এক
ওই এল বৈশাখ, ওই নামে গ্রীষ্ম,
খাই খাই রবে জেনো ভয়ে কাঁপে বিশ্ব !
চোখে যেন দেখি তার ধূলিমাখা অঙ্গ,
বিকট কুটিলজটে ভ্রুকুটির ভঙ্গ,
রোদে রাঙা দুই আঁখি শুকায়েছে কোটরে,
ক্ষুধার আগুন যেন জ্বলে তার জঠরে !
মনে হয় বুঝি তার নিশ্বাসমাত্রে
তেড়ে আসে পালাজ্বর পৃথিবীর গাত্রে !
ভয় লাগে, হয় বুঝি ত্রিভুবন ভস্ম -
ওরে ভাই, ভয় নাই , পাকে ফলশস্য !
খাই খাই রবে জেনো ভয়ে কাঁপে বিশ্ব !
চোখে যেন দেখি তার ধূলিমাখা অঙ্গ,
বিকট কুটিলজটে ভ্রুকুটির ভঙ্গ,
রোদে রাঙা দুই আঁখি শুকায়েছে কোটরে,
ক্ষুধার আগুন যেন জ্বলে তার জঠরে !
মনে হয় বুঝি তার নিশ্বাসমাত্রে
তেড়ে আসে পালাজ্বর পৃথিবীর গাত্রে !
ভয় লাগে, হয় বুঝি ত্রিভুবন ভস্ম -
ওরে ভাই, ভয় নাই , পাকে ফলশস্য !
তপ্ত ভীষণ চুলাজ্বালি নিজ বক্ষে
পৃথিবী বসেছে পাকে, চেয়ে দেখ চক্ষে,
আমি পাকে জাম পাকে, ফল কত পাকে যে
বুদ্ধি যে পাকে কত ছেলেদের মগজে !
দুই
সর্বনেশে গ্রীষ্ম এসে বর্ষশেষে রুদ্রবেশে
আপন ঝোঁকে বিষম রোখে আগুন ফোঁকে ধরার চোখে ।
আপন ঝোঁকে বিষম রোখে আগুন ফোঁকে ধরার চোখে ।
তাপিয়ে গগন, কাঁপিয়ে ভুবন মাতলো তপন নাচলো পবন ,
রৌদ্র ঝলে আকাশতলে অগ্নি জ্বলে জলেস্থলে ।
ফেলছে আকাশ তপ্ত নিশাস, ছুটছে বাতাস ঝলসিয়ে ঘাস ,
ফুলের বিতান শুখনো শ্মশান , যায় বুঝি প্রাণ হায় ভগবান ।
দারুন তৃষায় ফিরছে সবায় জল নাহি পায় , হায় কি উপায়,
তাপের চোটে কথা না ফোটে, হাপিয়ে ওঠে, ঘর্ম ছোটে ।
বৈশাখী ঝড় বাধায় রগড়, করে ধড়ফড় ধরার পাঁজর ,
দশ দিক হয় ঘোর ধূলিময়, জাগে মহাভয় হেরি সে প্রলয়,
করি তোলপাড় বাগান বাদাড় ওঠে বারবার ঘন হুঙ্কার,
শুনি নিয়তই, থাকি থাকি ওই হাঁকে হয় হৈ , মাভৈ মাভৈ ।।
No comments:
Post a Comment