গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা ।
কূলে একা বসে আছি নাহি ভরসা ।
রাশি রাশি ভারা ভারা ধান কাটা হলো সারা,
ভরা নদী খুরধারা খরপরশা ¬
কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা ।।
একখানি ছোটো খেত , আমি একেলা ¬
চারি দিকে বাঁকা জল করিছে খেলা ।।
পরপারে দেখি আঁকা তরুছায়ামসী -মাখা
গ্রামখানি মেঘে ঢাকা প্রভাতবেলা ।
এ পারেতে ছোটো খেত , আমি একেলা ।।
গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে !
দেখে যেন মনে হয়, চিনি উহারে ।
ভরা পালে চলে যায়, কোনো দিকে নাহি চায়
ঢেউগুলি নিরুপায় ভাঙে দুধারে ¬
দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে ।।
ওগো, তুমি কোথা যাও কোন বিদেশে ?
বারেক ভিড়াও তরী , কূলেতে এসে ।
যেয়ো যেথা যেতে চাও , যারে খুশি তারে দাও ¬
শুধু তুমি নিয়ে যাও ক্ষণিক হেসে
আমার সোনার ধান কূলেতে এসে ।।
যত চাও তত লও তরণী- 'পরে ।
আর আছে? আর নাই , দিয়েছি ভরে ।
এতকাল নদীকূলে যাহালয়ে ছিনু ভুলে
সকলই দিলাম তুলে থরে বিথরে ¬
এখন আমারে লহো করুণা ক'রে ।।
ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই , ছোট সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি ।
শ্রাবন গগন ঘিরে ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে ,
শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি ¬
যাহা ছিল লয়ে গেল সোনার তরী ।।
[বোট । শিলাইদহ । ফাল্গুন ১২৯৮]
কূলে একা বসে আছি নাহি ভরসা ।
রাশি রাশি ভারা ভারা ধান কাটা হলো সারা,
ভরা নদী খুরধারা খরপরশা ¬
কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা ।।
একখানি ছোটো খেত , আমি একেলা ¬
চারি দিকে বাঁকা জল করিছে খেলা ।।
পরপারে দেখি আঁকা তরুছায়ামসী -মাখা
গ্রামখানি মেঘে ঢাকা প্রভাতবেলা ।
এ পারেতে ছোটো খেত , আমি একেলা ।।
গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে !
দেখে যেন মনে হয়, চিনি উহারে ।
ভরা পালে চলে যায়, কোনো দিকে নাহি চায়
ঢেউগুলি নিরুপায় ভাঙে দুধারে ¬
দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে ।।
ওগো, তুমি কোথা যাও কোন বিদেশে ?
বারেক ভিড়াও তরী , কূলেতে এসে ।
যেয়ো যেথা যেতে চাও , যারে খুশি তারে দাও ¬
শুধু তুমি নিয়ে যাও ক্ষণিক হেসে
আমার সোনার ধান কূলেতে এসে ।।
যত চাও তত লও তরণী- 'পরে ।
আর আছে? আর নাই , দিয়েছি ভরে ।
এতকাল নদীকূলে যাহালয়ে ছিনু ভুলে
সকলই দিলাম তুলে থরে বিথরে ¬
এখন আমারে লহো করুণা ক'রে ।।
ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই , ছোট সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি ।
শ্রাবন গগন ঘিরে ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে ,
শূন্য নদীর তীরে রহিনু পড়ি ¬
যাহা ছিল লয়ে গেল সোনার তরী ।।
[বোট । শিলাইদহ । ফাল্গুন ১২৯৮]
No comments:
Post a Comment