Khirikire sheetar komal batah echati - poems of Ram Gogoi - খিৰিকিৰে শীতৰ কোমল বতাহ এছাটি - ৰাম গগৈৰ কবিতা

খিৰিকিৰে শীতৰ কোমল বতাহ এছাটি
সোমাই আহিছিল,
কুৱলীয়ে ঢাকি ৰাখিছিল আকাশ,
চতুৰ্দশীৰ ম্লান জোনটো

Moi sunichilo eti bahir mat -- Poems of Ram Gogoi - মই শুনিছিলোঁ এটি বাঁহীৰ মাত - ৰাম গগৈৰ কবিতা



মই শুনিছিলোঁ এটি
বাঁহীৰ মাত
মই দেখিছিলোঁ
তোমাৰ দুটি নয়নমণিত
মৰম ব্যাথাৰ
কত ঘাত প্ৰতিঘাত !

কি বুলি মই মাতিম তোমাক
অ' মোৰ নুমলী,
অ' মোৰ বুকুৰ ধন !

মোৰ বুকুৰ মাজত
মই শুনিছিলোঁ এটি
বাঁহীৰ মাত ।

Abhimanatei tomar chakulo sare - Poems of ram Gogoi - অভিমানতেই তোমাৰ চকুলো সৰে - ৰাম গগৈৰ কবিতা

অভিমানতেই তোমাৰ চকুলো সৰে,
যেনেকে আহিন আহিল বুলি
শেৱালিৰ পাহি সৰে
নিয়ৰৰ স্নিগ্ধ পৰশত ।

Tumi jatei naathaka - Poems of Ram Gogoi - তুমি য'তেই নাথাকা - ৰাম গগৈৰ কবিতা

তুমি য'তেই নাথাকা
নিয়ত তুমি মোৰ চকুৰ মণিত ।
মনোৰমা,
হে  মোৰ অনুভৱৰ সখী,

Ful chingo buli - Poems of Ram Gogoi - ফুল ছিঙো বুলি - ৰাম গগৈৰ কবিতা

ফুল ছিঙো বুলি মেলি দিলো হাত
চকুপানী টুকি
তুমি ক'লা ঃ
'হাতো নেমেলিবা ফুলো নিছিঙিবা

Moi jetiya kobita likhho - Poems of Ram Gogoi - মই যেতিয়া কবিতা লিখো - ৰাম গগৈৰ কবিতা

মই যেতিয়া কবিতা লিখোঁ 
তেতিয়া
মই তোমাৰ কথা ভাবো
মই দূৰ দূৰান্তৰ আকাশলৈ চাওঁ

Paharar bukut mukh Lukuai - Poems of Ram Gogoi - পাহাৰৰ বুকুত মুখ লুকুৱাই - ৰাম গগৈৰ কবিতা

পাহাৰৰ বুকুত মুখ লুকুৱাই
শুই থকা
বতাহ জাক
কেতিয়া যে সাৰ পালে,
গছৰ আগৰ কুহিপাতবোৰে
কাৰ সপোন দেখিলে,
কিজানিবা বসন্ত আকৌ আহিল ।

Ketiya basanta ahil - Poems of Ram Gogoi - কেতিয়া বসন্ত আহিল - ৰাম গগৈৰ কবিতা

কেতিয়া বসন্ত আহিল
তোমাৰ মনৰ পদুলিৰ এজুপি গোলাপ
কেতিয়া ফুলিল !

তোমাৰ মনৰ পদুলিৰ এজুপি গোলাপ

Aji bohudin hol - Poems of Ram Gogoi - আজি বহুদিন হ'ল - ৰাম গগৈৰ কবিতা

আজি বহুদিন হ'ল
গীত গোৱা চৰাই এজনী
মোৰ বুকুৰ মাজত
বাঁহ বান্ধি আছে

Tomar kabitar pratito barnoi - Poems of Ram Gogoi - তোমাৰ কবিতাৰ প্ৰতিটো বৰ্ণই

তোমাৰ কবিতাৰ প্ৰতিটো বৰ্ণই 
মোৰ বাবে এটি এটি মুকুতাৰ মণি 
মই যদি জানিলোহেঁতেন 
কেনেকৈ তোমাৰ আঙুলিৰ 

Moito nejano - poems of Ram gogoi - মইতো নেজানো - Ram Gogoir kobita



মইতো নেজনো
তুমি জানানে নেজানা
তুমি কেনেকৈ জ্বলি আছা
মোৰ মনৰ গহনত
মোৰ মৰমৰ পূজাৰ বেদীত
নিৰলা-ৰাতিৰ
প্ৰদীপৰ শিখা হৈ

তোমাৰ কথাকে ভাবো
নিতৌ গধূলি পুৱা
তথাপিও এদিনো নহ'ল কোৱা
সেই কথাষাৰি
ভালপোৱা
 ভালপোৱা
সেই যে জোনটি বুকুত
সাৱটি লোৱা

মইতো নেজানো
তুমি জানা নে নাজানা
মোৰ মনৰ
দুখৰ দুষাৰি কথা


Songs of Bhupen Hazarika - ভুপেন হাজরিকার বাংলা গান

সাগর সঙ্গমে

সাগর সঙ্গমে
সাগর সঙ্গমে
সাঁতার কেটেছি কত
কখনো তো হই নাই ক্লান্ত

সাগর সঙ্গমে
সাঁতার কেটেছি কত
কখনো তো হই নাই ক্লান্ত


তথাপি মনের মোর প্রশান্ত সাগরের
ঊর্মিমালা অশান্ত

সাগর সঙ্গমে

মোর মনের প্রশান্ত সাগরের বক্ষে
জোয়ারের নাই আজি অন্ত
অজস্র লহরী নব নব গতিতে
এনে দেয় আশা অফুরন্ত
সাগর সঙ্গমে


মোর প্রশান্ত পারেরো কত মহাজীবনের শান্তি আজি আক্রান্ত
নব নব সৃষ্টিতে দৈত্য দানবে করে নিষ্ঠুর আঘাত অবিশ্রান্ত
তাইতো মনের মোর প্রশান্ত সাগরের 
ঊর্মিমালা অশান্ত
সাগর সঙ্গমে

ধ্বংসের আঘাতে দিয়ে যায় প্রতিঘাত
সৃষ্টির সেনানী অনন্ত
সেই সংঘাত আনে মোর প্রশান্ত সাগরে
প্রগতির নূতন দিগন্ত
তাইতো মনের মোর প্রশান্ত সাগরের
ঊর্মিমালা অশান্ত
সাগর সঙ্গমে
সাগর সঙ্গমে


মোর গভীর প্রশান্ত সাগরের শক্তি
ধ্বংস কে করে দিগভ্রান্ত
অগণন মানুষের শান্তির আভিযান
সৃষ্টিকামী জীবন্ত
তাইতো মনের মোর
প্রশান্ত সাগরের ঊর্মিমালা অশান্ত
সাগর সঙ্গমে
সাগর সঙ্গমে



আজ জীবন খুঁজে পাবি

আজ জীবন খুঁজে পাবি ছুটে ছুটে আয়
আয় মরণ ভুলে গিয়ে ছুটে ছুটে আয়
হাসি নিয়ে আয় আর বাঁশি নিয়ে আয়
আজ যুগের নতুন দিগন্তে সব ছুটে ছুটে আয়
আজ ফাগুন ফুলের আনন্দে সব ছুটে ছুটে আয়
মনের চড়াই পাখিটির বাঁধন খুলে দে
শিকল খুলে মেঘের নীড়ে আজ উড়িয়ে দে
যত বন্ধ হাজার দুয়ার ভেঙে আয়রে ছুটে আয়
সময় ধারাপাতে দেখো নেই বিয়োগের ঘর
চলার পথে পথে পথের বাঁকে নেই তো আপন পর
কি আর পাবি কি আর দিবি আঙ্গুল গুণে কি
লাভের খাতায় হিসাব করে জীবন ভরে কি
আজ পাওনা দেনা মিটিয়ে দিয়ে আয়রে ছুটে আয়
আর ভালবাসার পান্না হীরে কুড়িয়ে নিয়ে আয়
এই ফাগুন ফুলের আনন্দে সব ছুটে ছুটে আয়




গঙ্গা আমার মা 

গঙ্গা আমার মা   পদ্মা আমার মা

ও আমার দুই চোখে দুই জলের ধারা মেঘনা যমুনা
গঙ্গা আমার মা
পদ্মা আমার মা
একই আকাশ একই বাতাস
এক হৃদয়ের একই তো শ্বাস
দোয়েল কোয়েল পাখির ঠোঁটে

দোয়েল কোয়েল পাখির ঠোটে

একই মুর্ছনা
একই মুর্ছনা
ও আমার দুই চোখে দুই জলের ধারা মেঘনা যমুনা
গঙ্গা আমার মা
পদ্মা আমার মা
এপার ওপার কোন পাড়ে জানি না
ও আমি সব খানেতে আছি
গাঙ্গের জলে ভাসিয়ে ডিংগা
ও আমি পদ্মাতে হই মাঝি
এপার ওপার কোন পাড়ে জানি না
শংখ চিলের ভাসিয়ে ডানা
ও আমি দুই নদীতে নাচি
এপার ওপার কোন পাড়ে জানি না
একই আশা ভালবাসা কান্না হাসির একই ভাষা
দুঃখ সুখের বুকের মাঝে
দুঃখ সুখের বুকের মাঝে

একই যন্ত্রনা
একই যন্ত্রনা
ও আমার দুই চোখে দুই জলের ধারা মেঘনা যমুনা।
গঙ্গা আমার মা
পদ্মা আমার মা
গঙ্গা আমার মা
পদ্মা আমার মা



বিস্তীর্ণ দুপারের


বিস্তীর্ণ দুপারের, অসংখ্য মানুষের
হাহাকার শুনেও,
নিঃশব্দে নীরবে, ও গঙ্গা তুমি
গঙ্গা বইছ কেন ?


বিস্তীর্ণ দুপারের, অসংখ্য মানুষের
হাহাকার শুনেও,
নিঃশব্দে নীরবে, ও গঙ্গা তুমি
গঙ্গা বইছ কেন ?

নৈতিকতার স্খলন দেখেও
মানবতার পতন দেখেও
নির্লজ্জ অলস ভাবে বইছ কেন ?

বিস্তীর্ণ দুপারের, অসংখ্য মানুষের
হাহাকার শুনেও,
নিঃশব্দে নীরবে, ও গঙ্গা তুমি
গঙ্গা বইছ কেন ?

জ্ঞানবিহীন নিরক্ষরের
খাদ্যবিহীন নাগরিকের
নেতৃবিহীনতায় মৌন কেন?
সহস্র বরষার
উন্মাদনার
মন্ত্র দিয়ে, লক্ষজনেরে
সবল সংগ্রামী, আর অগ্রগামী
করে তোলো না কেন ?

ব্যক্তি যদি ব্যক্তিকেন্দ্রিক,
সমষ্টি যদি, ব্যক্তিত্বরহিত,
তবে শিথিল সমাজকে ভাঙো না কেন ?
সহস্র বরষার
উন্মাদনার
মন্ত্র দিয়ে, লক্ষজনেরে
সবল সংগ্রামী, আর অগ্রগামী
করে তোলো না কেন?

স্রোতস্বিনী কেন নাহি বও ?
তুমি নিশ্চয়ই জাহ্নবী নও
তাহলে, প্রেরণা দাও না কেন ?
উন্মত্ত ধরার
কুরুক্ষেত্রের
শরশয্যাকে আলিঙ্গন করা
লক্ষকোটি ভারতবাসীকে, জাগালে না কেন?

বিস্তীর্ণ দুপারের, অসংখ্য মানুষের
হাহাকার শুনেও,
নিঃশব্দে নীরবে, ও গঙ্গা তুমি
গঙ্গা বইছ কেন ?

বিস্তীর্ণ দুপারের, অসংখ্য মানুষের
হাহাকার শুনেও,
নিঃশব্দে নীরবে, ও গঙ্গা তুমি
গঙ্গা বইছ কেন ?




আমি এক যাযাবর 


আমি এক যাযাবর
আমি এক যাযাবর
পৃথিবী আমাকে আপন করেছে ভুলেছি নিজের ঘর
আমি এক যাযাবর
আমি এক যাযাবর

আমি গঙ্গার থেকে মিসিসিপি হয়ে ভল্গার রূপ দেখেছি
অটোয়ার থেকে অস্ট্রিয়া হয়ে পেরিসের ধুলো মেখেছি
আমি ইলোরার থেকে রঙ নিয়ে দূরে শিকাগো শহরে দিয়েছি
গালিবের শের তাসখন্দের মিনারে বসে শুনেছি 
মার্ক টোয়েনের সমাধিতে বসে গরকির কোথা বলেছি
বারে বারে আমি পথের টানে পথকে করেছি ঘর
তাই আমি যাযাবর
তাই আমি যাযাবর


বহু যাযাবর লক্ষ্যবিহীন আমার রয়েছে পণ
রঙের খনি যেখানে দেখেছি রাঙিয়ে নিয়েছি মন
আমি দেখেছি  অনেক গগনচুম্বী অট্টালিকার শারী
তার ছায়াতেই দেখেছি অনেক গৃহহীন নরনারী
আমি দেখেছি অনেক গোলাপ বকুল ফুটে আছে থরে থরে
আবার দেখেছি নাফোটা ফুলের কলিরা ঝরে গেছে অনাদরে
প্রেমহীন ভালবাসা দেশে দেশে ভেঙেছে সুখের ঘর
পথের মানুষ আপন হয়েছে আপন হয়েছে পর

তাই আমি যাযাবর
আমি এক যাযাবর
আমি এক যাযাবর
আমি এক যাযাবর
আমি এক যাযাবর
আমি এক যাযাবর



শীতের শিশির ভেজা রাতে


শীতের শিশির ভেজা রাতে
শিশিরে ভেজানো রাতে
শিশিরে ভেজানো রাতে
শিশিরে ভেজানো রাতে

বস্ত্রবিহীন কোন খেত মজুরের 
ভেঙ্গে পড়া  কুটিরের
ধিকি ধিকি জ্বলে থাকা তুষে ঢাকা আগুনের
রক্তিম যেন এক উত্তাপ হই
রক্তিম যেন এক উত্তাপ হই
রক্তিম যেন এক উত্তাপ হই

শিশিরে ভেজানো রাতে
শিশিরে ভেজানো রাতে


শিশিরে ভেজানো রাতে
শিশিরে ভেজানো রাতে
সংখ্যালঘু কোন সম্প্রদায়ের
ভয়ার্ত মানুষের নাফোটা আর্তনাদ
যখন গুমরে কাঁদে আমি যেন তার
নিরাপত্তা হই
নিরাপত্তা হই


শিশিরে ভেজানো রাতে
কন্ঠরুদ্ধ কোন সুগায়কের
প্রভাত আনতে পারা একটি অমর গান
নিজেই প্রকাশ করে
আমি যেন তার সুধাকণ্ঠ হই

রক্তিম যেন এক উত্তাপ হই
প্রচণ্ড যেন এক প্রতাপ হই
আমি যেন এক নিরাপত্তা হই
আমি যেন এক সুধাকণ্ঠ হই

শীতের শিশির ভেজা রাতে
শিশিরে ভেজানো রাতে



প্রতিধ্বনি শুনি


মোর গায়েরো সীমানার
পাহারের ওপারে
নিশীথ রাত্রির প্রতিধ্বনি শুনি
প্রতিধ্বনি শুনি আমি প্রতিধ্বনি শুনি


কান পেতে শুনি আমি বুঝিতে না পারি 
চোখ মেলে দেখি আমি দেখিতে না পারি
চোখ বুজে ভাবি আমি ধরিতে না পারি
হাজার পাহাড় আমি ডিঙ্গোতে না পারি 
নিশীথ রাত্রির প্রতিধ্বনি শুনি
প্রতিধ্বনি শুনি আমি প্রতিধ্বনি শুনি

হতে পারে কোন যুবতীর শোকভরা কথা
হতে পারে কোন ঠাকুমার রাতের রূপকথা
হতে পারে কোন কৃষকের বুক ভরা ব্যাথা
চেনা চেনা  সুরটিকে কিছুতে না চিনি
নিশীথ রাত্রির প্রতিধ্বনি শুনি
প্রতিধ্বনি শুনি আমি প্রতিধ্বনি শুনি

শেষ হল কোন যুবতীর শোকভরা কথা
শেষ হল কোন ঠাকুমার বলা রূপকথা
শেষ হল কোন কৃষকের বুক ভরা ব্যাথা
চেনা চেনা সুরটিকে কিছুতে না চিনি
নিশীথ রাত্রির প্রতিধ্বিনি শুনি
প্রতিধ্বনি শুনি আমি প্রতিধ্বনি শুনি
প্রতিধ্বনি শুনি

মোর কালো চুলে সকালের সোনালী রোদ পরে
চোখের পাতায় লেগে থাকা কুয়াশা যায় সরে
জেগে ওঠা মানুষের হাজার চিৎকারে
আকাশ ছোঁয়া অনেক বাধার পাহাড় ভেঙে পরে
আকাশ ছোঁয়া অনেক বাধার পাহাড় ভেঙে পরে
মানব সাগরের কোলাহল শুনি
নতুন দিনের যেন পদধ্বনি শুনি 
পদধ্বনি শুনি
পদধ্বনি শুনি

মোর গায়েরো সীমানার পাহারের ওপারে
নতুন দিনের যেন প্রতিধ্বনি শুনি
প্রতিধ্বনি শুনি
প্রতিধ্বনি শুনি


Biday Obhishap (বিদায় অভিশাপ ) - Rabindranath Tagore

Story has it that Kach, son of the Brihaspati - the Guru of the Gods, was sent to Shukracharya, Guru of the Daityas, to learn the Mrita-sanjeevani vidya or simply Sanjeevani vidya which is the knowledge to revive the dead. Devyani, daughter of Shukracharya, falls in love with Kach. 

At the end of the course, when Kach asks Devyani for bidding farewell to him, Devyani requests him to recollect the memories of their together-hood during his stay at Sukracharya's place for his education. The conversation, in one side, depicts a love stricken Devyani trying to remind Kach of the the love he shared with her and to persuade him to stay back while on the other hand Kach has promised the Gods that he will learn the Sanjeevani vidya and take it back to the Heaven.


                             বিদায় অভিশাপ 

কচ ।         দেহ আজ্ঞা, দেবযানী , দেবলোকে দাস
                করিবে প্রয়াণ । আজি গুরুগৃহবাস
                সমাপ্ত আমার । আশীর্বাদ করো মোরে
                যে বিদ্যা শিখিনু তাহা চিরদিন ধরে
                অন্তরে জাজ্জ্বল্য থাকে উজ্জ্বল রতন ,
                সুমেরুশিখরশিরে সূর্যের মতন
                অক্ষয়কিরণ ।

Hanuman Chalisa in Assamese - হনুমান্ চালীসা

হনুমান্ চালীসা


দোহা :

শ্রী গুৰু চৰণ সৰোজ ৰজ নিজমন মুকুৰ সুধাৰি  |
বৰণৌ ৰঘুবৰ বিমলযশ জো দায়ক ফলচাৰি  ‖
বুদ্ধিহীন তনুজানিকৈ সুমিৰৌ পবন কুমাৰ  |
বল বুদ্ধি বিদ্যা দেহু মোহি হৰহু কলেশ বিকাৰ  ‖


চৌপাঈ :

জয় হনুমান জ্ঞান গুণ সাগৰ ।
জয় কপীশ তিহু লোক উজাগৰ ।। ১ ।।

ৰামদূত অতুলিত বলধামা  ।
অঞ্জনি পুত্র পবনসুত নামা ।। ২ ।।

মহাবীৰ বিক্রম বজৰংগী ।
কুমতি নিবাৰ সুমতি কে সংগী  ।। ৩ ।।

কঞ্চন বৰণ বিৰাজ সুবেশা  ।
কানন কুণ্ডল কুঞ্চিত কেশা ।। ৪ ।।

হাথবজ্র ঔ ধ্বজা বিৰাজে ।
কান্ধে মুঞ্জ জনেবূ সাজে  । ৫ ।।

শংকৰ সুবন কেসৰী নন্দন  ।
তেজ প্রতাপ মহাজগ বন্দন  ।। ৬ ।।

বিদ্যাবান গুণী অতি চাতুৰ ।
ৰাম কাজ কৰিবে কো আতুৰ ।।৭।।

প্ৰভু চৰিত্ৰ সুনিবে কো ৰসিয়া ।
ৰামলখন সীতা মন বসিযা  ।।৮ ।।

সূক্ষ্ম ৰূপ ধৰি সিয়হি দিখাবা  ।
বিকট ৰূপ ধৰি  লংক জলাবা ।। ৯ ।।

ভীম ৰূপ ধৰি অসুৰ সংহাৰে ।
ৰামচন্দ্ৰ কে কাজ সম্বাৰে ।। ১০ ।।

লায় সঞ্জীবন লখন জীয়ায়ে ।
শ্রীৰঘুবীৰ হৰষি উৰ লায়ে  ।। ১১ ।।

ৰঘুপতি কীন্হী বহুত বড়ায়ী ।
তুম মম প্রিয় ভৰত সম ভায়ী  ।। ১২ ।।

সহস্র বদন তুম্হৰো যশ গাৱে  ।
অস কহি শ্রীপতি কণ্ঠ লগাবে  ।। ১৩ ।।

সনকাদিক ব্রহ্মাদি মুনীশা ।
নাৰদ শাৰদ সহিত অহীশা ।। ১৪ ।।

যম কুবেৰ দিগপাল জহা তে  ।
কবি কোবিদ কহি সকে কহা তে ।। ১৫ ।।

তুম উপকাৰ সুগ্রীবহি কীন্হা  ।
ৰাম মিলায় ৰাজপদ দীন্হা  ।। ১৬ ।।

তুম্হৰো মন্ত্ৰ বিভীষণ মানা  ।
লংকেশ্বৰ ভয়ে সব জগ জানা  ।। ১৭ ।।

যুগ সহস্র যোজন পৰ ভানূ  ।
লীল্যো তাহি মধুৰ ফল জানূ  ।। ১৮ ।। 

প্রভু মুদ্রিকা মেলি মুখ মাহী  ।
জলধি লাংঘি গয়ে অচৰজ নাহী  ।। ১৯ ।।

দুর্গম কাজ জগত কে জেতে ।
সুগম অনুগ্রহ তুম্হৰে তেতে ।। ২০ ।।

ৰাম দুয়াৰে তুম ৰখৱাৰে |
হোত ন আজ্ঞা বিনু পৈসাৰে ।। ২১ ।।

সব সুখ লহে তুম্হাৰী  শৰণা ।
তুম ৰক্ষক কাহূ কো ডৰ না ।। ২২ ।।

আপন তেজ সম্ভাৰো আপে  ।
তীনো লোক হাক তে কাপে ।। ২৩ ।।

ভূত পিশাচ নিকট নহি আবে ।
মহাবীৰ জব নাম সুনাবে  ।। ২৪ ।।

নাশে ৰোগ হৰে  সব পীৰা ।
জপত নিৰন্তৰ হনুমত বীৰা  ।। ২৫ ।।

সংকট সে হনুমান ছুড়াবে  ।
মন ক্রম বচন ধ্যান জো লাবে ।। ২৬ ।।

সব পৰ ৰাম তপস্বী ৰাজা  ।
তিনকে কাজ সকল তুম সাজা ।। ২৭ ।।

ঔৰ মনোৰথ জো কোয়ি লাবে  ।
সোই অমিত জীবন ফল পাবে ।। ২৮ ।।

চাৰো যুগ পৰ্তাপ  তুম্হা‌ৰা ।
হ্যে প্রসিদ্ধ জগত উজিযাৰা ।। ২৯ ।।

সাধু সন্ত কে তুম ৰখৱাৰে ।
অসুৰ নিকংদন  ৰাম  দুলাৰে  ।। ৩০ ।।

অষ্ঠসিদ্ধি নৌ নিধি কে দাতা ।
অস বৰ দীন জানকী মাতা  ।। ৩১ ।।

ৰাম ৰসাযন তুম্হাৰে পাসা ।
সদা ৰহো ৰঘুপতি কে দাসা  ।। ৩২ ।।

তুম্হা‌ৰে  ভজন ৰামকো পাৱে  ।
জনম জনম কে দুখ বিসৰাৱে ।। ৩৩ ।।

অন্ত কাল ৰঘুপতি পুৰজায়ী ।
জহা জন্ম হৰিভক্ত কহায়ী ।। ৩৪ ।।

ঔৰ দেবতা চিত্ত ন ধৰয়ী ।
হনুমত সেই সর্ব সুখ কৰই  ।৩৫

সংকট কটে মিটে সব পীৰা ।
জো সুমিৰে হনুমত বল বীৰা  ।। ৩৬ ।।

জেয়্‌ জেয়্‌ জেয়্‌ হনুমান গোসায়ী
কৃপা কৰহু  গুৰুদেৱ কী নায়ী  ।। ৩৭ ।।

জো শত বাৰ পাঠ কৰ কোয়ী ।
ছূটহি বন্দি মহা সুখ হোয়ী  ।। ৩৮ ।।

জো ইয়হ্‌ পড়ে হনুমান চালীসা  ।
হোয়্‌ সিদ্ধি সাখী গৌৰীশা ।। ৩৯ ।।

তুলসীদাস সদা হৰি চেৰা ।
কীজ্যে নাথ হৃদয় মহা ডেৰা ।। ৪০ ।।

দোহা
পবন তনয সংকট হৰণ - মংগল মূৰতি ৰূপ ।
ৰাম লখন সীতা সহিত - হৃদয বসহু সুৰভূপ ।।

Geetali - Rabindranath Tagore

                        পরশমণি 

আগুনের       পরশমণি            ছোঁয়াও প্রাণে,
এ জীবন        পুন্য করো           দহন দানে ।
আমার এই     দেহ খানি            তুলে ধরো ,
তোমার ওই   দেবালয়ের           প্রদীপ করো  -
নিশিদিন       আলোক-শিখা       জ্বলুক গানে ।
আগুনের     পরশ-মণি              ছোঁয়াও প্রাণে ।।

আঁধারের       গায়ে গায়ে         পরশ তব
সারারাত       ফোটাক তারা    নব নব ।
নয়নের         দৃষ্টি হতে            ঘুচবে কালো ,
যেখানে         পরবে সেথায়      দেখবে আলো -
ব্যাথা মোর    উঠবে জ্বলে        উর্ধ-পানে ।
আগুনের         পরশ-মণি        ছোঁয়াও প্রাণে ।।

[ সুরুল, ১১ ভাদ্র ১৩২১]

Kokadeutar har - Nabakanta Barua (8) : ককাদেউতাৰ হাড় - নবকান্ত বৰুৱা

ককাদেউতাৰ হাড় - নবকান্ত বৰুৱা
(অষ্টম অধ্যায়) 

দোলাখন বাটচ'ৰাত ৰওঁতেই কেইজনমান মানুহ মেলৰ পৰা উঠি আহি উঠি আগবাঢ়ি যাব খুজিলে । ভোগায়ে হাতৰ ঠাৰেৰে মানুহখিনিক বহিবলৈ দি নিজেই উঠি আগবাঢ়ি গ'ল । ফাৰ্চীপঢ়া ঘৰৰ হাফিজুৰ বুঢ়া আপই দৰাচলতে হাজৰিকা বিষয়হে খাই আছে । ভোগাই উঠি নগ'লেও হ'লহেঁতেন । কিন্তু বয়স আৰু জ্ঞানৰ বাবে তেখেতক আটায়ে বৰ সন্মান কৰে ।

"কি সকামত ব মতালে, বৰুৱা বোপা ? " হাফিজুৰ হাজৰিকাই ক'লে, "এ এওঁলোকো দেখোন ? ক'ৰ, কোন খেলৰ ?"

"এওলোক কুমাৰ গাঁৱৰ ।" ভোগায়ে ক'লে, "এওঁলোকৰ কথা এটাৰ বাবেহে আপোনাক এই অসময়ত আমনি কৰিবলগীয়া হ'ল । "

অ' শুনিছোঁ শুনিছোঁ । এওঁলোকৰ বস্তিত বোলে জুই লাগিছিল ? কি কৰিবাহঁক - কপাল ! জুই আৰু মাটিৰ লগত কাৰবাৰ তোমালোকৰ - " হাজৰিকাই ক' লে ।

" নহয় আপদেও, এওলোকৰ গাঁৱত জুই কোনোবাই লগাই দিয়া যেনহে অনুমান হয় । নহ'লে গাঁৱৰ দুয়ো মূৰে একেলগে জ্বলিব কেনেকৈ ?" ভোগায়ে ক' লে ।

কুমাৰবোৰেও একেলগে চিঞৰি উঠিল, "হয় ,হয়, বাখৰ বৰাই আমাৰ গাঁৱত জুই দিছে ।"

হাফিজুৰ হাজৰিকা আৰু ভোগাই দুয়ো হাত দাঙি তেওঁলোকক শান্ত কৰিলে । ভোগায়ে ক'লে, "তোমালোকে মনে মনে থাকাচোন । হাজৰিকাক কথাখিনি বুজিবলৈ দিয়া ।"

হাফিজুৰ হাজৰিকাই ক'লে, "কুমাৰবিলাক, তোমালোকে এইটো বৰ জগৰৰ কাম কৰিছা । সাক্ষী - সাবুদ নোহোৱাকৈ কোনো কথা এইদৰে কোৱাটো ঠিক নহয় ।"

"কিয় থিক নহ'ব দেউতা ! আমি জানো বাখৰ বৰাই জুই দিয়াইছে আমাৰ গাৱত । কাৰণটো আপুনিও জানে ।" কুমৰবিলাকে একেলগে কৈ উঠিল ।

ভোগায়ে আকৌ হাত দাঙি শান্ত কৰিব খুজি ক'লে, "তোমলোকে হাই-উৰুমি নকৰিবাহঁকচোন । হজৰিকা আপদেউক কথাটো ক'বলৈ দিয়া, বুজিবলৈ দিয়া, বুজিবলৈ দিয়া ।"

মানুহবিলাকে ভাবিলে, এই বিষয়াবিলাকক জলজল পটপট কথাবোৰো বুজিবলৈ সময় লাগে । জনা কথাটোকে তেওঁলোকে নজনাৰ ভাও জুৰি আকৌ জানিব খোজে ।

হাজৰিকাই ক'লে, চাওক বৰুৱা বোপা, গোচৰ আনিলেই জানো চলে ? সাক্ষী লাগিব, প্ৰমাণ লাগিব । অকল চোভাৰ ওপৰত কথা ক'লেই ৰজিব নে ? বৰা-বাৰিকৰ কথা হ'লেও ৰজাঘৰৰ কথা । তাতে বাখৰ বোপা ধনী-মানী মানুহ - আপোনাৰ মিতিৰ । অলপ চম্ভালি চলিব লাগিব ।"

ভোগায়ে ক'লে,"ময়ো এওঁলোকক তাকে কৈছোঁ । এই ৰাজভগনৰ সময়ত আমি সকলো সাৱধানে চলিব লাগিব । এনে গধূৰ কথাৰ বিচাৰ আমাৰ চ'ৰাত হ'ব নোৱাৰে - হ'ব লাগিব বৰফুকন ব স্বৰ্গদেৱৰ ত'তহে । অগত্য সলাল গোহাঁইদেৱৰ দোপদৰলৈ আনিব পাৰি ।" তাৰ পিছত অলপ লাহেকৈ ক'লে, " আপোনাক আমনি কৰিব খুজিছোঁ আন এটা কথাৰ বাবেহে । আমি দুয়ো ভিতৰ চ'ৰাত বহিমগৈ নেকি ?"

হফিজুৰ হাজৰিকাই ক'লে, "নেলাগে বৰুৱা বোপা, ৰাইজৰ মেল মুকলিকৈ হোৱাই ভাল । গুপুত মন্ত্ৰণাই ৰজা-প্ৰজা আটাইৰে হানিহে কৰে । আপুনি কি সোধে মুকলিকৈয়ে সোধক ।"

ভোগাই অলপ অপ্ৰস্তুত হ'ল, কিন্তু এই বুঢ়াগৰাকীৰ জ্ঞানৰ গভীৰতাত তেওঁ মুগ্ধও হ'ল । তেওঁ ক'লে, "এওঁলোকে চোন কয় বোলে বাখৰে মুকুন্দ কুমাৰক হিলৈৰে মাৰিলে আপুনিও বোলে কথাটো জানে ... "

এইবাৰ অপ্ৰস্তুত হোৱাৰ পাল পৰিল হাফিজুৰ হাজৰিকাৰ । তেওঁ এটা মানসিক সংকটত পৰিল । মুকুন্দ কুমাৰৰ মৰাৰ কথাটো তেওঁ পাহৰিব নোৱাৰে । অৱশ্যে কুমাৰ এট মৰা কুমাৰবোৰৰ বাবে ডাঙৰ হ'লেও - মুকুন্দ কুমাৰ কেনেকৈ মৰিল সেইটোহে ডাঙৰ সমস্যা । কথাটো যে এদিন নহয় এদিন ওলাবই সেইটোহে তেওঁ অনুমান কৰিছিল । কিন্তু তেওঁ যে নিজেও তাত জৰিত হৈ পৰিব লাগিব সেইটো তেওঁৰ মনত অহা নাছিল । বাখৰে হিলৈ ব্যবহাৰ কৰা কথাটো তেওঁৰ মুখৰ পৰা ওলোৱাটো সমিচীন হ'ৱ জানো ? তেওঁ ভাবিলে । তাৰ উপৰি বাখৰত ওচৰত তেওঁ অঙ্গীকাৰতো আবদ্ধ । পকা ডাৰিকোছাত হাত বুলাই তেওঁ অলপ পৰ ৰ'ল । তাৰ পিছত ম্লান হাঁহি এটা মাৰি ক'লে, "শুনক বৰুৱা বোপ, শুনাহঁক কুমাৰবিলাক, মই বুঢ়া মানুহ, সাধু এটাকে কওঁ । সাধু এটাকে কওঁ । সাধুকথাই হে আচল কথা - বাকি চব ঘটনা ।" এই বুলি তেও সাধুটো ক'লে ঃ

"তাহানিৰ বাগদাদৰ হাৰুনাল ৰচিদ খলিফালৈ হাৱছী ৰজাই পঠিয়াইছিল দুটা পুতলা । পুতলা দুটা হুবহু এক । চকু একে কাণ একে, হাত ভৰি মূৰ - সকলো একে । দীঘে-পথালি ওজন - একোতে হেৰ্ফেৰ নাই । আবচলু কাঠৰ পুতলা কিচ্‌কিচিয়া ক'লা ৰং ।"

বুঢ়াই অলপ ৰৈ মানুহবোৰৰ প্ৰতিক্ৰিয়া লক্ষ্য কৰিলে । প্ৰায়বোৰ চকুতেই আগ্ৰহৰ চিন । কেৱল ভোগায়ে তলমূৰকে বহি আছে । হাতত থকা পান এখন ছিঙি সৰু সৰু কৰি থকাৰ পৰাই বুজিব পাৰি তেওঁ অলপ অধৈৰ্য হৈছে । হাজৰিকাই কৈ গ'ল ঃ

"হাৱছী ৰজাই লগতে দিছে এখন খত - চিঠি । তাত লিখিছে বোলে পুতলা দুতাৰ মাজত এটা অমিল আছে । বৰ ডাঙৰ অমিল ।সেইটো গম পালেই সিঁহত দুটা কোন শ্ৰেণীৰ ফট্‌ফটীয়া হৈ যাব ।এতিয়া বাগদাদৰ খলিফাই সেইটো উলিয়াব লাগে ।

উজীৰ, নাজিৰ, আমিৰ, ওমৰাও সকলো আহিল পুতলাৰ ভেদ ভাঙিবলৈ । পুতলা দুটা চুই চালে, টুকুৰিয়াই চালে, জোকাৰি চালে । নাই, সকলো একে । কোনেও ক'ব নোৱাৰিলে পুতলা দুটা কিহত বেলেগ । এতিয়াতো মহা লাজৰ কথা হ'ব । হাৱছী ৰজাৰ আগত বাগদাদৰ খালিফা হাৰি যাব ।

চহৰত আছিল এক বুঢ়া কচাই । মাংস বিক্ৰী কৰে । সি আহি ক'লে, " জহাপনা, বন্দীক যদি এবাৰ পুতলা দুটা চাবলৈ দিয়ে ... "

আমীৰ-ওমৰাও সকলো গৰ্জি উঠিল, "উজীৰ-নজীৰ য'ত হাৰি গ'ল, বেটা কচাই আহিছে তাত বহাদুৰি দেখাবলৈ ।" খলিফাই কিন্তু ক'লে, বুঢ়া কচাই মোৰেই প্ৰজা, হাৱছী ৰজাৰ আগত লাজত পৰাতকৈ এবাৰ চেষ্টা কৰাই ভাল ।"

কচাই আহিল । সি চালে । একো এটা সি উলিয়াব নোৱাৰিলে । কিছু পৰ ভাবি সি এচৰিয়া পানী খুজিলে । গামলাত পানী আছিল । কচায়ে পুতলা দুটা পানীত এৰি দিলে । আৱলুচ কাঠৰ পুতলা - গধুৰ । দুয়োটা পুতলা ডুবি গ'ল । বুঢ়া কচায়ে বহি চাই থাকিল ।দেখিলে পুতলা দুটাৰ চকুৰ মণিৰ পৰা সৰু দুটা বুৰবুৰণি ওলাল ।আমীৰ ওমৰাওবিলাকৰ সেইটো নজৰত নপৰিল ।  বুঢ়া কচায়ে জানিলে পুতলা দুটাৰ চকুত বিন্ধা আছে । সি পুতলাদুটা পানীৰ পৰা উলিয়াই আনি এডাল খৰিকা খুজিলে । খৰিকাডাল আনি এটা পুতলাৰ চকুৰ সৰু বিন্ধাটোৰে সুমুৱাই দিওঁতে খৰিকাডাল মুখেদি ওলাই আহিল । ইটোৰ চকুৱেদি সুমুৱাই দিওঁতে ওলাই নাহিল ।

কচায়ে ক'লে, আলমপনা, পালোঁ । এই প্ৰথম পুতলাটো হ'ল ৰজাও হ'ব পাৰে, প্ৰজাও হ'ব পাৰে । আৰু এই দ্বিতীয় পুতলাটো হ'ল ৰজাৰ বিষয়া । খালিফাই সুধুলে, " মানে কি হ'ল ?"

কচায়ে ক'লে, " যিটো পুতলাৰ চকুৰ বিন্ধাৰ লগত মুখৰ সম্বন্ধ আছে সি হ'ল ৰজা নাইবা প্ৰজা । চকুৱে যি দেখে সেইমতে কাম কৰে । ৰজা হ'লে হুকুম দিয়ে, প্ৰজা হ'লে ৰটনা কৰে । আৰু আনটো পুতলাই দেখে, কিন্তু নকয় । কাৰণ কথা ক'লেই বিপদ । এইটো হ'ল ৰজাৰ বিষয়া, দেখে শুনে , কিন্তু চুপ চাপ কাল কৰি যায় । কথা নকয় ।"

এইবুলি আকৌ এটা হাঁহি মাৰি হাজৰিকাই লগত অনা টেমাৰ পৰা পতহিওৱা তামোল এখন মুখত ল'লে ।

"বুজিলানে ৰাইজ?" ভোগায়ে ক'লে, "বুজাক বুজাবা ঠাঁৰে - চিয়াৰে - বুবুজাক বুজাবা ঢকা চাপৰে । হাজৰিকা আপদেউ নিজেও এজন ৰজাৰ বিষয়া । হেন জানি এখেতক আৰু আমনি নিদিয়াই ভাল হ'ব বুলি ভাবোঁ ।"

মানুহবোৰে যদিও হাজৰিকাৰ পৰা স্পষ্ট কথা শুনিবলৈ আশা কৰিছিল তথাপি হাজৰিকাৰ শান্ত সৌম্য মূৰ্তি দেখি আৰু ভোগাইৰ কথাৰ ধৰণত তেওঁলোকে পীড়াপীড়ি নকৰিলে ।

"দিন কাল ভাল নহয়, চৰীয়া-পৰীয়া থাকিবও পাৰে ক'ৰবাত" এইবুলি ভোগায়ে বৰ্হমচৰীয়াক মাতি আনি হাজৰিকাক থৈ আহিবলৈ ক'লে । হাজৰিকায়ো নিজৰ মান আৰু অংগীকাৰ ৰাখি স্পষ্টভাৱে কথা ক'ব্লগীয়া বোহোৱাত সকাহ পালে ।

"এৰা, ব'লা বৰ্হমচৰীয়া বোপা, মই আকৌ এ'চৰাৰ নামাজ ফেৰা কৰিবগৈ লাগিব ।"

হাজৰিকা গ'লগৈ । ভোগায়েও হাজৰিকা থকাটো আৰু নিবিচাৰে । ভোগায়ে এতিয়া বাখৰৰ শক্তিৰ স্পষ্ট প্ৰমাণ পালে । এতিয়া তেওঁ আতঘাত বন্ধি কাম কৰিব লাগিব । হাজৰিকাৰ সাধুটোৱেও মানুহবোৰক উচটোৱাত যথেষ্ট সহায় কৰিব । কিন্তু হাজৰিকাৰ দৰে বুঢ়া মানুহ এজনৰ সন্মুখত তেওঁ তেওঁৰ বৰশীৰ ধেমালি আৰম্ভ কৰিব নোখোজে ।

হাজৰিকা যোৱাৰ পিচত কুমাৰবিলাকে ক'লে, " আমি তেনে এতিয়া কৰোঁ  কি? সলাললৈকে যাওঁ ?"

"যাব পাৰ" ভোগায়ে নিৰ্বিকাৰ ভাবে ক'লে ।

"পিচে তালে গ'লে সিজনে বা আকৌ কি কৰে !"

সিজনে মানে বাখৰে ।

বাখৰে যেন বৰশীত জোকাৰ এটাহে মাৰিলে, তহঁতৰ একো উপাই নাই মৰাহঁত । ইফালে কবি বিচাৰ লাগে - সিফালে আকৌ মাৰে বুলিও ভয় । তহঁত মৰিয়েই আছ । সাহ লাগে, বুজিছ, সাহ লাগে ।"

মানুহবোৰ অলপ বিবুধি হ'ল । ৰাজ বিষয়াবোৰৰ এনে দুনুখীয়া ব্যৱহাৰত প্ৰজা সদায় জুৰুলা । সিহঁতে সাপ হৈ খুটে, বেজ হৈ জাৰে । বিষয়াক নেমানিলে জগৰ, আকৌ বিষয়াই উচটায় বিষয়াৰ বিপক্ষে । "ভাল দেউতা, আমি তেনেহ'লে সলাললৈ যামহঁক, লৰালুৰি আৰু তিৰোতামাখা ... "

"এৰা যাবিতো সলাললৈ । আৰু তিৰোতামখা থৈ যাবি বাখৰৰ লগুৱা-লিকছৌবোৰলৈ ! বাখৰকো লাগিব পাৰে দুই এজনী । সাহ লাগে বুজিছ, সাহ লাগে ।" এটা অদৃশ্য টোপ যেন বাখৰে মানুহবোৰৰ আগত জোকাৰি থাকিল ।

ই আকৌ কেনে কথা, কুমাৰগঞা ৰাইজে ভাবিলে । এইমাত্ৰ ক'লে সলাল গোহাঁইৰ তালৈ যা, পিচ মুহুৰ্ততে বিকৰ্থনা কৰি আকৌ পাক লগায় চোন ! এই বিষয়াবোৰৰ কথাৰ আঁত ধৰাই টান ।

কিন্তু ভোগাইৰ উদ্দেশ্য পৰিষ্কাৰ । ভোগায়ে জানে সলাল গোহাঁইদেউৰ নিজলৈকে টনাটানি । তেৱোঁ দ্ৰোহ আচৰা বুলি ত'ত গড়গাওঁত হেনো বু-ৱু-বা-বা ওলাইছে । বৰফুকনে সৈতে লাগ লাগি গুৱাহাটিতে নতুন ৰজা পাতিছিল বুলি উৰা বাতৰি পাই স্বৰ্গদেৱে মানুহ পঠাইছে বোলে তেওঁক ধৰিবলৈ । এনে সময়ত তেওঁ বাখৰৰ দৰে প্ৰতাপী ৰজা এজনক উচটাই নলয় । কিজানি বাখৰো হেলিমেলি ৰজাৰ ষড়যন্ত্ৰত আছে । নহ'লেনো বাখৰে হিলৈ পালে ক'ৰ পৰা ? বা ৰাখিবলৈ সাহ কৰে কেনেকৈ ? বাখৰহঁত উজনিৰ ক'ৰবাৰ মানুহ - ঘৰত শালগ্ৰাম আছে বুলিও ভোগাইহঁতে জানে । ভোগাইহঁত মহাপুৰুষীয়া মানুহ - একেবাৰে কালসংহতিৰ । ভাটী যোৱা নে ফাটি যোৱা গোপাল আতাৰ সত্ৰ । কাল সংহতিৰে মায়ামৰা শাখাৰ ভকত বৈষ্ণব মটক মৰাণ মিলি সিফালে ৰজা খেদাত লাগিছে । ইস্‌ কমটো জীয়াতু ভুগিলেনে তেওঁলোকে বৰ ৰজাৰ আমোলত ? কিন্তু ভোগায়ে জানে আহোম ৰাজ্যৰ বেলিমাৰ ইমান সোনকালে নহয় । নিজৰ মানুহৰ তলতীয়া হোৱা স্বভাব আমাৰ মানুহৰ নাই । তাতে স্বৰ্গদেৱে কুম্পানীৰ চিপাহী আনিছে । মিকৃগড় চাহাব আৰু তেওঁৰ হিন্দুস্তানী চিপাহীবোৰক ভোগায়ে দেখিছেও কলিয়াবৰত । বাখৰৰ হিলৈটোৰ যি বৰ্ণনা তেওঁ পাইছে, তাৰ পৰা অনুমান হয় যে সৈটো কুম্পানীৰ হিলৈ - সিঁহতে বন্দুক বুলি কয় । আৰু বা কিমান গোটাছে বাখৰে ! কিন্তু সলাল গোহাঁইৰ লগত জোটশালী মাৰিবৰ মন ভোগাইৰ নাই । নপতা ৰজা হৈ থকাতকৈ পতা বিষয়া হৈ থাকাই ভাল ।

তেন্তে ভোগায়ে কৰিব খুজিছে কি ? এইদৰে দুমুখীয়া কথা কৈ তেওঁৰ লাভ ? ভোগায়ে মানুহবোৰক নিৰুপায় কৰি তুলিব খুজিছিল । নিৰুপায় হ'লে মানুহৰ মনত ওপজে এটা অদ্ভুত সাহস - মৰসাহ । ভোগায়ে সিহঁতক নিৰুপায় কৰি সিহঁতৰ মনত তুলিব এক উন্মত্ত সাহ, মৰসাহ বাখৰৰ বিৰুদ্ধে । তেওঁ নিজে পোনপটীয়া একো নকৰে । কাউৰীয়ে কাউৰীৰ মঙহ নাখায় । এই মানুহবোৰকে অস্ত্ৰ হিচাবে ব্যৱহাৰ কৰিব লাগিব ।

কিন্তু মানুহবোৰক সেই কথা জনিব দিলেও তেওঁৰ কাম সিদ্ধ নহ'ব । প্ৰজাবোৰ মাথোঁ ডবাখেলৰ গুটি ঃ তাতকৈ বেছি সন্মান দিলেই বিষয়াৰ বিপদ । সেইবাবেই আজি ভোগায়ে সিহঁতৰ মন জুখি চাই, সিহঁতক ব্যৱহাৰ কৰিব খুজিছে বাখৰৰ ধ্বংসৰ খেলত ।

ভোগাইৰ মৌনতাৰ আসৈ পাই ধেমেলীয়া বুলি খ্যাতি থকা ফেলাই নামৰ কুমাৰটোৱে ক'লে, "দেউতাৰ কথাচোন আমৰ চাকৰ পাকতকৈ কোবাল ।"

ফেলাই বহুৱাৰ কথাত ভোগাইৰ খং নুঠিল । বৰশী বোৱা ল'ৰাই যেন জৰীডাল ঢিলাই দিলে । তেওঁ হাঁহি ক'লে, " ফেলায়ে ঠিকে কৈছে - মাটি খচি খচি চাকত পেলাই কুমাৰে সাজে গাগৰি । কুমাৰৰ বুধিও গাগৰিটোৰ দৰে ফোপোলা । কথাৰ পাক ক'ত বুজিব । বোলোঁ, পকা চৰু টুকুৰিয়াই চাৱনে নেচাৱ ?"

"চাওঁ দেউতা চাওঁ, কেচা নে পকা চাওঁ । কেচা চৰুত মাত উঠে থেপেক থেপেক থেপেক, পক চৰুত টিংটিং  ।" আসৈ পাই ফেলায়ে বহুৱালি কৰিব খুজিল । " কিন্তু ভোগাই গহীন হৈ গ'ল । লগে লগে সকলো কোঢ়াল জীন গ'ল । ভোগায়ে গহীনাই ক'লে, " তহঁতক মই টুকুৰিয়াই চাইছিলোঁ, তহঁত তেনেই কেঁচা । আৰু বহুত ভুগিবি তহঁতে । অত্যাচাৰৰ জুইত আৰু পুৰিলেহে তহঁত পকা হবি । হেৰৌ, সাহ লাগে সাহ । মই যিহকে কওঁ তাতেই হয়ভৰ দিয় কিয় ।"

"আপোনাৰ কথা পেলাব পাৰি জানোঁ, দেউতা ?"

তহঁতৰ মানুহবোৰক সুধি চাচোন কি কয় ।"

নগঞা ৰাইজি গৈছিল ৰজাৰ কাষলৈ বিচাৰ বিচাৰি । গৌৰীনাথ স্বৰ্গদেউ নগাঁৱৰ বাহৰত থাকোঁতে বৰুৱা ফুকনবোৰে পাণ-তামোল, চাউল-পাতৰ যোগান ধৰিছিল বাহৰত । জীয়ৰী ছোৱালীও নি বিলাইছিল । তেতিয়া বিষয়াৰ অত্যাচাৰত জুৰুলা ৰাইজ ৰজাৰ কাষ চাপিছিল । কৈছিল, স্বৰ্গদেউ, আৰ পৰা যাওক । নহ'লে বা-বিষয়াকে সলাই দিয়ক । " স্বৰ্গদেৱে সুধিলে, "কাক নো বিষয়া লাগে তহঁতক ? সিহঁতে ক'লে আগৰ ফুকন বৰুৱা হোৱা মানুহ আছে, আন মানুহো আছে, তেওঁলোকক দিয়ক । বিষয়া সলাবলৈ কৰা এই অনিৰোধৰ আঁৰত আছিল আগৰ বহুতো ভগা বিষয়া আৰু মৰ্যাদলিপ্সু অৱস্থাপন্ন প্ৰজা ! সমান্য পাইকান মানুহ বাখৰৰ ঘৰো জানো বৰুৱা হ'ব খোজা নাছিল । মোৱামৰীয়াৰ বিৰুদ্ধে যুঁজিবলৈ তেতিয়া স্বৰ্গদেৱক মানুহ লাগে । অথচ ৰাজ্যৰ কেউফালে নপতা ৰজাবোৰৰ দপদপনি । তেনেসময়ত বিদ্ৰোহ নাচৰি ৰজাৰ কাষচপা এই প্ৰজাবিলাকৰ কথা স্বৰ্গদেৱে ৰাখিলে ।বৰফুকনকে মুখ্য কৰি ভালেমান বিষয়া সলাই দিলে, কিন্তু এই ন বিষয়াবোৰৰ কোব আৰু চৰিলহে । চহকীৰ প্ৰতাপ আৰু পুৰণা বিষয়াৰ খিয়লাখিয়লিৰ জুইত প্ৰজা মৰোঁমৰোঁ হ'ল । আকৌ আঠ দিনৰ মূৰত সিঁহতেই গৈ আকৌ ৰজাক খাটিলে বোলে আগৰ বিষয়াই ভাল, তেও৬লোককে ৰাখক । গতিকে নগঞা প্ৰজাই জানে বিষয়াৰ ওপৰত ভৰসা কৰি লাভ নাই ।  কিন্তু মটক মৰাণৰ দৰে ফেট তুলি উঠিবলৈকো জানো সিঁহতৰ লাগতিয়াল বস্তুখিনি আছে ? ভোগায়ে ক'লে সাহৰ কথা । কিন্তু সাহেও সকলো নে ? তাৰ সাহ আহে ক'ৰ পৰা ? তাৰ বাবে লাগে কিবা এটা বিশ্বাস - যিটো মোৱামৰীয়া বিলাকৰ আছিল - আৰু লাগে উপযুক্ত নায়ক । মোয়ামৰীয়াৰ আছিল চতুৰ্ভূজ গোসাঁই ।

নগঞা প্ৰ্জাই বিষয়াৰ ওপৰাতেই নিৰ্ভৰ কৰি থাকিবনে সদায় । সিঁহতে যেন বুজি পাইছে বিচাৰ দুৰ্বলৰ হে অস্ত্ৰ । তেন্তে নিজৰ শক্তিৰে কিবা এটা কৰিব লাগিব নেকি ? কি ক'ব খুজিছে বাৰু এই ভোগাই বৰুৱা নামৰ বিষয়াজনে ? আৰু কিবা পাক লগাব লগাব খোজা নাইতো এওঁ !

অদহীয়া কুমাৰ ক'লামণিয়ে ক'লে, দেউতা, এই বুঢ়াৰ মনত এটা কথা খেলাইছে । মই কুমাৰে এটা কথা জানো, চৰু জিমানে পুৰিব সিমানে টান হ'ব । সিদিনা বাখৰ বৰাই লগোৱা জুইত পুৰি আমি ভস্‌ম হোৱা নাই - টানহে হৈছোঁ । আৰু জ্বলাওক, আমি টানহে হ'ম । শেষত হ'ম শিল । শিলত গুৰিয়াই   "

ভোগয়ে বুজিলে তেওঁৰ কথাই ফল ধৰিছে । কিন্তু নাই , আৰু বেছিলৈ যাবলৈ দিব নোৱাৰি । তেনেহ'লে হয়তো নিজৰ প্ৰতিষ্ঠাৰ বাটতো হেঙাৰ পৰিব । ভোগাইৰ মত হ'ল, সাধাৰণ মানুহৰ মনত শক্তিৰ সঞ্ছাৰ কৰিবা, কিন্তু সেই শক্তিৰ মূল্য নিৰূপণ কৰিব নিদিবা ।যদি সিহঁতে বুজি পায় সিহঁতৰ শক্তিৰ পৰিমাণ, তেতিয়া হ'লে সিহঁতক দমাই ৰখা টান হ'ব ।  নাই আৰু বেছি পৰ মেল মাৰি তেওঁ আত্যহত্মাৰ বাট মুকলিকৈ নলয় । তামোল এখন মুখত ভৰাই তেওঁ উঠিবলৈ গা দাঙি ক'লে, চাবি আকৌ, বেছিকৈ পুৰিলে চৰু গুচি জাওঁহে হ'ব ।"

ভোগাই উঠা দেখি মানুহখিনিও ল্ঠিল । তেনেতে উধাতু খাই ল'ৰা এটা সোমালহি । পিন্ধি থকা গামোচাখন প্ৰায় খুলিয়ে গৈছিল । কোনোমতে মুঠি মাৰি ধৰি আছে ।

"পিতাই, পিতাই নিলে ঐ ।"

গোটেইখিনি মেল উচপ খাই উঠিল । কি? মোৱমৰীয়া নে ৰজাঘৰীয়া চন্তৰী ? নে প্ৰত্যক্ষ সংগ্ৰাম কৰিব বাখৰে আগবাৰিছে অৱশেষত ? হাফিজুৰ হাজৰিকাই কিবা খবৰ দিলেগৈ নেকি বাখৰক ? এনে দিন-কালত কাকো বিশ্বাস কৰিব নোৱাৰি । কিন্তু হ'ল কি? নিলে কাক?

ল'ৰাটোৱে ফেকুৰি ফেকুৰি থোকাথুকি মাতেৰে ক'লে, "মই নহয়, আহি আছিলোঁ নহয় মাহীহঁতৰ ঘৰ পোৱাৰ   বৌৱে নহয় পঠিয়াইছিল চেৰেকা এটা "

হেৰ' কাক নিলে ? কোনে নিলে ? ভালকৈ নকৱ কিয় ? " ক'লামণিয়ে ডবিয়ালে ।

"বৌ-ক । মো" ভয় লাগে দেখি বৌ আহিছিলে নহয় মোক আগবঢ়াই দিবলৈ   কেঁকুৰিটোতে বেয়া বেয়া গোন্ধ   ঘূৰি দেখোঁ বৌ নাই !"

মানুহবিলাকৰ মাজ বৰ খৰখেদাকৈ কিবাএটা আলোচনা হ'ল । চিপাহী চন্তৰী হ'লে ক'লামণিৰ ঘৈণীয়েৰৰ দৰে বুঢ়ী এজনী নিনিয়ে । আৰু মানুহে ইমান নিঃশব্দে ধৰি নিব নোৱাৰে । ল'ৰাটোৱে নিশ্চয় টনা আজোৰা দেখিলেহেঁতেন । দ'ত যখে মানুহৰ জীৱহে নিয়ে শ'টো নিনিয়ে । কিন্তু বেয়া গোন্ধটো ? হঠাৎ এজনে চিঞৰি উঠিলে "নিশ্চয় বনৰজা "

ৰাইজেউ দোহাৰি ক'লে "হয়, বনৰজাই হয় ।"

ভোগায়ে স্বস্তিৰ নিঃশ্বাস পেলালে । বাঘ । গৰগঞা বাঘটোৱে কুমাৰণী এজনী খালে । হঠাৎবিজুলী সঞ্চাৰে  তেওঁৰ মনত কথা এটা খেলালে । দিহা-দিহি যাব খোজা মানুহবোৰৰ ফালে চাই তাচ্ছিল্য মিহলি সহানুভূতিৰ সুৰত শুনা নুশুনাকৈ ক'লে , " বাঘে মৰাও মৰা, বৰাই মৰাও মৰা ।" তাৰ পিচত ৰাইজৰ ফালে চাই ডাঙৰকৈ ক'লে, "দোচমনক বধিবহে লাগে । ৰাইজ ওলাব লাগে ।" তাৰ পিচত বৰ্হমচৰীয়াক বাঘজাল কেইখনমান উলিয়াবলৈ দিহা দি তেওঁ উঠিল ।


সপ্তম অধ্যায়                                                                                                                           নৱম অধ্যায়