হে পর্বত, যত নদী করি নিরীক্ষণ , তোমাতেই করে তারা জনম গ্রহণ । ছোট বড় ঢেউ সব তাদের উপরে কল কল শব্দ করি সবে ক্রীড়া করে , সেই নদী বেঁকে চুরে যায় দেশে দেশে , সাগরেতে পরে গিয়া সকলের শেষে ।
আমি অর্থাৎ শ্রী গোবিন্দ মানুষটি নই বাঁকা ! যা বলি তা ভেবেই বলি , কথায় নেইকো ফাঁকা এখানকার সব সাহেবসুবো, সবাই আমায় চেনে দেখতে চাও তো দিতে পারি সার্টিফিকেট এনে ভাগ্য আমায় দেয় নি বটে করতে বি, এ, পাশ তাই বলে কি সময় কাটাই কেটে ঘোড়ার ঘাস ? লোকে যে কয় বিদ্যে আমার কথামালায় শেষ এর মধ্যে সত্যি কথা নেইকো বিন্দুলেশ ।
সোনার মেঘে আলতা ঢেলে সিঁদুর গায় সকাল - সাঝে সূর্যিমামা নিত্যি আসে যায় । নিত্যি খেলে রঙের খেলা আকাশ ভরে ভরে আপন ছবি অবনী মুছে আঁকে নুতন করে । ভোরের ছবি মিলিয়ে দিল দিনের এল জ্বেলে , সাঁঝের আঁকা রঙিন ছবি রাতের কালি ঢেলে । আবার আঁকে, আবার মোছে দিনের পরে দিন আপন সাথে আপন খেলা চলে বিরামহীন ।
গিরিধি আরামপুরী , দেহ মন চিৎপাত ; খেয়ে শুয়ে হুহু ক'রে কেটে যায় দিনরাত ; হৈ চৈ হাঙ্গামা হুড়োতাড়া হেথা নেই ; মাস বার তারিখের কোনো কিছু ল্যাঠা নেই ; খিদে পেলে তেড়ে যাও , ঘুম পেলে ঘুমিও - মোট কথা কী আরাম , বুঝলে না তুমিও ! ভুলেই গেছিনু কোথা এই ধরা মাঝেতে আছে সে শহর এক কলকেতা নামেতে -
কাগজ কলম বসিয়াছি সদ্য , আষাঢ়ে লিখিতে হবে বরষার পদ্য । কি যে লিখি কি যে লিখি ভাবিয়া পাই রে , হতাশে বসিয়া তাই চেয়ে থাকি বাইরে । সারাদিন ঘনঘটা কালো মেঘ আকাশে , ভিজে ভিজে পৃথিবীর মুখখানা ফ্যাকাশে ।
ও হাড়গিলে, হাড়গিলে ভাই , খাপ্পা দেখি বড্ড আজ ! ঝগড়া কি সাজে তোমার ? এই কি তোমার যোগ্য কাজ ? হোমরা-চোমরা মান্য তোমরা বিদ্যে, বুদ্ধি, মর্যাদায় , ওদের সঙ্গে তর্ক করছ - নাই কি কোন লজ্জা তায় ?