্ন দেখেছেন রাত্রে হবুচন্দ্র ভূপ  ¬
অর্থ তার ভেবে ভেবে গবুচন্দ্র চুপ
শিয়রে বসিয়া যেন তিনটি বাঁদরে
উকুন বাছিতেছিল পরম আদরে ¬
একটু নড়িতে গেলে গালে মারে চড় ,
চোখে মুখে লাগে তার নখের আঁচড় ।
সহসা মিলালো তারা এল এক বেদে , 
'পাখি উড়ে গেছে' বলে মরে কেঁদে কেঁদে  ।
সম্মুখে রাজারে দেখি তুলি নিল ঘাড়ে ,
ঝুলায়ে বসায়ে দিল উচ্চ এক দাঁড়ে ।
নীচেতে দাঁড়ায়ে এক বুড়ি থুড়থুড়ি
হাসিয়া পায়ের তলে দেয় সুড়সুড়ি ।
রাজা বলে 'কি আপদ '  কেহ নাহি ছাড়ে ¬
পা দুটা তুলিতে চাহে, তুলিতে না পারে ।
পাখির মতন রাজা করে ছটফট
বেদে কানে কানে বলে ¬ হিং টিং ছট ।
স্বপ্নমঙ্গলের কথা অমৃতসমান ,
গৌড়ানন্দ কবি ভনে, শুনে পুণ্যবান ।।

Puraton bhrityo - পুরাতন ভৃত্য - Poem by Rabindranath Tagore


ভুতের মতন চেহারা যেমন নির্বোধ অতি ঘোর -
যা-কিছু হারায় গিন্নি বলেন কেষ্টা বেটাই চোর ।
উঠিতে বসিতে করি বাপান্তও, শুনেও শোনে না কানে -
যত পায় বেত পায় না বেতন, তবু না চেতন মানে ।
বড়ো প্রয়োজন, ডাকি প্রাণপণ , চিৎকার করি 'কেষ্টা' -
যত করি তাড়া নাহি পায় সাড়া, খুঁজে ফিরি সারা দেশটা ।
তিনখানা দিলে একখানা রাখে, বাকি কোথা নাহি জানে -
একখানা দিলে নিমেষ ফেলিতে তিনখানা ক'রে আনে ।
যেখানে সেখানে দিবসে দুপুরে নিদ্রাটি আছে সাধা -
মহাকলরবে গালি দেই যবে 'পাজি হতভাগা গাধা'
দরজার পাশে দাড়িয়ে সে হাসে, দেখে জ্বলে যায় পিত্ত ।
তবু মায়া তার ত্যাগ করা ভার - বড়ো পুরাতন ভৃত্য ।।

Dui bigha jomi - দুই বিঘা জমি - Poem by Rabindranath Tagore

শুধু বিঘে দুই ছিল মোর ভুঁই আর সবই গেছে ঋণে ।
বাবু বলিলেন , 'বুঝেছ উপেন ? এ জমি লইব কিনে ।'
কাহিলাম আমি, 'তুমি ভূস্বামী , ভূমির অন্ত নাই -
চেয়ে দেখ মোর আছে বড়জোর মরিবার মত ঠাঁই ।'
শুনি রাজা কহে, ' বাপু, জানো তো হে, করেছি বাগানখানা ,
পেলে দুই বিঘে প্রস্থে ও দীঘে সমান হইবে টানা -
ওটা দিতে হবে ।' কহিলাম তবে বক্ষে জুড়িয়া পাণি 
সজল চক্ষে, ' করুন রক্ষে গরিবের ভিটেখানি ।
সপ্তপুরুষ যেথায় মানুষ সে মাটি সোনার বাড়া ,
দৈন্যের দায়ে বেচিব সে মায়ে এমনি লক্ষ্মীছাড়া !'
আঁখি করি লাল রাজা ক্ষণকাল রহিল মৌনভাবে ,
কহিলেন শেষে ক্রুর হাসি হেসে, 'আচ্ছা , সে দেখা যাবে ।'

Premer Obhishek - প্রেমের অভিষেক - by Rabindranath Tagore - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


তুমি মোরে করেছ সম্রাট।  তুমি মোরে 
সাজায়েছো কন্ঠ মোর । তব রাজটিকা 
পরায়েছো গৌরবমুকুট ; পুষ্পডোরে 
দীপিছে ললাট মাঝে মহিমার শিখা 
অহর্নিশি।  আমার সকল দৈন্য লাজ ,
আমার ক্ষুদ্রতা যত , ঢাকিয়াছে আজ 
তব রাজ আস্তরণে।  হৃদিশয্যাতল 
শুভ্র দুগ্ধফেননিভ, কোমল শীতল ,
তারই মাঝে বসয়েছো।  সমস্ত জগৎ 
বাহিরে দাঁড়ায়ে আছে, নাহি পায় পথ 
সে অন্তর - অন্তঃপুরে।  নিভৃত সভায় 

Bolaka - বলাকা - Poem by Rabindranath Tagore

 সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা
            আঁধারে মলিন হলো যেন খাপে ঢাকা
                             বাঁকা তলোয়ার !
     দিনের ভাঁটার  শেষে রাত্রির জোয়ার
এলো তার ভেসে-আসা তারাফুল নিয়ে কালো জলে ;
            অন্ধকার গিরিতটতলে
                       দেওদার-তরু সারে সারে ;
মনে হলো , সৃষ্টি যেন স্বপ্নে চায় কথা কহিবারে ,
       বলিতে না পরে স্পষ্ট করি
অব্যক্ত ধ্বনির পুঞ্জ অন্ধকারে উঠিছে গুমরি ।।
                     সহসা শুনিনু সেই ক্ষণে
                              সন্ধ্যার গগনে
           শব্দের বিদ্যুৎছটা শূন্যের প্রান্তরে
মুহূর্তে ছুটিয়া গেল দূর হতে দূরে দূরান্তরে।

Kokadeutar Har - Nabakanta Barua (12) - ককাদেউতাৰ হাড় - নৱকান্ত বৰুৱা

ককাদেউতাৰ হাড়
(দ্বাদশ অধ্যায় ) 


এঙা চোলাটো পিন্ধি ভোগাই চ'ৰাৰ মুখত থিয় হ'ল ।

লিগিৰাই সুধিলে, " দেউতা, দোলা নে ?"

"ঘোঁৰা" ভোগায়ে ক'লে ।

লিগিৰাৰ মুখ ক'লা পৰিল । কাৰণ দোলাত হ'লে তামোলৰ টেমা লৈ সিও কাষে কাষে যাব পাৰিলেহঁতেন । ঘোঁৰাত গ'লে দেউতাই কাকো লগত নলয় ।

ঘোঁৰা আহি চোতাল পোৱাৰ পিচত ভোগাই আকো ভিতৰ সোমাই গ'ল । ভিতৰলৈ চাই মাতিলে, "সুমলাৰ মাক !"

সুমলা আৰু সুমলাৰ মাক অৰ্থাৎ মাহিন্দ্ৰীয়ে দুৱাৰ ডলিত থিয় দিলে ।

"মোৰ অহাত অলপ পলম হ'ব পাৰে । চাওঁ আঙঠিটো ।"

Kakadeutar har - Nabakanta Barua (11) : ককাদেউতাৰ হাড় - নবকান্ত বৰুৱা

ককাদেউতাৰ হাড়

( একাদশ অধ্যায় )


বাঘ জালত পৰিল । ভোগাইৰ ইচ্ছা , বাঘটো যিমান সোনকালে পাৰে খতম কৰাই ভাল । বাঘটো মৰাৰ লগতে তেওঁ বহুতো কথা পআঙি থৈছে , যিবোৰ কথা স্পষ্টকৈ কাকো ক'ব নোৱাৰে তেওঁ । কিন্তু বাঘ ভেটাটো এটা সামাজিক উৎসৱৰ দৰে । ইয়াৰ ৰং চাবলৈ দূৰ গাঁৱৰ মানুহো ভাগি, ভুঁহৰি আহে । সাধাৰনতে তিনি-চাৰিদিনমান বাঘটো জালৰ ভিতৰতে ৰখা হয় । জালৰ কেউকাষে যেন মানুহৰ মেলাহে বহে । জালৰ কাষে কাষে টঙি সাজি তাৰ ওপৰত বহি ডেকা ল'ৰামখাই বাঘৰ অলেখ-লেখ চাই থাকে । টঙি সাজিবলৈ কাৰ বাঁহ কোনে আনে ঠিক নাই । তাত হকা-বধা কৰিবৰো কাৰো এক্তিয়াৰ নাই । ৰাতি বৰ জুই একোকুৰা ধৰি মানুহ বহি থাকে । ৰখীয়া- পৰীয়াৰ বাবে ভাত-পানীও ৰন্ধা হয় । ওচৰৰ মানুহৰ পাণ-তামোল কল-কুঁহিয়াৰ খাস্তাং হয় । আনকি ওচৰৰ গাঁৱৰ হাঁহ , পাৰ, ছাগলী আদিও হেৰায় । সেইবোৰ কোনেও বিচাৰিবলৈ সাহ নকৰে । ৰাতি কিৰিলি পাৰি ল'ৰাহতে বনঘোষা গায় । অবাইচ মাতৰ কোবত গোটেইখন মহগুৱালৰ মেল যেন হয় । পিচে , সকলো সময়তে জালৰ কাষে কাষে জাঠি - জোং লৈ মানুহ সষ্টম হৈ থাকে । বাঘ যদি কেনেবাকৈ ভাগিল - বৰ জগৰৰ কথা । যিটো খেলৰ জালৰ ফালে বাঘ পলায় সেই খেলে দন্দ ভৰিব লাগে ।সাতে-সোতৰে ডেকাহঁতে ভাল পালেও ওচৰ গাঁৱৰ মানুহে যিমান সোনকালে পাৰি খেলখন ভাঙিলেহে ভাল পায় ।

Kakadeutar har - Nabakanta Barua (10) : ককাদেউতাৰ হাড় - নবকান্ত বৰুৱা

ককাদেউতাৰ হাড়
( দশম অধ্যায় )

বেচেৰা ৰতিকান্ত । ভোগাইৰ কথা শুনিয়েই সি লৰ ধৰিলে টিঙিৰা বেজৰ ঘৰ বুলি । লৰালৰিৰ ভমকত সি কাকো লগ ধৰিবও নোৱাৰিলে । বেলি কৰিলে জানোচা ভোগায়ে ডবিয়ায় । কিছুদূৰ যোৱাৰ পিচত তাৰ মনত খেলালে, যদি বাঘটোৱে ক'ৰবাত চোপ লৈ আছে । এবাৰ আগলৈ আৰু এবাৰ পিচলৈ চাই চাই সি লৰি আগবাঢ়িল । ওৰে বাটটো সি বুকুত থুৱাই থুৱাই গোসাঁইৰ নাম লৈ যাবলৈ ধৰিলে । ভয়ত তাৰ শুকান মুখৰপৰা থুকে ওলাব নোখোজে, তথাপি সি ভোৰভোৰাই গাই গ'ল ঃ

"অ' মোৰ কলীয়া গোসাঁই, অ' মোৰ নিসিংহ থানৰ নেদেখা গোসাঁই, আউনীআউটি, দক্ষিণপাট, কুৰুৱাবাহী, গৰমূৰ বেঙেনআটি, হালধিআটি আইকেইখন সত্ৰৰ আটাইকেইজন জীয়া গোসাঁই .... আজি ৰলেহে ৰোৱা ....আজি তৰিলেহে তৰা .. ৰাম ৰাম ..... ।"

বাটটো যেন শেষেই হ'ব নোখোজে । অৱশেষত টিঙিৰা বেজৰ দুৱাৰমুখত সি ফোপাই - জোপাই ৰ'লগৈ ।

ইফালে খীৰমন বৰাৰ উকি শুনি টিঙিৰাৰ খৈণীয়েকে দুৱাৰৰ ডাং যে দিলেই, চালপীৰা এখনো দুৱাৰত ভেজা দিবলৈ টানাটানি কৰি আছে । টিঙিৰা বেজে জুহালৰ কাষত টিকিৰা পুৰি বলকি আছে ঃ

"হেৰৌ বেটী, কুঁহিয়াৰ পাব ক'ত থলি অ' ? আনৰ তিৰোতাই চকলিয়াই চকলিয়াই গিৰিহঁতৰ  আগত যতনাই দিয়ে, এই বেটীয়ে কুঁহিয়াৰ অকণ বিচাৰিও দিব নোৱাৰা হ'লি ।"

Ekaram - একারাম - Bengali poem by Subhro

আমি একলা আছি ভালই আছি
সঙ্গদোষে নাই ,
মামা মামি চাচা চাচি 
নাইরে কোথাও নাই ।

Kritadas - ক্রীতদাস - Bengali poem by Subhro

শরীর কোমর অবশ আমার করুণ চেহারা ,
তারই মধ্যে বয়স খানা করে যাচ্ছে তাড়া । 
সকাল সন্ধ্যে কাজের চাপে শরীর নাজেহাল ,
চশমার কাঁচ হচ্ছে পুরু, আর বাড়ছে কপাল। 
সারাদিন অফিস করে ক্লান্ত শরীর ক্ষীণ,
আলোর পর্দায় তাকিয়ে থেকে মাথাটা ঝিন ঝিন ।

Rakhal chele - poem by Jasimuddin - রাখাল ছেলে - পল্লীকবি জসিমউদ্দিন এর কবিতা

বাংলা সাহিত্যের জগতে পল্লীকবি নামে পরিচিত কবি জসিমউদ্দিন এর খুব সুন্দর একটি কবিতা রাখাল ছেলে । কবিতাটি আমাদের স্কুল এ পড়ার সময় পাঠ্যপুস্তকে সন্নিহিত ছিল । কবিতাটির বিষয়বস্তু একটি রাখাল ছেলের সঙ্গে এক গ্রাম্য প্রকৃতির এক মধুর সম্পর্কের। আশাকরি কবিতাটি আপনারা উপভোগ করবেন। 



'রাখাল ছেলে ! রাখাল ছেলে ! বারেক ফিরে চাও 
বাঁকা গাঁয়ের পথটি বেয়ে কোথায় চলে যাও ? '

'ওই যে নীল - নোয়ানো সবুজ ঘেরা গাঁ 
কলার পাতায় দোয়ায় চামার শিশির ধোয়ায় পা ;
সেথায় আছে ছোট্ট কুটির  সোনার পাতায় ছাওয়া ,
সেই ঘরেতে একলা বসে  ডাকছে আমার মা 
সেথায় যাবো, ওভাই এবার আমায় ছাড় না !'

Basantar edin - Poem of Nirmalprabha Bordoloi - বসন্তৰ এদিন - নিৰ্মলপ্ৰভা বৰদলৈৰ কবিতা

তুমি  নিসৰ্গৰ দৰে ।
নিসৰ্গৰ দৰে তুমি ।

জলস্ৰোত স্তুতি ।
চন্দন শাখাৰ বাহ 
আৰণ্যিক পাহাৰী 
শৰীৰ
সুমথিৰা বনৰ ৰ'দ 
যেন হাতৰ তলুৱাত !

Abaruddha - Poem of Nirmalprabha Bordoloi - অবৰুদ্ধ - নিৰ্মলপ্ৰভা বৰদলৈৰ কবিতা


মোৰ খিৰিকীবোৰ জপাই দিয়া 
বহাগ আহিছে,
মোৰ দুৱাৰ জপাই দিয়া
বহাগ আহিছে,

Agamani - poem of Nirmalprabha Bordoloi - আগমনি - নিৰ্মলপ্ৰভা বৰদলৈৰ কবিতা

আগমনি

কাহিলি, কাহিলি পৰত
কুলিৰ মাত শুনিলে
চকু মুদিয়ে কৈ দিব পাৰি
বসন্ত আহিছে ।

Hattimatim tim - Bengali poem by Roknujjaman Khan

 ছোটবেলায় বাংলা ছড়া শোনেননি বা বলেননি এমন বাঙালি বোধহয় নেই।  আর সেইসব ছড়ার মধ্যে হাট্টিমাটিম টিম নামক ছড়াটি থাকবেনা সে  হতেই পারেনা । কিন্তু যে ছড়াটা আপনি জানেন সেটা চার লাইনের।  যে কথাটা হয়তো আপনি জানেননা সেটা হচ্ছে এই চার লাইনের ছড়াটা আসলে বাংলাদেশী সাংবাদিক এবং সাহিত্যিক রোকনুজ্জামান খানের অসম্ভব সুন্দর ৫২ লাইনের একটা ছড়ার অংশ। পুরো ছড়াটি নিচে পড়ুন । আপনার নিশ্চয় ভালো লাগবে ।

 


টাট্টুকে আজ আনতে দিলাম
বাজার থেকে শিম
মনের ভুলে আনল কিনে
মস্ত একটা ডিম।

বলল এটা ফ্রি পেয়েছে
নেয়নি কোনো দাম
ফুটলে বাঘের ছা বেরোবে
করবে ঘরের কাম।

Basana - poems of Parishmita - বাসনা

তোমাৰ তীক্ষ্ণ চাৱনিৰ অৱাক উন্মাদনাই
আজিও কঁপাই তোলে মোৰ বুকু,
দুটি ওঁঠত ক্ষয় যোৱা সময়ৰ নীলাই
তেজৰঙা কৰি তোলে

Nishiddha bhabbor - poem by Parishmita - নিষিদ্ধ ভাৱবোৰ - পৰিস্মিতা

নিষিদ্ধ ভাৱবোৰ ...
মন-মগজুত সোমাই আছে 
সহস্ৰ নিউৰনৰ এটা অগ্নিপিণ্ড
কেতিয়াবা ই ওলাই আহিব খোজে

Ek mrita kabir swagatokti - এক মৃত কবিৰ স্বগতোক্তি - Poem by Parishmita

তুমি মোৰ চন পৰা কলমৰ ন-স্তবক,
নিবৰ ফাঁকেৰে বিৰিঙি বোৱা
ক'লা চিয়াঁহীৰ দাগবোৰ হৈ তুমি
ভাৱৰ গুটিমালি সিঁচা ।

Eti nosto premar epitaph - এটি নষ্ট প্ৰেমৰ এপিটাফ - Poem by Parishmita

খুউব প্ৰেম কৰিব মন গৈছে আজি
তোমাৰ সৈতে 
এক পাৰ ভঙা উন্মাদ প্ৰেম,
অহেতুক বন্ধোনৰ বোজা খহাই কৰা প্ৰেম 

এটা সময় আছিল যেতিয়া কেৱল তুমি আছিলা ... Eta samay asil jetiya kebal tumi asila - Poem by Parishmita

বালিৰ ঘৰৰ দৰে উটি গ'ল সকলো
তুমি আৰু তোমাক লৈ থকা মোৰ সকলো অহংকাৰ ।
এটা মৃতদেহৰ দৰেই চেঁচা হৈ পৰিল 
আমাৰ সম্পৰ্কৰ গভীৰতা ।

Pakke Tiger Reserve - my first birding experience

Suddenly I got a call from Sarma Sir and he asked me if I shall accompany him to forest behind Nameri for a two day outing. An outing desire was already growing up inside me and Nameri reserve forest was in my priority list. So when I got the call, I was sanguine about going there though I knew I have to get my leaves granted.

Heroa surbor - হেৰোৱা সুৰবোৰ - Poem by Parishmita

ঘৰমুৱা খোজবোৰ থমকিব খোজে আজি
এবুকু অভিমানৰ অহৰহ খকা-খুন্দাত,
চিনাকী মুখবোৰত লাগি ৰৈছে
সময়ৰ অচিনাকী ভাৱ,

Nishiddha paras - নিষিদ্ধ পৰশ - Poem by Parishmita

উঠন বুকুখন হঠাৎ হৈ পৰে 
কছাইৰ হাতত হালাল হাবলৈ সাজু হোৱা
এটি জীয়া মঙহৰ টুকুৰা ।
হঠাৎ সৰৱ হৈ উঠা হাতখনে 
বোৱাই আনে এখন খৰস্ৰোতা তেজৰ নদী,

Nostalgia - নষ্টালজিয়া - Poem by Parishmita

 নষ্টালজিয়া ...


পুৰণি মদৰ বটলত ভৰাই ৰখা
নতুন মদৰ দৰেই
মনৰ ঊঁৱলি যোৱা কোঠাবোৰ
এতিয়া ঠাঁহ খাই উঠিব ধৰিছে

Dhangsastupar prem - ধ্বংসস্তুপৰ প্ৰেম - Poem by Parishmita

 হঠাৎ হেৰাই যোৱাৰ বেদনাই
যেতিয়া অধীৰ কৰি তোলে মন,
আঁজুৰি আনিবৰ মন যায়
অতীতৰ সেই ক্ষণবোৰ,
ধূসৰ হওঁ হওঁকৈও হব নোখোজা স্মৃতিবোৰে

নিৰ্মলপ্ৰভা বৰদলৈৰ কবিতা - Poems of Nirmalprabha Bordoloi

সাৰেং চৰাইৰ মাত

এদিন
গভীৰ ৰাতিৰ নিৰ্জনতাত মই শুনিলোঁ
মৃতজনৰ শুকান হাড়ৰ মাজৰ পৰা ওলোৱা 
এটা চেপা বিননি ।

নিৰ্মলপ্ৰভা বৰদলৈৰ কবিতা - Poems of Nirmalprabha Bordoloi

অব্যক্ত 

পানীযুঁৱলিত হাত তিয়াই
দিনৰ পিছত দিন ।

আঙুলিত খুটিয়াই
ক'ত যায় সেইবোৰ
লীলাৱতী, গৰ্ভৱতী মাছ ?
শুহি লৈ যায় নেকি
আঙুলিৰে বৈ যাব খোজা 
ইচ্ছাৰ জান-জুৰিবোৰ ?

বিহু - নিৰ্মলপ্ৰভা বৰদলৈৰ কবিতা - Bihu - Poems of Nirmalprabha Bordoloi

       বিহু
        ১

 গাৱৰ গাভৰুবোৰে
কালিলৈকে বৈ আছিল
পেঁপাৰ মাতটো তাঁতত ।
অজি সিঁহতৰ ভৰিত
নাচনী পথাৰবোৰে 
ধূলিৰ জুনুকা আঁৰিছে ।

বহাগ - নিৰ্মলপ্ৰভা বৰদলৈৰ কবিতা - Bahag -Poems of Nirmalprabha Bordoloi

    বহাগ 
       ১


এনেকুৱা লাগে -
যেন কচক্‌ কচক্‌কৈ উঠিব
কুমলীয়া তিয়হঁৰ কেঁচাখিনি ।
এনেকুৱা লাগে -
নদী যেন বৈ যাব 
এখন এখনকৈ বাৰখন গাঁৱৰ 
নিৰ্জনতা ভাঙি ।।

অপৰাজিত - নিৰ্মলপ্ৰভা বৰদলৈৰ কবিতা - Aparajita - Poems of Nirmalprabha Bordoloi

 (এয়া 
খেৰনিৰ
বননিৰ
বিয়াগোম ডাল পাত থকা
অতিকায় গছ আৰু গছনিৰ কথা  
কোনো এক মহা অৰণ্যৰ )

চাৰমন - নিৰ্মলপ্ৰভা বৰদলৈৰ কবিতা - sarmon - Poem of Nirmalaprabha Bordoloi

এজনী চৰাই মই এতিয়া
উৰাই দিলো
গৰ্ভৰ অন্ধকাৰ বন্দৰে বন্দৰে
ন দহ মাহলৈ নাওঁ চপাব খোজা 

জাৰ্নেলিষ্টৰ ডায়েৰীৰ পৰা - নিৰ্মলপ্ৰভা বৰদলৈৰ কবিতা - Jarnelistor dayerir pora - Nirmalprabha Bordoloi

              এক

হাজাৰ হাজাৰ নগৰ দেখিলো
                            - স্তব্ধ
অগণন টকাৰ নৃত্য দেখিলো
                            - মুগ্ধ
মৃত্যু, অপমৃত্যু গচকি আহিলো
- সিযে সবাতকৈ তুচ্ছ ।

সন্ধিক্ষণ - নিৰ্মলপ্ৰভা বৰদলৈৰ কবিতা - Sandhikkhon - poem of Nirmalprabha Bordoloi

আলোক সজ্জা-ছাঁ আৰু পোহৰৰ ঘন খেলিমেলি
           পুৱা নে সন্ধিয়া ঠিক ধৰিব নোৱাৰি ।
দৃশ্যপট - কেউপিনে অজস্ৰ কবৰ ।
           বোবা মুখৰতা 
           বতাহৰ শেঁতা ।
          তেজৰ ফুলেৰে ভৰা নিৰ্জ্জনতা হাবি ।

অন্য হেমন্ত - নিৰ্মলপ্ৰভা বৰদলৈৰ কবিতা - Anya hemanta - Poem of Nirmalprabha bordoloi

চকুৰ সৰিয়হ ফুল
পথাৰ ছানি ফুলিছে 
দিনে দিনে ।

কাঁচিৰ আহে
ফালি ফালি চায় বুকু ।

বশিষ্ঠত দুপৰীয়া - নিৰ্মলপ্ৰভা বৰদলৈৰ কবিতা - bashisthat dupuriya - Poem of Nirmalprabha Bordoloi

সেউজীয়া ৰ'দবোৰ জিল্‌মিলাই আছিল
হাইতাল বৰণৰ বতাহত,
জিলিৰ মাত সোনাৰুফুলৰ দৰে 
ওলমি আছিল 
গভীৰ অৰণ্যৰ অ'ত ত'ত ।

হৰিণাটো - নিৰ্মলপ্ৰভা বৰদলৈৰ কবিতা - Harinato - Poem of Nirmalprabha Bordaloi

বাৰিষাৰ টলমল্‌ পানীত
মুখখন দেখোতে নেদেখোতেই 
পানীবোৰ নাচি নাচি যায়গৈ ।

ফুটুকা ফুটুকী হৰিণটো
এইবাৰ জুৰিটোৰ ফালে 
আহিল ।

এটা স্কেচ - নিৰ্মলপ্ৰভা বৰদলৈৰ কবিতা - Eta Sketch - Poems of Nirmalprabha Bordaloi

 ডেউকাত ভাগৰৰ কাজল বৰণ সানি 
অৱশ দুখানি পাখি মেলি 
গাঁৱৰ গধূলি আহি বাঁহনিৰ জোপাত পৰিল । 
ছাঁত তাৰ ভয় খাই 
দিনটোৱে কুচিমুচি আহি
ভিতৰ সোমাই গৈ

এনলিচিচ্‌ - নিৰ্মলপ্ৰভা বৰদলৈৰ কবিতা - Analisis - Poem of Nirmalprabha Bordoloi

দুপৰৰ বৰ্ণহীন ৰ'দালিয়ে 
এদিন সুধিলেঃ
জীৱনৰ মানে কি ?
আউল নালাগি থকা জাপানী পাটৰ নেচা এটা ??
কাষ্টাৰ্ড, জাম আৰু আখৰোট কাঠৰ কোৰাচ ??

তোমালৈ - নিৰ্মলপ্ৰভা বৰদলৈৰ কবিতা - tomaloi - Poem of Nirmalprabha Bordoloi

মই জানোঁ, তোমাৰ লগত মোৰ
আকউ সাক্ষাত হ'ব
তোমাৰ চকুৰ নীলা
হ'ব মোৰ আশ্ৰয় আকাশ
তোমাৰ দেহৰ সেউজ

পূজাৰ উপহাৰ - নিৰ্মলপ্ৰভা বৰদলৈৰ কবিতা - Pujar upohar - Poems of Nirmalprabha Bordoloi

 দেউতা, তুমিতো প্ৰায় আশীতেই দিলা ভৰি
আৰু আঠ বছৰ গ'লেহে পামগৈ তোমাৰ আধাৰ গুৰি ।
পূজাৰ উপহাৰ আগেয়ে তুমিহে দিছিলা আনি
এইবাৰ তোমাক পূজা-উপহাৰ দিম আটায়ে আমি ।
উপহাৰ এযোৰ নতুন চশমা তুমি দেখিবৰ বাবে
চাৰি ঠেং আমাৰ গজিছে কেনেকো সলনিৰ সোঁতে সোঁতে ।

সীতা - নিৰ্মলপ্ৰভা বৰদলৈৰ কবিতা - Sita poem of Nirmalprabha Bordoloi


সীমান্তত মোৰ এয়া দগ্‌মগ্‌ কৰি থকা 
ৰক্তধাৰা-সধবা শব্দৰ এক নিষ্ঠুৰ বিদ্ৰুপ !
অথবা এয়া যেন ৰঙা অগ্নিশিখা
ৰামৰ ৰাজ্যৰ প্ৰজাৰ বিক্ষুব্ধ তৰ্ক আৰু
নিৰুপায় ক্ৰোধ লেলিহান হৈ ।।

দ্ৰৌপদী - Droupadi - নিৰ্মলপ্ৰভা বৰদলৈৰ কবিতা - Poems of Nimalprabha Bordoloi

মই ব্যতিক্ৰম ?
নহয়, নহয় ।
মই যে মই যে মাথোঁ চিৰন্তন নাৰী
যুগমীয়া ৰহস্যেৰে ভৰা বিচিত্ৰ বৰ্ণালীৰ এক সহজ 
প্ৰকাশ ।
মোৰ বাসনাত কোনো নতুনত্ব নাই ;

গান্ধাৰী - Gandhari - নিৰ্মলপ্ৰভা বৰদলৈৰ কবিতা - Poem of Nirmalprabha Bordoloi

 অবিকৃত মই এক
দুৰ্জয় প্ৰতিজ্ঞা ।
নাৰী মই, তথাপি নহওঁ নাৰী
সেই নাৰী ! মনৰ আকাশে যাৰ
ক্ষণে ক্ষণে বৰণ সলায় ।
প্ৰেমিকা - তথাপি নহওঁ প্ৰেমিকা

সুদীৰ্ঘ দিন আৰু ঋতু - নিৰ্মলপ্ৰভা বৰদলৈৰ কবিতা - Poems of Nirmalprabha Bordoloi


বাট চ'ৰাৰ কবিতা 

সপোনৰ দেশৰ 
বাটচ'ৰাতে  
সময় গ'ল
ঠেলা-হেঁচাত ।

বুৰ মাৰিলে
হীৰা মুকুতাৰ দৰে
দিনৰ বেলি
ৰাতিৰ জোনে
ৰাতিৰ বেলি
দিনৰ জোনে

মুখ চুপতি
আৰু কাগজৰ সাকোঁত
ভৰি দি
ভৰি দি
সপোন দিঠক
দুয়োটা এতিয়া
তল যাঁও
ওপঙো ।