Rabindra Nath Tagore - Shishu Bholanath


                          হারিয়ে যাওয়া 


                       ছোট্ট আমার মেয়ে
             সঙ্গিনীদের ডাক শুনতে পেয়ে
সিঁড়ি দিয়ে নিচের তলায় যাচ্ছিল সে নেমে
        অন্ধকারে ভয়ে ভয়ে , থেমে থেমে।
             হাতে ছিল প্রদীপখানি ,
আঁচল দিয়ে আড়াল ক'রে চলছিল সাবধানী  ।।
                          আমি ছিলাম ছাতে
          তারায় ভরা চৈত্র মাসের রাতে।
                   হঠাৎ মেয়ের কান্না শুনে,  উঠে
                         দেখতে গেলাম ছুটে।
          সিঁড়ির মধ্যে যেতে যেতে
       প্রদীপটা তার নিভে গেছে বাতাসেতে ।
          শুধাই তারে 'কি হয়েছে বামি ? '
সে কেঁদে কয় নিচে থেকে , 'হারিয়ে গেছি আমি। '

     তারায় ভরা চৈত্র মাসের রাতে
                     ফিরে গিয়ে ছাতে
      মনে  হল  আকাশ-পানে চেয়ে ,
আমার বামীর মতোই যেন অমনি  কে এক মেয়ে
                   নীলাম্বরের আঁচলখানি ঘিরে
             দীপশিখাটি বাঁচিয়ে এক চলছে ধীরে ধীরে।
       নিবত যদি আলো, যদি হঠাৎ যেত থামি,
আকাশ ভোরে উঠত কেঁদে 'হারিয়ে গেছি আমি !'


                  ঠাকুরদাদার ছুটি 


তোমার ছুটি নীল আকাশে , তোমার ছুটি মাঠে,
তোমার ছুটি থইহারা ওই দীঘির ঘাটে ঘাটে।
তোমার ছুটি তেঁতুল-তলায়, গোলাবাড়ির কোণে ,
তোমার ছুটি ঝোপেঝাপে পারুলডাঙার বনে।
তোমার ছুটির আশা কাঁপে কাঁচা ধানের ক্ষেতে ,
তোমার ছুটির খুশি নাচে নদীর তরঙ্গেতে ।।

আমি তোমার চশমা-পরা বুড়ো ঠাকুরদাদা,
বিষয়-কাজের মাকড়সাটার বিষম জালে বাঁধা।
আমার ছুটি সেজে বেড়ায় তোমার ছুটির সাজে।
তোমার কন্ঠে আমার ছুটির মধুর বাঁশি বাজে।
আমার ছুটি তোমারই ওই কাপল চোখের নাচে,
তোমার ছুটির মাঝখানেতেই আমার ছুটি আছে ।।

তোমার ছুটির খেয়া বেয়ে শরৎ এল মাঝি ,
শিউলিকানন সাজায় তোমার শুভ্র ছুটির সাজি।
শিশির হাওয়া শিরশিরিয়ে কখন রাতারাতি
হিমালয়ের থেকে আসে তোমার ছুটির সাথী
অশ্বিনের এই আলো এল ফুল-ফোটানো ভোরে
তোমার ছুটির রঙে রঙিন চাদরখানি প'রে ।।

আমার ঘরে ছুটির বন্যা তোমার লাফে-ঝাঁপে ,
কাজকর্ম হিসাবকিতাপ থরথরিয়ে কাঁপে।
গলা আমার জড়িয়ে ধর, ঝাঁপিয়ে পড় কোলে -
সেই তো আমার অসীম ছুটি প্রাণের তুফান তোলে।
তোমার ছুটি কে যে জোগায় জানি না তার রীত-
আমার ছুটি জোগাও তুমি , ওইখানে  মোর জিত ।।



                            মনে-পড়া 


                      মাকে আমার পড়ে না মনে।
শুধু কখন খেলতে গিয়ে হঠাৎ অকারণে
একটা কি সুর গুনগুনিয়ে কানে আমার বাজে ,
মায়ের কথা মিলে যেন আমার খেলার মাঝে।
মা বুঝি গান গাইত আমার দোলনা ঠেলে ঠেলে -
মা গিয়েছে, যেতে যেতে গানটি গেছে ফেলে ।।

                     মাকে আমার পড়ে  না মনে।
শুধু যখন অশ্বিনেতে নহরে শিউলিবনে
শিশির ভেজা হাওয়া বেয়ে ফুলের গন্ধ আসে
তখন কেন মায়ের কথা আমার মনে ভাসে।
কবে বুঝি আনত  মা সেই ফুলের সাজি বয়ে -
পুজোর গন্ধ আসে যে তাই মায়ের গন্ধ হয়ে ।।

                    মাকে  আমার পড়ে  না মনে।
শুধু যখন বসি গিয়ে সবার ঘরের কোণে।,
জানলা থেকে তাকাই দূরে নীল আকাশের দিকে -
মনে হয় মা আমার পানে চাইছে অনিমিখে।
কোলের প'রে ধ'রে কবে দেখতো আমায় চেয়ে ,
সেই ছাউনি রেখে গেছে সারা আকাশ ছেয়ে ।।
                                                             
 ৯ আশ্বিন ১৩২৮


                         খেলাভোলা 


তুই কি ভাবিস দিনরাত্তির খেলতে আমার মন ?
কক্ষনো তা সত্যি না মা, আমার কথা শোন।
সেদিন ভোরে উঠে দেখি       বৃষ্টিবাদল গেছে ছুটে।,
রোদ উঠেছে ঝিলমিলিয়ে বাঁশের  ডালে ডালে।
ছুটির দিনে কেমন সুরে       পুজোর সানাই বাজছে দূরে ,
তিনটে শালিক ঝগড়া করে রান্নাঘরের চালে
খেলনাগুলো সামনে মেলি      কি-যে খেলি, কি-যে খেলি ,
সেই কথাটাই সমস্তখন ভাবনু আপন মনে।
লাগল না ঠিক কোন খেলাই ,     কেটে গেল সারা বেলাই -
রেলিং ধরে রইনু বসে বারান্দাটার কোণে ।।

খেলা ভোলার দিন , মা, আমার আসে মাঝে মাঝে -
সেদিন আমার মনের ভিতর কেমনতরো  বাজে।
শীতের বেলায় দুই পহরে      দূরে কাদের ছাদের 'পরে
ছোট্ট মেয়ে রোদ্দুরে দে বেগনি রঙের শাড়ি।
চেয়ে চেয়ে চুপ করে রই      তেপান্তরের পার বুঝি ওই -
মানে ভাবি ঐখানেতেই আছে রাজার বাড়ি।
থাকত যদি মেঘে-ওড়া     পক্ষিরাজের বাচ্চা ঘোড়া,
তক্ষুনি যে যেতেম টরে লাগাম দিয়ে ক'ষে।
যেতে যেতে নদীর তীরে        ব্যাঙ্গমা আর ব্যাঙ্গমীরে
পথ শুধিয়ে নিতাম আমি গাছের তলায় বসে ।।

এক-একদিন যে দেখেছি তুই বাবার চিঠি হাতে
চুপ করে কি ভাবিস বসে ঠেস দিয়ে জানলাতে।
মনে হয় তোর মুখে চেয়ে     তুই যেন কোন দেশের মেয়ে,
যেন আমার অনেক কাছের অনেক দূরের মা।
কাছে গিয়ে হাতখানি ছুঁই -     হারিয়ে-ফেলা মা যেন তুই ,
মাঠ -পারে কোন বটের তলার বাঁশির সুরের মা।
খেলার কথা যায় যে ভেসে,     মনে ভাব কোন কালে সে
কোন দেশে তোর বাড়ি ছিল কোন সাগরের কূলে !
ফিরে যেতে ইচ্ছে করে       অজানা সেই দ্বীপের ঘরে
তোমায় আমায় ভোরবেলাতে নৌকাতে পাল তুলে ।।
                                                                   
১১ আশ্বিন ১৩২৮

                     ইছামতী 


যখন যেমন মনে করি তাই হতে পাই যদি ,
আমি তবে এক্ষনি  হই  ইচ্ছামতী নদী।
রাইবে আমার দক্ষিণ ধারে সূর্য-ওঠার পার।,
বাঁয়ের  ধারে সন্ধেবেলায় নামবে অন্ধকার ,
আমি কইব মনের কথা দুই পারেরই সাথে -
আধেক কথা দিনের বেলায় , আধেক কথা রাতে ।।

যখন ঘুরে ঘুরে বেড়াই আপন গাঁয়ের ঘাটে
ঠিক তখনি গান গেয়ে যাই দূরের মাঠে মাঠে।
গাঁয়ের  মানুষ চিনি  - যারা নাইতে আসে জলে ,
গোরু মহিষ নিয়ে যারা সাঁৎরে  ও পার চলে।
দূরের মানুষ যারা তাদের নতুন তার বেশ -
নাম জানি নে, গ্রাম জানি নে , অদ্ভুতের এক-শেষ ।।

জলের উপর ঝলোমলো টুকরো আলোর রাশি -
ঢেউয়ে ঢেউয়ে পরীর নাচন, হাততালি আর হাসি।
নীচের তলায় তলিয়ে যেথায় গেছে ঘাটের ধাপ
সেইখানেতে করা সবাই রয়েছে চুপ চাপ।
কোণে  কোণে আপন-মনে করছে তারা কী কে ,
আমারই ভয় করবে কেমন তাকাতে সেই দিকে ।।

গাঁয়ের  লোকে কিনবে আমার কেবল একটুখানি,
বাকি কোথায় হারিয়ে যাবে আমিই সে কি জানি।
এক ধারেতে মাঠে ঘাটে সবুজ বোরন শুধু ,
আর এক ধারে বালুর চরে রৌদ্র করে ধূ  ধূ।
দিনের বেলায় যাওয়া আসা , রাত্তিরে থম থম -
ডাঙ্গার পানে চেয়ে চেযে করবে গা ছম-ছম ।।

২৩ আশ্বিন ১৩২৮

                             তালগাছ 


তালগাছ              এক পায়ে দাঁড়িয়ে
                          সব গাছ ছাড়িয়ে
                                        উঁকি মারে আকাশে।
মনে সাধ              কালো মেঘ ফুঁড়ে যায়,
                           একেবারে উড়ে যায়  -
                                        কোথা  পাবে পাখা সে ।।
তাই তো সে          ঠিক তার মাথাতে
                           গোল গোল পাতাতে
                                       ইচ্ছাটি মেলে তার
মনে মনে              ভাবে বুঝি ডানা  এই ,
                           উড়ে যেতে মণ নেই               
                                       বাসাখানি ফেলে তার ।।

সারাদিন              ঝরঝর থত্থর
                          কাঁপে  পাতাপত্তর
                                       ওড়ে  যেন ভাবে ও -
মনে মনে              আকাশেতে বেড়িয়ে
                           তারাদের এড়িয়ে
                                       যেন কোথা যাবে ও ।।

তার পরে              হাওয়া যেই নেমে যায়,
                           পাতা-কাঁপা  থেমে যায়,
                                       ফেরে তার মনটি --
সেই ভাবে             মা যে হয় মাটি তার ,
                           ভালো লাগে আরবার পৃথিবীর কোণটি ।।
                                                                           
 ২ কার্তিক ১৩২৮











Krang Shuri Falls - Picturesque and peaceful

We, a senior colleague of me and I, started from Guwahati at around seven in the morning, one hour later than we planned. We were not very sure about the route but very confident that google maps will guide us to the right place. After an hour of driving, we stopped at Jiva Veg restaurant for a breakfast as none of us had breakfast at home. But then the place was too crowded and waiter informed us that we may have to wait for about half hour before we can have a seat and order for a breakfast.

We gave up the idea of breakfast at the restaurant and moved forward and after sometime, we stopped by a roadside dhaba and had some decent breakfast with Puri Sabji. We started again at around 9:30 and reached Barapani by 10. We were in no mood to go through Shillong and therefore took the bypass towards Khliehriat. 


Rat-hole mining in the hills beside road

The route towards Khliehriat is beautiful with hills on both side of the road, small villages a few kilometres and small paddy fields in the valleys between hills. The road, though not a four lane one like the Guwahati-Shillong highway, is smooth for a nice and relaxing road trip. Enjoying the roadside sceneries we reached Mukhla at around 11 and took help of Google maps to determine if we are going in the right direction. We took right towards Jowai. From Jowai we took right to take Jowai Dowki road. From Jowai, Dowki is around 50 km and Krangshuri is around half the distance. A portion of road from Jowai towards Dowki is in bad condition but after that road is fantastic. We crossed the Myntdu river and kept driving through the hills to reach sprawling valleys spread between the road and upto distant hills. We drove for 180 km to reach the falls location at around 12:30. From the highway there's a one kilometre drive upto the parking location. The route is not yet metalled but no problem for bigger cars. Small cars can go through too, but may have to be extra careful specially after rain.

We took our camera and trekked down from the parking to the waterfall. Its around two to three hundred feet walk on stone steps down to the waterfall. The falls are not loud enough that you can hear the roar from parking location. The walk down the steps bring some cheers as we finally reached a wooden viewpoint from where the upper portion of falls can be seen.


We walked down to the ticket counter and booked two tickets @ 40 per Adult. Theres not much hue and cry and other commercial activities and there is peaceful environment around as is expected in natures lap.

Just below the ticket booth theres one restaurant and the falls is just below it. We straightway went the falls. Its not a very high or big one but definitely superbly beautiful one that is worth the travel. Its a certain of water falling from height of around 40 feet to the water below in a single plunge. A beautiful blue pool of water is created below the falls. There are small and large rocks on which one can sit and behold the waterfall in front for hours.

The fall from the stone staircase that leads to the pool below

As we gathered that there is tent for night halt, we planned to stay there at night. Every basic facility for night stay at tents near the falls is provided. The tent price for three people is a meagre 500 Rupees. We two stayed at night in the tents had dinner at the restaurant walked around the place to enjoy the serene atmosphere. The sound of waterfall, crickets/cicadas and black starry night created a perfect ambient for a great sleep.

Next morning it was drizzling. There is a dam like structure created in upper portion of the waterfall. It creates a passage to cross the stream to go to the other end and at the same time creates a pool that is safe enough for swimming.

The passage joining two sides of the steam


We had our breakfast at the restaurant after we shot couple of photographs. We left the place thanking the staffs of the canteen for their amazing hospitality.

The restaurant serves good food with great hospitality


It was a great feeling being there and staying at night. But as if that was not enough offer from nature,  the scenic beauty of the road while coming back was breathtaking. We moved through clouds now and then. Entering the clouds and coming out of it was a normal phenomena. It was too dreamy a ride from the falls towards Jowai for at least upto Jarain.

En-route back from the falls

And then the sun came out to present us a beautiful bright day that was so blissful that one cannot but admire the beauty of nature. 

Meadow above Tyrshi falls

We drove and stopped wherever we got chance to shoot some picturesque place to capture the memories of what we saw. Tyrshi fall is one such location. It was a great journey and awesome destination to say the final words.



Drawing Tutorial 028 - Single point perspective

Single point uses the very basic technique of rendering the depth of three dimensional world on  ২ dimensional surface such as paper. As discussed in the earlier tutorial, perspective drawing uses two main terminology. One is horizon line and other is vanishing point.

In case of single point perspective, there is one horizon line and one vanishing point. This is the simplest way of depicting the three dimensional world in two dimensional drawing surface. The idea behind the single point perspective is that distortion is rendered in only one axis.

Horizon line is chosen depending on the height of the observers eye level in respect to the frame being rendered. The point on the horizon line where everything would be so small that they would seem to disappear is the vanishing point.

Drawing tutorial 027 - Basics(Part 5) - Perspective

When we start to draw things from memory as beginner we tend to draw them in a way we perceived the object in our brain rather than how we saw it. A good example is to draw hair - we are tempted  to draw hair by hair. We know that individual hairs make the whole volume of the so called 'hair' on the head. But do we generally see individual hair?

In a similar way, we as a beginner, tend to miss how we see dimensions such as length, breadth and height of objects around us. As a result, we draw a rectangular building as a rectangle. It may sound crazy, but we do not see it as a rectangle but our brain perceives it that way.


How big an object appears to us depends on the angle that is created by the object in our eye. We have experienced it. It is for this reason, things appear smaller when its away. Our brain can still perceive, in most cases, the actual size of the object by comparing other parameters such as how far the object is, known objects around it, Colour variation etc.

New post series - Sketch madness

Guys! Its has been a decade I wanted to make it a routine to draw regularly. But I failed every time I made a commitment to myself. So I decided that this time I will not make commitment to myself rather I will commit to you to draw regularly. But there is a rider. The drawings are not intended to be refined drawing so as to call it an piece of art. Its a creative process and this time I am going to stick to it.

I will create a post and keep posting new drawings in that post daily for a a year!! I grant permission to myself to draw in any medium, any surface and any style. But no day without a drawing.

Keep watching the post. Its Sketch Madness !!! 

Some famous poems of Amulya Baruah


Amulya Baruah has written some very intriguing poems about the dark side of the society and men's nature. Here are some of his finest creations.

আন্ধাৰৰ হাহাকাৰ


হেমন্তৰ সেমেকা সন্ধিয়া
পশ্চিমৰ আকাশৰ এক প্ৰান্তৰত জ্বলা
শেহৰ পোহৰে চুমে
কোলাহল ধৰণীৰ মৌন অন্ধকাৰ৷
শীতৰ পৰশ পাওঁ পাওঁ
পাত সৰা গছবোৰ
পৃথিৱীৰ ওপৰত থিয় হ’ই
হা-হতোস্মিৰ সুৰে আৰ্তনাদ কৰি
প্ৰকাশিছে অন্তৰৰ গভীৰ হতাশা ৷
সিহঁতৰ হতস্তম্ভ জীৱনৰ কৰুণ ট্ৰেজেডি;
দুদিন পিছতে যেন মৃত্যুৰ কৰাল গ্ৰাসে ধৰিব আৱৰি৷
আকাশৰ পূব প্ৰান্তৰত
কিবা এটা চাঞ্চল্যৰ মৃদুল স্পন্দন,
জীৱন-সৃষ্টিৰ এটা নতুন উল্লাস ।
নীলিম আকাশ
দূৰ-দূৰান্তৰ জিনি নীলা ৰং ঢলা ৷
তাৰ মাজে মাজে
ইপিনে সিপিনে
এটুকুৰা দুটুকুৰা ছিগা-ভগা ক’লা ডাৱৰৰ
শক্তিহীন চাব৷
অদূৰতে ডাৱৰৰ অলপ পিছতে
আঁৰ লই লই জ্বলে ৰূপালী জ্যোতিৰ শিখা-
জনহীন প্ৰান্তৰৰ
দেশহীন, মাটিহীন
শূন্যৰ কোলাত উঠা
নৱমীৰ নতুন জোনটো৷
হাঁহি হাঁহি পাৰ ভাঙি ঢালি দিব খোজে তাৰ
জোনাকৰ ঢল৷
তলৰ পৃথিৱী হয়
অলপ পোহৰ৷
খাল, বিল,
নৈ, জান, জুৰি
ঘিণ লগা গোন্ধত অত্কাৰ
মহানগৰীৰ দাঁতিয়েদি বৈ যোৱা যত
ড্ৰেইন্ আৰু নৰ্দমাৰ জল৷
খন্তেক উজলি উঠে
নিজ ৰূপ ঢাকি আন্ধাৰৰ আঁচলত
জিল্ জিল্ কৰি৷
আকাশৰ মহোৎসৱ-
অকল জোনেই নহয়,
ৰাশি ৰাশি তৰাবৃন্দ
ৰাশি ৰাশি নক্ষত্ৰৰ আলোক-উৎস;
সজায় দীপালী যেন
সৰ্ব্ব্যাপ্ত মহাদিগন্তৰ
কক্ষে কক্ষে
উকি মাৰি মাৰি৷
মই যাওঁ পৃথিৱীৰ মাটিৰ মানুহ
মাটিয়েদি খোজ কাঢ়ি কাঢ়ি
বাস্তৱৰ বিকৃত বিপদে ঢকা
মোৰ প্ৰতিকৃতি
সেই অন্ধকাৰ বাটটোত
অকলে অকলে ;
শান্তিহীন, শ্ৰান্তিহীন
মহাসমৰৰ দাবানলে পোৰা
পৃথিৱীৰ শ্মশানত
ভয় লগা স্পিৰিটৰ দৰে ৷
শক্তিৰ কঁপনি উঠে
অন্তৰৰ আঁহে আঁহে,
বিদ্ৰোহ-অগনি জ্বলে চকুৰ শিখাত,
বিদগ্ধ বিধ্বস্ত স্তূপত মোৰ
নতুন সৃষ্টিৰ
প্ৰতিজ্ঞাৰ অটল বিশ্বাস থাপি;
ভাবৰ বুকুত
মুহূৰ্ত্তৰ ভিতৰতে গুৰি কৰি
লক্ষ লক্ষ শতাব্দীৰ so-called সভ্যতাৰ বিলাস-বৈভৱ ।
এবাৰ জোনটো ডাৱৰে ঢাকে ৷
পৃথিৱীৰ বুভুক্ষিত হতভগা দলে
চেপি ৰখা হাই-উৰুমিৰ
নাকত লাগেহি মোৰ তপত নিশ্বাস
বিকৃত গোন্ধৰ কিবা নৱ আৱিষ্কাৰ !
সিহঁতৰ খকা খুন্দা লাগি যায়
আন্ধাৰৰ আঁৰালত গছৰ তলত
- কোনোবা মানৱৰ প্ৰসাদৰ
উচ্ছিষ্ট যচা প্ৰসাদৰ বাবে
দানৱৰ হিংস্ৰ তীব্ৰ ক্ষুধা !
মোৰ ভৱিষ্যৰ সমাজৰ সংস্কাৰ কৰা,
নতুন জগত গঢ়া
বিদ্ৰোহী কল্পনা যায় মিলি
সিহঁতৰ জৰাকীৰ্ণকায়াৰ ছাঁয়াত৷
হায়,
সৰু সৰু অশৃঙ্খল
মানুহৰ জীৱনেৰে সিহঁতো এজাক
নিষ্পেষিত, ৰুক্ষ, শুষ্ক অনাথৰ দল !
সিহঁতে হাঁহে
বিকৃত চিয়ঁৰ মাৰি
আন্ধাৰৰ শূন্যতাত
সিহঁতৰ বগা দাঁতবোৰ নিকটায়
তাৰ পিছত- অসম্ভৱ !
ধূলিৰ জোঁৱাৰ তুলি
মুঠি মুঠি জাৱৰৰ হোলি খেলি খেলি
প্ৰচণ্ড ধুমুহা তোলে
‘মাৰ কাট্ খা’ ৰ
ভয়ঙ্কৰ হুলস্থূল ৷
এনেতে
জীৱনৰ অতিৰিক্ত মমতাৰ অন্ধতাত
জোনৰ পোহৰে সানে চেকা৷
জোনটো ওলায়৷
সিহঁত নিস্তব্ধ হই যায় !!
সিহঁতৰ আন্ধাৰ
হাঁহিৰ হুঙ্কাৰ
‘মাৰ কাট্ খা’ ৰ
নৃত্য-প্ৰহেলিকা?
সিহঁতৰ জীৱনৰ অধিকাৰ
আন্ধাৰৰ আসুৰিক দুৰ্বলতা,
নীচতা, দীনতা,
প্ৰেতাত্মাৰ গোপন অভিসন্ধি
তল পৰি যায় ৷
ধৰণীৰ আনন্দৰ পোহৰত যেন
এইখন মৰা দানৱৰ সাৰশূন্য দেশ !
জোনৰ পোহৰে
সিহঁতৰ নিৰ্মম নগ্নতা ঢাকি
মাৰ যোৱা বাস্তৱৰ আন্ধাৰত তৰে
সৌন্দৰ্য্যৰ মৰীচিকাময় জিল্মিল চিকুণ সপোন৷
আৰু মই?
বাস্তৱৰ ৰহস্যৰ আত্ম-বিস্মৃতিত পৰি
থাকোঁ চাই
সিহঁতৰ ক’লা ক’লা লেতেৰা জীৱনবোৰ
সিহঁতৰ আন্ধাৰৰ হাহাকাৰ
আৰু

জোনাকৰ পৰিহাস ।।



কুকুৰ



সউদল কুকুৰ
প্ৰত্যেকটো ৰাস্তাৰ
আৱৰ্জনাৰ দ’মবিলাকৰ কাষে কাষে
সিহঁতৰ প্ৰত্যেকৰে মুখে মুখে
ৰস নাইকিয়া শুকান একোডোখৰ
জাতি-বৰ্ণবিচাৰ নোহোৱা হাড়;
নাইবা কোনোটোৰ মুখত
ফুটা জোতাৰ একো টুকুৰা লেকেটা চামৰা।
দুই-এটা ভাগ্যৱানৰ বাহিৰে
চুৱা-পাতনিৰ ভাতৰো সিহঁতৰ বাবে অনাটন।
সিহঁতৰ পাছে পাছে ফুৰিছে
গাৰ ছাঁৰ দৰে আন্ধাৰ বুভুক্ষা।
ক্ষুধাৰ তাড়নাত সিহঁতে পাহৰি যায়।
"অহিংসা পৰম ধৰ্ম"
সিহঁতৰ অশৃংখল কোলাহলপূৰ্ণ, হিংসামত্ত সমাজত
ক্ষুধা নিবাৰণৰ কেৱল কঠোৰ সংগ্ৰাম!
যুধিষ্ঠিৰৰ লগত স্বৰ্গাৰোহণৰ আশাত
ধৰ্মযাত্ৰা কৰিবৰ মৰসাহ আৰু সিহঁতৰ নাই।
ক্ষুধাৰ তাড়না,
লোভৰ লেলাৱতি
আৰু চোকা দাঁতৰ কুট্ কুটনিত,
নীৰস হাড় আৰু লেকেটা চামৰাও হয়
সিহঁতৰ বাবে
সৰস আৰু ‘প্ৰটিন’ৰ দৰে কোমল।
ইমান তৃপ্তি সিহঁতৰ!
দাঁতত পেলাই চোবোৱাৰ
নানা কৌণিক ভংগিমাৰে
সিহঁতে যেন আৰু জটিল কৰি দিয়ে
সৃষ্টিৰ এটা পুৰণি জটিল প্ৰশ্ন-
"আমি কেৱল খাবৰ বাবে জীছোঁ নে
আমি জীৱৰ বাবে খাইছো?”
কিন্তু, “খোৱা, পিয়া আৰু স্ফূৰ্তি কৰা"
খাবৰ বাবে জী থকাৰ প্ৰত্যেকটো আহিলাৰে যে
সিহঁতৰ অভাৱ!
জীৱৰ বাবে খাবলৈ
খাদ্যৰ নামতো সিহঁতে পায় মহামাৰীৰ বীজ!
এনেকৈয়ে সিহঁতে মৃত্যুক নিজে মাতি মৰিব,
সিহঁত নিৰুপায়!
সিহঁতৰ প্ৰত্যেকৰে কপালত যে সনা আছে
কুৰি শতিকাৰ সভ্যতাৰ নিলাজ হাতৰ চেকা;
আন্ধাৰ নিশাৰ প্ৰভুৰ ঐশ্বৰ্য-চন্দুক বিশ্বাসী প্ৰহৰী
পোহৰত দুৰ্বল নিষ্পেষিত ঘৃণিত প্ৰভুভক্ত ঢেকুৰা
সকলোৱে সিহঁতক উপলুঙা কৰে;
এইখন পৃথিৱীত কি যে কূট চক্ৰান্ত!
এই দল খাবলৈ নোপোৱা কুকুৰ
ইহঁত নিম্নবংশ জাত।
কিন্তু আৰু এদল আছে
সেই দল কুকুৰে খাবলৈ পায়,
সিহঁত উচ্চ বংশজাত।
সেই দলৰ খাবলৈ পোৱাৰ সভ্যতাত
গঢ়ি উঠিছে
এই দলৰ খাবলৈ নোপোৱাৰ বৰ্বৰতা।

দুয়ো দলৰ নাম কুকুৰ ।।


বেশ্যা 


কুৰি শতিকাৰ যান্ত্ৰিক যুগৰ সভ্যতাৰ
তায়ো এজনী মানুহ ।
তেজ, মাংস, অস্থি, চৰ্ম, স্নায়ুৰে ভৰা
যন্ত্ৰমান দেহ পিঞ্জৰাটোৰ মাজত
বায়বীয় জীৱটোৰ
আৱশ্যকীয় ভোকৰ ভাত আৰু পিয়াহৰ পানীৰ
অভাৱটোৱেই যেতিয়া চুড়ান্ত
আৰু তাৰ বাবেই যেতিয়া এমুঠি টকাৰ প্ৰয়োজন
আত্ম-সন্মানৰ দাম্ভিক চক্‌চকীয়া মুখা পিন্ধা
ৰায়চাহেব শৰ্মা, খানবাহাদুৰ ইকবাল
ই এ চি ফুকনৰ বুকুতো যেতিয়া
তেওঁলোকৰ ঘৰৰ ডিঙিত শিকলি দিয়া বিলাতী কুকুৰটোৰ দৰে
চেপি ৰখা দুৰন্ত কামনাৰ তাড়না
আৰু তাৰে চৰিতাৰ্থৰ বাবেই চোৰৰ দৰে আন্ধাৰৰ আঁৰ লৈ
তাইৰ ঘৰলৈ সিঁহতৰ গোপন আগমন -
এটোপা সুৰা আৰু 'ছাকী'ৰ চাকনৈয়াত উটি
ওমৰৰো যেতিয়া জীৱনৰ নিগূঢ় কৰুণতাৰ 
দাৰ্শনিক ব্যখ্যা দিয়াৰ একান্ত অধিকাৰ
সমাজৰ ব্যভিচাৰত কক্ষচ্যুত,
অৰ্থনৈতিক সমস্যাত জলাকলা
পৰমুখাপেক্ষী মৰিবলৈ ধৰা তাইৰ জীৱনটোক
আত্মসন্মান, নাৰী পৱিত্ৰতাৰ বিৰাট প্ৰবঞ্চনাৰে ঠগি
তিলে তিলে জহি যাবলৈ দিয়া অৰ্থহীন কৌতুকটোক
তাই তাইৰ আৱশ্যকতাহীন জীৱনটোতকৈয়ো বিড়ম্বন বুলি ভাবে
সেয়েহে হয়তো
সুৰা গান আৰু নৃত্যৰ মজলিছৰ আৰাম 'কামৰাত'
পৃথিৱীৰ বোকাৰে সজা দেহা বেচি
তাই হল নৃত্যৰতা কামৰতা, কলুষ বেশ্যা
আজিৰ নগন্য আত্মসন্মানৰ ভীৰুতাক বিসৰ্জন দি
তাই বছি ল'লে জীৱনৰ এটি সহজ নিশ্চিন্ত উপায় ।
কিন্তু সিমানো সহজ নহয় ।
তাৰ বাবে তাইক লগা হ'ল বিশ্ব বিখ্যাত মনোবিজ্ঞান বৈশ্লেষণিক পণ্ডিত
ফ্ৰয়েডৰ,
যৌণ তাত্ত্বিক হেভলক্‌ ইলিচৰ
যৌণ তত্ত্বৰ ক খ গ ৰ জ্ঞান ;
গৰ্ভৰোধ, গৰ্ভপাতৰ কিছুমান সহজ উপায়;
বাৎসায়নৰ কাম-শাস্ত্ৰৰ প্ৰেমাভিনয়ৰ কিছুমান উন্নত মনোৰঞ্জক লাস্য,
অৰিয়েণ্টাল নৃত্য আৰু সঙ্গীতৰ নিখুঁত সুৰ আৰু ভঙ্গিমা
তানপুৰা আদি বাদ্য যন্ত্ৰৰ এটা পুৰা 'ছেট' ;
সেমেকা সন্ধিয়া গৰম কৰা Red sealed XXX Ram ৰ
কিছুমান ৰঙা বটল ;
বেঙ্গল কেমিকেল কোম্পানীৰ সুগন্ধি প্ৰসাধন ;
কমলালয়ৰ কেইখনমান আকাশী ৰঙা শাৰী ;
আৰু কত কি ?
- তাইৰ বাবেই নহয়,
এই বিলাক 'চব' সিঁহতৰ বাবে ।
সিঁহতক লাগে কেৱল আনন্দ
কেৱল কামনা তৃপ্তিৰ কোলাহল পূৰ্ন মাতলামিৰ মন বোৱতি সূঁতি  ।
আৰু তাইৰ যেনিবা সিঁহতৰ
টোপনিৰ পৰা উঠা অলস চিন্তাৰ একাপ গৰম মিঠা চাহ,
টকাৰ এৱাঁ সূতাৰে টনা এটা নিষ্প্ৰাণ কাঠৰ পুতুলা নাচ
তাইৰ নাই ভাগৰ , তাইৰ নাই কোনো ক্লেশ ;
তাইৰ জীৱনৰ সহজ গতিটোৰ
ৰূদ্ধ হৈ যোৱা স্বাভৱিক প্ৰসাৰতাৰ প্ৰতি সিঁহত অন্ধ ।
প্ৰগতিশীল 'ইনটেলেক্‌ছুয়েল' কবি মি: বৰুৱাই হয়তো নিৰ্ভীক
ভাৱেই কয় ;
এই বৰাঙ্গনা কাৰাগাৰে সমাজৰ যিমানেই অনিষ্ট  নকৰক
মই গৌৰৱ কৰোঁ
ভাৰতৰ দুটা পুৰণি ৰত্ন আজিও সিঁহতে জীয়াই ৰাখিছে,
অৰিয়েণ্টাল ডান্‌চ আৰু অৰিয়েণ্টাল মিউজিক্‌ ।
সিঁহত নোহোৱা হ'লে একেবাৰে লোপ পালেহেঁতেন  ।
অৰ্থনীতিৰ অধ্যাপক ব্যনাৰ্জীয়ে হয়তো ক'ব ;
ভাৰতৰ বৰ্তমান অৰ্থ-নৈতিক অৱস্থাত ইঁহত অৱস্ম্ভাৱী
ইঁহতৰ জন্ম কোনো বিদ্যুত প্ৰৱাহো নহয়,
বজ্ৰপাতৰ আকস্মিক আঘাতো নহয় ।
'অমৃত বাজাৰ'ৰ সম্পাদকে সেয়েহে হয়তো আমাক বাতৰি যোগায়
অকল কলিকতা মহনগৰীতে ৪৫ হজাৰৰো ওপৰ
গৱৰ্ণমেণ্টক কৰ শোধোৱা
(চমৎকাৰ গৱৰ্ণমেণ্টৰ ধন উপাৰ্জনৰ পথ)
আৰু বা ক'ত বে-আইনী বেশ্যাৰ বাস ।
কিন্তু সিঁহতৰ বে-আইনী ব্যৱসায়ত নাই
'মুনাফাখোৰ' পণ্ডিত সিঙৰ
১০০ টিং চোৰাং মিঠাতেলৰ লাভৰ অংশ
বা মন্ত্ৰী আলিল চাহাবৰ ভাতিজাক
টেক্স্‌টাইল চুপাৰিণ্টেনডেণ্ট আশ্ৰফ আলিৰ
গোপন সন্মতি গ্ৰাহী ক'লা বজাৰৰ চোৰাং ধনৰ ভাগ ;
নাইবা মৰা অসমীয়াৰ পচা জঁকা টানি
অসমৰ উৰ্বৰা পতিত মাটিত জাকে জাকে পমুৱা শগুনৰ
অক্ৰমণমূলক বে-আইনী দখল ।
তাইৰ মৰ্জিত অৰ্জন মাত্ৰ
চৌখিন ধনীৰ যুক্তিসন্মত ব্যয়ৰ এটা নগন্য অংশ,
তাইৰ ওঁঠত নাই নিষ্পেষিতৰ বুকু শোহা
কেঁচা তেজৰ নিলাজ চেকা ।
আছে মাথোঁ বিলাসী ধনীৰ মোনাৰ টকাৰে কিনা
লিপ্‌ ষ্টিকৰ সমুজ্জ্বল ৰং
তথাপি তাইক সকলোৱে ঘিন কৰে, হাঁহে,
হায় লাঞ্ছিতা বেশ্যা ।
কিন্তু আন্ধাৰৰ আঁৰৰ কামুক ভদ্ৰবেশী দস্যুৰ দল
পোহৰত ইমান জিলিকা ।
হুইটমেনে অৱশ্যে কান্দে,
এজনে কান্দে তাইৰ সৌন্দৰ্যৰ জঁকাটোত
কৃত্ৰিম প্ৰসাধনৰ অত্যাচাৰেৰে
ঈশ্বৰৰ সুন্দৰ সৃষ্টিত আনৰ মন-যোগনীয়াৰ হ'বৰ বাবে,
দুটা টকা অহাৰ বাট মুকলি ৰখাবৰ বাবে
ধুনীয়া বোলাবৰ হাঁহি উঠা বাসনাটো দেখি ।
ইজনে কান্দে পতিতা 'গাভৰু ওঁঠৰ লালিমাৰ' বাবে
তেওঁৰ উদভ্ৰান্ত প্ৰেমিক হৃদয়ৰ মানৱীয় কামনাৰ পলাশ জুইত
উৰণীয়া চগাৰ দৰে আত্ম আহুতি দিয়াৰ নিমন্ত্ৰন জনাই
তেওঁ কান্দে কুৰি শতিকাৰ নিৰ্ভীক দেৱদাসীৰ বাবে ।
অজন্তা ইলোৰাৰ ৰূপদক্ষ শিল্পীৰতো তাই এক অভাৱনীয় প্ৰয়োজন
উলঙ্গ নাৰী-সৌন্দৰ্য্যৰ সাধনাৰ গোপন কক্ষত
তাইয়ে জীৱন্ত সৌন্দৰ্য্যৰ চিৰ-নতুন প্ৰতীক ।
আৰু এই সংগ্ৰাম্লিপ্ত কামনৰ আগত উছৰ্গিত
খাকী জীৱনবিলাক উন্মত্ত কাম বুভুক্ষাৰ পথত
তাই এক সামাজিক শৃঙ্খলাৰ শাসক ।
কিন্তু সমাজৰ ধৰণীধৰ দলেই তাইক ভয় কৰে আটাইতকৈ বেচি ;
দেশদ্ৰোহী, জাতিদ্ৰোহী, সমাজদ্ৰোহী তাই,
অগ্নিক সাক্ষী কৰি লোৱা কত পতিব্ৰত স্ত্ৰীৰ
মদ্যপায়ী জন্তু স্বামীৰ তায়ে সৰ্বনাশৰ হেতু ।
কত ভবিষ্যত দেশ গৌৰৱ, দেশ -নেতাৰ
উদভ্ৰান্ত যৌৱন মাদকতাৰ ভোগ যাচি
ক্ষয়ৰোগ, গানোৰিয়াৰ যন্ত্ৰনাত অকাল মৃত্যুৰো মূল তায়ে ।
তাতোকৈ
চৰিত্ৰৰ কৰ্ণধাৰ, সমাজৰ নীতি বিচাৰৰ ফটা-ঢোল কোবোৱা
বৰমূৰীয়া সকলৰ গোপন চৰিত্ৰৰ তাই যে কৰ্ষটিশিল ।
তথাপি তুমি মহিয়ান্‌
হে গোপন প্ৰিয়া -
কুৰিখন চাহ বাগানৰ মালিক বৰুৱা হাকিমে
হাজাৰ কুলীৰ তেজ শুহি অনা অক্ষয় ঐশ্বৰ্য্যৰ
তুমি কি শান্তি ৰূপী লক্ষী গৃহিণী
মনীষী সকলৰ তৰ্ক চক্ৰত তুমি যে এক গবেষণাৰ বিষয়
ভাৰত স্বাধীনততকৈ গুৰুত্বৰ,
চান্‌ফ্ৰাঞ্চিচকোৰ ভৱিষ্যত আন্তৰ্জাতিক পৰিকল্পনাতকৈও সমস্যাপূৰ্ণ
কোনে জানে তোমাৰ চকুত, তোমাৰ ওঁঠত, তোমাৰ দেহত
মনালিছাৰ কি ৰহস্যময় লাস্য,
সি আত্মপ্ৰতিষ্ঠা আত্ম তৃপ্তিৰ গোপন অৰ্থপূৰ্ণ হাঁহি,
নে সমাজৰ অবিচাৰ অন্যায়ৰ বিৰুদ্ধে কটাক্ষ বিদ্ৰুপ,
প্ৰতিহিংসাৰ অস্ফুটিত উত্তপ্ত লাভাৰ জ্বলন্ত ফিৰিঙতি ?
ধন্য হে কুৰি শতিকাৰ নৃত্যশীলা কোকিলা-কণ্ঠা চিত্ৰলেখা,
তোমাৰ ছলনাত
শত অনিৰূদ্ধ, অসুৰ বাণৰ ৰুদ্ধ কাৰাগাৰত বন্দী ;
দ্বাপৰ যুগৰ শ্ৰী কৃষ্ণৰ অব্যৰ্থ সুদৰ্শন চক্ৰও হয়তো
তোমাৰ আগত শক্তিহীন ।
তোমাৰ একো নাই -
আছে মাথোঁ অলস বাহুৰ এটি প্ৰাণহীন দুৰ্বল বান্ধনি,
এটি তেজ নাইকিয়া শেঁতা হাঁহি
আৰু উলঙ্গ দেহৰ উৎকট কামুকতা,
হে যান্ত্ৰিক যন্ত্ৰপ্ৰায় বিশ্বপ্ৰিয়া
কোনে কয় তুমি বাৰঙ্গনা ?
তুমিয়ে ধনীক সম্প্ৰদায়ৰ বিৰুদ্ধে বনুৱাৰ শ্ৰেণী সংগ্ৰামৰ
এটা সংকট পূৰ্ণ 'ষ্ট্ৰেতেজিক পইণ্ট'
তুমি কুৰি শতিকাৰ নগ্ন সভ্যতাৰ
নিৰ্ভীক বাৰঙ্গনা ।।



                   বিপ্লবী


আমাৰ আছে মানুহৰ ওপৰত বিশ্বাস ;
আমাৰ আছে ভবিষ্যতৰ সুস্থ ৰঙা সূৰ্য্যৰ পিনে চকু ।
বৰ্তমানৰ নিৰালম্ব নিৰাসক্তিৰ
বিকৃত জঞ্জাল ল'ই
জীয়াৰ বুকুতামাৰ দুৰু দুৰু স্পন্দমান অন্তৰতো আছে
শতেক ভৰসা ।
গেলা দুৰ্গন্ধ, অস্বাস্থ্যকৰ
পাৰিপাৰ্শিকতাৰ ওপৰত নিৰ্ভৰ
এই ভঙ্গ, পঙ্গু, নৰক কেন্দ্ৰিক দেহৰ দুৰ্ভোগ
আমি
অন্তৰৰ গতিশীল শক্তিৰ
পৰম তৃপ্তিত
দিনে দিনে গঙ্গাস্নান কৰি
লভিছোঁ মুক্তি ।
আমি গঢ়িছোঁ নিজৰ ৰূপ,
সমাজৰ বিশ্ব মানৱৰ সুগভীৰ দৃঢ় সভ্যতা,
আমাৰ সংস্কৃতিৰ নৱ সাম্যমন্দিৰ ।
বিশ্বৰ জনসভাত ।
ৰূদ্ধ আত্মৰতি মননশীলতাৰ অন্ধ কাৰাগাৰ গঢ়ি
আমি নহওঁ "নিঃসঙ্গ সুদূৰ ।"
স্বৰ্গৰ কোনোবা নন্দন বনত
আমাৰ বাবে নাই
মৃত্যুঞ্জয়ী অমৃতৰ গোপন ভাণ্ডাৰ
আমি মানুহ -
জাগ্গতিক পঞ্ছভূত জাত আমাৰ
দীপ্তিমান শৰীৰক লাগে
নতুন মুকলি নীলা আকাশত হোৱা অৰুণোদয়ৰ
'আলট্ৰাভায়োলেট' ৰশ্মি ;
পুষ্টি সাধক অন্নৰ
তৃপ্তিদায়ক ভৰা থাল ।
তাৰ বাবে আমি উৰ্বৰা মাটিৰ কৰ্মনিষ্ঠ পূজাৰী ।
যুগ পৰিস্থিতিৰ প্ৰতীক
বস্তু আৰু আদৰ্শৰ
দ্বন্দাত্মক লিপ্ত বিপ্লবী ।।


সিহঁত তেতিয়া জীৱ


কিন্‌ কিন্‌ বৰষুণৰ নিশা
আৰু মৰা জোনৰ গাঢ় অন্ধকাৰ ।
ৰাস্তাৰ এমূৰে -
নৰ্দমাৰ দাঁতিৰ নিঃসঙ্গ বুঢ়া আহতৰ উলঙ্গ কায় ।
নিস্তেজ শক্তীহীন শৰীৰৰ দুৰ্বল কঁপনিত
জীৱনৰ শেষ চিহ্ন বাকী থকা এখিলা পাত সৰে ।
বতাহৰ শব্দ হয় ।
নিশাৰ গভীৰ নিশ্বাসত কমি অহা
হতাশাত ক্ষীণ হই অহা নিস্তব্ধ জীৱনৰ বুকুত
আঘাত কৰে খৰ্‌ খৰ খৰ্‌ ।
নীৰৱ নিস্পন্দ জীৱনৰ প্ৰেতত্মাবিলাক সাৰ পাই উঠে ।
পৃথিৱীৰ ইতিহাসত পিশাচৰ নৃত্যাভিনয়
পোহৰৰ মৃত্যু আৰু এন্ধাৰৰ জয়
যি মৰি পৃথিৱীক তৰাই
ক্ষুধাৰ ক্ষয় ৰোগে যাক তিল্‌ তিল্‌ কৈ খাই নিঃশেষ কৰি দিয়ে ।
শাস্তিহাৰা জীয়া জীৱনৰ তাড়নাত মৰি
যি তন্দ্ৰাৰ অচেতন আবেশত অলপ জীয়ে
শ্মশানৰ নিৰ্জনতাৰ সিঁহতে পাতে
সিঁহত অভিশপ্ত মৰা কঙ্কালৰ বিকত নিশাৰ দৰে
ভয় লগা বিজয় উল্লাস
জীৱনৰ সঙ্গোপন ৰহস্যময় মহৎ উৎসৱ
পোহৰৰ সভ্যতাৰ বিৰুদ্ধে ভীষণ চক্ৰান্ত ।
শ্মশানৰ পোৰা নগ্নতাৰ হয় -
সিহঁতৰ জীৱনৰ সৰ্বশেষ কামনাৰ সিদ্ধি লাভ ।
সিহঁতৰ জীৱনৰ চিতাগ্নিৰ ক'লা পাপৰ ধোঁৱাই
মুকলি নীলা আকাশৰ কোমলতাক কৰে নিষ্ঠুৰ আঘাত ;
পৃথিৱীৰ বায়ু মণ্ডল কৰে বিষাক্ত
এইবোৰ যেন জীৱনৰ ব্যধিগ্ৰস্ত ব্যৰ্থতাৰ নিৰ্জীৱ তাড়নাৰ
কালান্তক প্ৰতিহিংসা ।
পৃথিৱীৰ  অধিদেৱতাৰ দয়াৰ দান
অনাদৰ অৱহেলা আৰু নিষ্পেষণ
সিঁহতৰ মূৰত যেন ফুল চন্দনৰ
কোমল প্ৰলেপ
আৰু তাৰ কৃতজ্ঞতাত সিঁহতৰ চিৰ অৱনত মূৰ ।
পৃথিৱীত সিহঁতৰ অধিকাৰ
জীৱনৰ নিৰৰ্থক আৰ্তনাদ আৰু নিয়তিৰ কুটিল হাঁহি ।
প্ৰৰোচনাৰ কুটিল চক্ৰান্তৰ
সিহঁত লীন হৈ যায় ।
সিহঁতৰ কামনা
সিহঁতৰ প্ৰানৰ উশ্বাস লৈ
সিহঁতে এৰি যোৱা পৃথিৱীৰ
ভৱিষ্যতৰ ৰঙা সূৰ্যই সানিব জীৱনৰ কেঁচা তেজৰ বোল ।
নতুন পৃথিৱীত
বুঢ়া আঁহতৰ কুঁহি পাত ওলাব
নিয়ৰে মুকুতা সানিব
সিহঁত তেতিয়া জীৱ ।।


            আজি আমাৰ বিহু


আজি মোৰ অসমৰ ঘৰে ঘৰে বিহু ।
প্ৰকৃতিত বসন্তৰ মাদকতা
ৰূপ ৰস গন্ধ মাধুৰীমাৰ প্ৰাচুৰ্য্য ।
বিবসনা সৌন্দৰ্য্যত সৃষ্টিৰ আদিম কামুকতা ।
দলে দলে মানুহৰ ভীৰ !
জীৱনৰ সোঁতত বুৰি যেন মৃত্যুত আজি মৰি যাব ।
ঢোল খোল তাল টকা মৃদঙ্গ আৰু পেঁপাৰ ৰোল
নৃত্যৰত জীৱনৰ ধুনীয়া ভঙ্গিমা
মানুহৰ মিঠা মিঠা মাত
অন্তৰৰ অনাবিল উলাহৰ দীঘলীয়া উকি !
-মৃত্যুৰ অপৰিহাৰ্য ৰূপটোকো ৰূপান্তৰ কৰি দিয়া
মানুহৰ কি নিৰ্ভীক গৌৰৱ ।
বিহুৰ উল্লাসত আমি যেন অমৰৰ প্ৰতীক
মৰণৰ সিপাৰৰ পদধ্বনিৰ লগত
আমাৰ এই ফেৰ পতা সমতাল
পদাতিক সৈনিকৰ যেন
বুট ৰাইফল আৰু সঙ্গীনেৰে
মৃত্যুক বিচাৰি ফুৰা সংঘবদ্ধ বিজয় কুচ-কাৱাজ
জীৱনৰ ব্যস্ততাত আজি মৰণৰ অস্তিত্বও মিছা ।
যন্ত্ৰনাৰ যাতনাত
প্ৰাণ নাইকিয়া পৃথিৱীৰ ঘৰে ঘৰে আজি
কেৱল মৰি যোৱাৰ
কেৱল শেষ হৈ যোৱাৰ
আশঙ্কাতে কঁপা জীয়া মানুহৰ কঙ্কাল
আৰু এই আনন্দৰ আলিঙ্গন ।
ৰুটি আৰু ক্ষুধা ।
নিয়তিৰ পৰিহাস্য আৰু মানুহৰ কান্দোন
জীৱন আৰু মৰণৰ
অৱিশ্ৰান্ত সংগ্ৰামৰ সৰ্ব্বগ্ৰাসী বিকৃত তাড়না
আৰু আমাৰ এই
আনন্দ আহ্লাদৰ নৃত্য নিপুণতা
মোক লাগে এই আনন্দ ।
মোক লাগে এই গীতৰ সুৰে সুৰে
নাচোনৰ চেৱে চেৱে
এক হৈ যোৱা বিশ্ব জীৱনৰ হাঁহি উলাহৰ বাহুৰ আলিঙ্গন
পৃথিৱীৰ অনৈক্যৰ বিৰূদ্ধে
বিংশ শতব্দীৰ মানুহৰ
বিপুল ঐক্যৰ অৰ্থ পূৰ্ণ সমাগম ।
সভ্যতাৰ নতুন ৰূপ
সংস্কৃতিৰ উন্নত নতুন অপৰূপ পৰিচয় ।
যুগৰ অভিসন্ধি অভিশাপ আৰু প্ৰৰোচনাৰ বিৰূদ্ধে
আমাৰ অন্তৰ্নিহিত নিস্বাৰ্থ ভাতৃত্বৰ ভীষণ সংগ্ৰাম ।
ধ্বংসৰ বিৰুদ্ধে
প্ৰাণৰ শৌৰ্য্য-বীৰ্য্য
আৰু সৃষ্টি ক্ষমতা !
অনাগত ভৱিষ্যতৰ স্থিৰ পৰিকল্পনা ।
আজি একি ৰঙৰ উছৱ ?
মানুহৰ একি নতুন সত্য শিৱ সুন্দৰৰ পুজা ?
আনৰ প্ৰতি ইকি অন্তৰৰ অসীম কৰুণা !
-মৰণৰ যন্ত্ৰণাত যেন আনন্দৰ বাবেই
আনন্দ উছৱ উলাহ
আৰু মানুহৰ আত্ম আহুতিৰ এই
আচৰিত যজ্ঞ ।
আজি আমাৰ বিহু !



Eight beautiful poems of Amulya Baruah





Eight beautiful poems of Amulya Barua

অৰূপ অচিনা


অচিনা কোনহে তুমি ?
অৰূপ ৰূপৰ সুৱদি সখী
মধু মনমোহ মিলন বিচাৰি
              উৰোৱা মনৰে পাখি ;
মৰনৰ সুখ ৰেখা
জীৱনে নমনা নুবুজা কৰি
নিমাতী সপোনৰ বুকুতে ফুৰেহি
             মিলনৰ সুৰভি উৰি ;

জীৱনৰ যত শত
দুখ বিৰহৰ বেদনা আছে
আপোন পাহৰি অচিন পথৰ
            যায় উৰি পাচে পাচে

কোনহে তুমি?
অৰৰুপ হাঁহি
ৰূপৰ পাহি
উঠিছা ভাঁহি ।


শিল্পী


ৰূপ স্ৰষ্টা খনিকৰ
     ক'ত তোৰ ৰূপৰ আঁচনি
          সৌন্দৰ্য্যৰ মোহন আঁকৰ

বিমোহিত চঞ্চলতা
     জীৱনৰ উদ্দাম উচ্ছাস
          কল্পনাত ৰতন প্ৰাণৰ ।

আৰু ক'ত হৃদয়ৰ
      কোমল বেদনা ৰাশি
           ব্যৰ্থতাৰ ঘাত-প্ৰতিঘাত,

তৃপিতাৰ সন্ধানত
     সানি মোহিনী আভা
          জ্বলি উঠে প্ৰাণৰ প্ৰাণত ।

নিৰ্নিমেষ নয়নৰ
     ৰূপৰ চাৱনিখিনি
          সৰলতা কোমলতা অঁৰা

ক'ত তোৰ পৰাণৰ
     বিপুল বাসনা জিনি
         সুকোমল লোতক নিজৰা ।

পাষাণৰ হৃদয়ত
      কোমল সৌন্দৰ্যৰাশি
            জীৱনৰ প্ৰতিমূৰ্তি আঁকি,

হিয়াৰ ৰহণে তই
      যাচিবি যিমানে হিয়া
           বেদনাৰ কোমলতা বাকি

জিৱানৰ পৰিণতি
     সুন্দৰৰ আৰাধনা
          ক'ত তোৰ সৃষ্টিৰ আয়োজন

মনৰ মাজৰ মাথোঁ
      আশাৰ তুলিকা ডালি
          তাৰে তই বোলাবি জীৱন ।


অঞ্জলি


এবাৰ নুমালে সখী
জীৱনৰ বন্তিগছি
নজ্বলিব আৰু দুনাই

ভকতি অঞ্জলি কণি
হিয়া ভৰি ঢালো আজি
আহা সখী পৰাণ মিলাই

বজ্ৰডোলে বান্ধ লই
এক মন্ত্ৰ গাই গাই !


তুমি আৰু মই


নিয়া নিয়া কাঢ়ি নিয়া
          আৰু যদি আছে কিবা
তোমাৰ সমল সখি অপূৰণ হৈ
          মোকতো নেলাগে একো
          হৃদয়ৰ এটি মাথো
মৰমৰ কথা , তাকো সখী নিদিবানে ঐ ?
          দিয়া দিয়া সখী মোক
          ভাল পাবলৈ দিয়া
নহয় অশুচি মোৰ হিয়াৰ চেনেহ
         তুমি মোক দিয়া ভালপোৱা
শুদা হৈ যক মোৰ অপূৰ্ণ আৱেগ !
         তুমি যদি তুমিয়েই
         নাই তাত ভেদাভেদ
ৰূপৰ জেউতি তেনে কিয় কিয় পোৱা
         জানো তুমি তথাপিও
         নজনাৰ ভাও ধৰা
তোমাৰেই সখী এই মই লীন হোৱা
          মই কওঁ মই তুমি
          তুমি কোৱা তুমি তুমি
তুমি আৰু তুমি মিলি হক চুমাচুমি
          আকাশত তাৰে এটি
          ৰূপৰ জেউতি চৰি
কুমলীয়া জোনবায়ে চক জুমি জুমি
অব্যৰ্থ
বতাহলে এৰি দিলো শৰ
পৃথিৱীত পৰিল বাগৰি
নাজানিলো সেই ঠাই ক'ৰ
          নিমিষতে বহুদূৰ গ'ল
          দুচকুৱে মাথো চাই ৰ'ল ।
গালো গান শুন্য বতাহত
পৃথিৱীত পৰিল বিয়পি
নাজনিলো সেই ঠাই ক'ত
          নিমিষতে কেনি জানো গ'ল
          দুকানত ধ্বনি মাথো ৰ'ল ।
পাৰ হ'ল বহুত অতীত
দেখিলোঁ এখূট শৰ
শেৱালি জুপিত
          গানে মোৰ লগালেহি মাত
          সুৰৰ কঁপনি তুলি সখীৰ হিয়াত ।।


উন্মুক্ত যৌৱন


কেঁচুৱাৰ কোমল প্ৰাণত
স্ৰষ্টাই যচিলে মোক
মহাশক্তি উদাৰ আজান
সেই বাৰতৰে সসীমত
কোনে গাই গ'ল
- "উদ্দম যৌৱন হেৰ মোৰ
মহাদান' -
শত শত বিজুলী চমকি
বিজয়ৰ উঠিল হেন্দোলনি
অসীমৰ সীমাজৰি ছিঙি
অসীম অনন্ত এক
বিজয়ৰ তানিলোঁ নিনাদ
যৌৱনৰ গঢ়ি চূড়ামণি
নহয় যৌৱন মোৰ
দুৰু দুৰু হিয়াৰ কঁপনি
কামিনীৰ আশা মহাধন
নহয় যৌৱন মোৰ
প্ৰেয়সীৰ কোমল বুকুত
প্ৰণয়ৰ প্ৰেম ভৰা পণ
জীৱনৰ উন্মুক্ত যৌৱন মোৰ
জগতৰ বিজয়ী সৌধৰ
সুগোপন গৰিমা মাধুৰী
নৱ প্ৰাণ নৱ অনুৰাগ
উত্তোলন মূৰ্ছনা প্ৰাণৰ
বিজয়ৰ সুৰভি বাতৰি
ৰূপৰ জোঁৱাৰে মোৰ
উত্তাল যৌৱন ভেদি
নোবোৱায় মিলন মাধুৰী
দুঠকে সপোনে মোৰ
মৰণটো জীৱন বিয়াৰ
যৌৱনৰ ৰঙা জীয়া তেজ
ঢালি দিম উজাৰি উধাৰ
নাৰীৰ নয়নে গঢ়া
বিপুল জলধি ভেদি
মোৰ যৌৱনৰ দুগন্ত বিয়াপি
নীলিমা প্ৰসাৰি যোৱা
সঙ্গীত মূৰ্ছনা
তাকে লই কল্পনা জানিত মোৰ
সুন্দৰৰ মহা আৰাধনা ।
যৌৱনে বিচাৰে মোৰ গোড়া ধমনীত
স্ফীত হোৱা সিৰত বাগৰা
জীয়া তেজ, গৌৰৱ ঘোষণা
তাৰ কলধ্বনি
মিলি গ'ই দেশ-মাতৃকাৰ
গৰীমাৰ গীতিকা ৰচনা
তেজৰ পোৰণি তুলি
শত্ৰুদল কৰা মষিমূৰ
মোৰ যৌৱন অনিৰ্বাণ পণ
বিধাতাৰ শ্ৰেষ্ঠদান
মানৱৰ মহাশক্তি
তুমি হেৰা উদ্দাম যৌৱন
মিলনৰ সুৰভি নিশ্বাস ল'ই
উৰি গুচি যোৱা
বতাহী পখিলী মোৰ
মই ভাবোঁ প্ৰিয়াৰ পৰশ
সত্যহন্তা অভিশাপ ঘোৰ
প্ৰিয়াই হিয়াই দিয়া
স্পৰ্শত যৌৱন মোৰ
বিচাৰিছে সত্যৰ গৰিমা
সত্য শিৱ সুন্দৰৰ
মহামন্ত্ৰ বিপুল যৌৱন মোৰ
ধৰণীৰ সত্যৰ নিজৰা ।।


মৰমে যেতিয়া চুমে

মোৰ কবিতাই
কোন আকাশৰ
         আকাশীগঙ্গা অলকানন্দা ছুব ?

কোন সৰগৰ
অমিয়া নিজৰা
         ৰূপ কোঁৱৰৰ অৰূপ বতৰা দিব ;
কোন কামিনীৰ
কামনাৰ ৰঙা
ধুনীয়া ধৰাত থুলে থুলে হায়
          কাঞ্চন ফুলাই যাব ?
তাৰ কথা তুমি
মনতো নানিবা
          এটি কথা মাথো কোৱা
মোৰ কবিতাৰ প্ৰাণে প্ৰাণ আছে
মোৰ কবিতাৰ
গানে গানে নাচে
          সুৰৰ কঁপনি, হিয়াই হিয়াক চোৱা
          তুমি দিয়া মোক 'ব্যাথাৰ লগৰী'
           আৱেগত নাচি
সপোনত হাঁহি
কাণে কাণে কব কথা
'অমৰণ সোণ'
আমৰ মৰম
আমাৰ দৰদ
আমিয়ে বুজিম
আমাৰ " বুকুৰ ব্যথা" ।।

ভালপোৱা


মোৰ জীৱনৰ
ৰঙা মদাৰৰ
ৰঙা পলসৰ
           কেঁচা সেউজীয়া ধুন;
যৌৱনৰ মোৰ
শত কামনাৰ
শত লালসাৰ
           ৰূপালী আশাৰ জোন,
দিনে দিনে জ্বলা
নতুন বিজুলী
নতুন তৰাৰ
           মন নচুওৱা
           ছন্দ কথাৰ গান;
নিজৰাৰ দৰে
লাস্যময়ী
জোনাকৰ দৰে
           ঢৌৱে ঢৌৱে খেলা
           নৃত্য নিপুন প্ৰাণ;
মোৰ জীৱনৰ
মানসৰ
বগা তেজ
কালৰ হেঁচাত
           গোট মৰা তাৰ
শিলাকুটি কৰা
সপোনৰ কাৰু-কাজ
ওৰ জীৱনৰ চাকি;
ঢিমিক ঢামাক
জলোঁতে জলোঁতে
হিয়া পুৰি নিয়ে
           চগাক ভুলোৱা ফাঁকি !
জীৱনৰ মোৰ শিল্পী সুন্দৰ
সুৰৰ ৰূপৰ
কবি,
সপোনত নিতে
অঁকা বহহি বহি
          সৃজনৰ ছায়া-ছবি,
ৰূপ প্ৰকাশৰ নিজক নতুন কৰা
নতুন ছলনা !

মই ভালপোবা হাঁহি
তোমাৰ চকুত
মোৰ লালসাৰ
ফুলৰ সুষমা কোমল উপমা
কঁপেহি ভাহি ।

ভাল পাওঁ বোলা
অভিলাষ মোৰ
অভিমানী তুমি
           বুজিব নোৱাৰা ফাঁকি ।
দিনে দিনে যাওঁ
গালৰ চুমাত
ওঁঠৰ চুমাত
বুকুৰ চুমাত
আঁকি -
মোৰ হৃদয়ৰ মোৰ হৰষৰ
সৃজনৰ আশা;
            প্ৰতি পৰমাণু বাকি !
দেখা নাই জানো
ভাল পোৱা মোৰ
ভাবুকৰ দৰে
নিজুম নিতাল আন্ধাৰৰ দৰে
অকলশৰীয়া গহীন দুপৰৰ ৰাতি?
দেখা নাই জানো
ভালপোৱা মোৰ
সাতো সৰগৰ নীলা ঢউ যেন
খেলি খেলি যোৱা
পুৱাৰ কিৰণ
            সানি ?

আৰু -
ভালপোৱা মোৰ
ভাল লগা সেই
চুচুক চামাক চোৰৰ দৰে
            লোকে দেখা ভয় বুকুত কঁপা ?

পোহৰৰ দৰে
বগা প্ৰকাশৰ
কোমল
কঁপনি
কুঁৱলীয়ে যেন ঢকা ?

চঞ্চল মই - চিৰ গতিময়
চিৰ চঞ্চল
ভালপোৱা মোৰ
চঞ্চলা হেৰ !
আহা কাষ চাপি
           কোৱাহি কথা !

ভা-ল-পা-ওঁ
বোলা চাৰিটি আখৰে
তোমাৰ মুখৰ
কঁপাবাহি মোৰ
নীলা জীৱনৰ সিপাৰৰ সুখ ব্যথা !!


প্ৰকাশ


জীৱনৰ বিলাস ডাৱৰে ঢকা আজিৰ এই পুৱাৰ আকাশ
ৰঙালী কৰিলে সোণ; তোমাৰেই দুচকুৰ প্ৰণয় প্ৰকাশ !
অনন্ত কপনি যিটি মাৰ যায় জীৱনৰ আজিৰ এই ৰাতিৰ খেলাত
কিৰণে নাচে ধৰণীৰ দুদিনীয়া ভলপোৱা
মোহৰ মায়াত !
তোমাক নাজানো মই - নিচিনো কদাপি সোণ
এটি প্ৰণয়ৰ মোহন পুতলি ।
কামনাৰ শতবহ্নি সহজ প্ৰভাৰে চুই ভাল জানো
পাম হায় হৃদয় আকুলি ?
আচিছে প্ৰানৰ জ্যোতি অনাবিল প্ৰণয়েৰে হয়তোবা তাতেই আকুল ;
মনৰ পখীটি মোৰ কৰি জানো পাব পাৰে
সৃষ্টিৰ সাগৰ দুকূল !
বিনাশি সৌন্দৰ্য্য এই দীপ্ত হবিলাস !
যোৱা আজি প্ৰভাত শেষত !
পুৱাৰ পোহৰে চুমে নয়নৰ নীলমনি
ধৰণীৰ ধূলিটি উৰাই
আৰতি নকৰো আজি, নাযাচোঁ ফুলৰ মালা
-নুৰূপমা তোমাক দুনাই ।
এমোকোৰা হাঁহি লই শুৱনি মুখত
ৰাঙলি বহাগী নাচেকাৰ পদূলিত
উৰুঙা পঁজাত বহি উৰুকাৰ নিশা
অকলশৰীয়া মই এই দূৰনিত !
নই দেখা বিহু নাচ নাছনী হঁতৰ
শুনা নাই মউসনা বনগীত ফাঁকি
উৰণীয়া কল্পনাৰ সপোন ৰেখাৰে
সপোন মনতে মাথো ছব্বি খন আঁকি
উলহতে হাঁহো মই আপোন পাহৰি
আহিব বহাগী বুলি, নিবহি আদৰি
তাৰে এটি ৰেনু কণা চেনেহৰে আনি
বতাহৰ বোকোচাত পঠিয়ালো বান্ধি ।।



To read more poems of Amulya Baruah click অমূল্য বৰুৱাৰ কবিতা .




Drawing tutorial 026 - Basics(Part 4) - Drawings forms

In drawing sketching or painting form is a term that is used to depict the actual volume and shape of an object. Visual representation of an object is made on a surface which is 2D whereas in reality things have volume. In line drawing, this volume can not be depicted but as we have discussed in our tutorial on tonal values, by using tonal variation the illusion of volume can be created successfully.

Basic shapes that are building block of all complex drawings, are sphere, cube or cuboid and cylinder. Cone can also be treated as a fundamental building block. When tonal values are added to these basic shapes we create form of different shapes and volume.

Poems of Hiren Bhattacharya (হীৰেন ভট্টাচাৰ্যৰ কবিতা) - ৫০


মই গৈ আছোঁ মাটিৰ এন্ধাৰি তলেৰে


বতাহ বেগাই ব'ল, আকাশ সৌৱা মাটিলৈ নামি আহিছে
কাতিমহীয়া ধানৰ পথাৰত বেলিটোৱে ৰ'দ-বতাহৰ হেতালি খেলিছে
তাৰ হাবিয়লি ছাঁ গছ-গছনিৰ গায়ে-মুখে পৰিছে -
গোটেই বাটটোৱে আৱৰি ধৰিছে ভালপোৱা-পুইৰ মলমলীয়া গোন্ধ
উৰণীয়া চৰাইৰ তলসৰা মাতে জুমুৰি দি ধৰিছে মোৰ দুখন ওঁঠ
মই আৰু কিমান দুৰলৈ যাম -
তেজৰ শিপা মোৰ মাটিৰ এন্ধাৰি তলেৰে গৈ পৃথিৱীৰ গাজত লাগিছে ...



তোৰ কাষলৈকে উভতি আহিছোঁ


আকৌ তোৰ কাসলৈকে উভতি আহিছোঁ, ধাৰাসাৰ বৰষুণে
ধুৱাই নিছে গোটেইটো বাট, তই মোৰ অন্তহীন মহাদেশ
স্পৰ্শৰ গভীৰ ওঁঠত তোৰ গানৰ মাতাল নল খাগৰিৰ দীঘল দীঘল ছাঁ
ধ্বনি-প্ৰতিধ্বনিৰে উজ্জ্বল হৈ পৰিছে ৰাতিপুৱাৰ আগদুৱাৰি ৰ'দ
আকাশখন সাজিপাৰি বাঁহজোপাৰ আগেৰে নামি আহিছে
নৈখনো তেনেকৈয়ে বৈ আছে, যোৱাবাৰ চাৰিখন গাঁও বোকাত পুতি পেলাইছিল
মনৰ দীঘলী বাটেৰে নিমগোন্ধোৱা বতাহ তোৰ ছাঁটো হৈ বলিছে
বতৰে নতুনকৈ চিনাকি কৰি দিছে পুৰণি গছ-লতাবোৰ, পথাৰখনৰ সিপাৰে
লানি নিছিগকৈ পলাশ ফুলিছে
এতিয়াই মই তোৰ কাষ পামগৈ...




পাৰ ভাঙি অহা নৈ


ৰাতিপুৱাৰ চোতালখনত
লাকপাকুৰ কুৰ পাৰ চৰাইটোৰ খেৰকুটা বোটোলা মাত,

মোৰ তেজেৰে অতৰ্কিতে পাৰ ভাঙি আহিছে কোনোবা যৌৱনদৈয়া নৈ
ফেনেফোটোকাৰে ভৰপূৰ দুপাৰ -

কালি ৰাতিৰ এলানি বৰষুণে
                  ঠন ধৰি তুলিছে বাটৰ দাঁতিৰ দুবৰিডৰা
গছ-গছনিৰ গাতো চালে-চকুৰোৱা নতুন পাত

ব'ল আমি লগালগিকৈ গৈ থাকোঁ,
                   নৈ-বিল-পৰ্বতমালাৰ সিপাৰে বনৰীয়া হাঁহ যেনেকৈ উৰে
আমাৰ লগেৰে যাব থিয় দি থকা গছবোৰৰ ছাঁ -

গাঁও-ভূঁই উজাৰি বলিছে ভালপোৱাৰ বতাহ ...



গন্ধবিৰিণাৰ হাতবাউল


ডাৱৰ ওন্দোলাই আহিছে
ব'ল বৰষুণৰ আগে আগে আমি ঘৰ সোমাওগৈ -
আমি দুৱাৰমুখতে বহি বৰষুণৰ গান শুনিম
আকাশৰ দুচকুত বিজুলী খেলিছে
                        ক'লা চুলিটাৰিত থৌকিবাথৌ ডাৱৰ
বতাহত গন্ধবিৰিণাৰ হাতবাউল
এতিয়াই ধাৰাসাৰে বৰষুণে তিয়াই দিবহি গোটেইখন



আৰ্ত-অনুবাদ


মই কাণপাতি আছোঁ
নতুন কবিতা যদি এষাৰো শুনো -

মোৰ দুকাষে সৰি পৰিছে চিত্ৰিত শব্দবোৰ সমাহিত নক্ষত্ৰৰ তিৰ্‌বিৰণি
মোৰ শ্ৰান্ত তেজত মৃত্যুৰ আৰ্ত-অনুবাদ
শোকম্লান চেতনাত মানুহ সম্পৰ্কৰ নতুন গান...



গান সামৰাৰ গান


মোৰ মৰিবৰ মন গৈছে
পাৰিলে এতিয়াই -

তিনিকুৰি বছৰ মোৰ ল'লে কবিতাই
সলনিত মোক টনকিয়াল কৰি গ'ল শব্দেৰেঘ
জীৱন শব্দটো সূৰ্যৰ চৌপাশে ঘূৰে
পোহৰাৱলে মনৰ বেগেৰে

আটায়ে জয়ধ্বনি দে
জীৱনৰ জয়গান শুনো তহতৰ মুখত -

Poems of Hiren Bhattacharya (হীৰেন ভট্টাচাৰ্যৰ কবিতা -৪৯)


ফুলৰ এজাতি ইন্দ্ৰমালতী আৰু ৰ'দ হৰিণাজাক


তোৰ বাৰীত ফুলা ইন্দ্ৰমালতীজোপাৰ ছাঁ, মোৰ বাৰীত
পৰিব নোৱাৰে । ছাঁ কিবা ফুলৰ গোন্ধ নে বতাহত বৈ আহিব !
সৰুফুটীয়া ফুলজোপাৰ ছাঁ ঠাইতে পৰি থাকে । গা-উজান নিদিয়ে
কাৰো প্ৰৰোচনাত ।

ফুলৰ কোনো দীঘল-দুৱাৰী নাই । চকুৰ ঠৰেৰেই অহা যোৱা ।
তই মোৰ ছাঁ হৈ মোৰ বাৰীত পৰিব নেলাগে । ৰঙীন পাহিৰে ফুলি উঠ ।

কুঁৱলীতলেৰে লৰি আহিছে জাৰৰ উমাল ৰ'দ হৰিণাজাক...




নৈখন বাঢ়ক (সপোনৰ মানচিত্ৰ পাঠ )


বৰনৈ বাঢ়িছে ফেনেফোটোকাৰে -
নৈলৈ সেৱা যাচি, মই বিয়াগোম নাওখনৰ গুৰিব'ঠা ধৰিলোঁগৈ -
মাটিৰ পাৰভঙা চেঙেলিয়া ঢৌৱে জৰীপ কৰিছে সপোনৰ মানচিত্ৰ ।
বাঢ়ি অহা পানীৰ শিল-চেঁচা ঢৌবোৰ মোৰ এবাৰ চুই চাবৰ মন গৈছে -
ঘোলা পানীৰ বুকুত মেঘৰ শিহৰণ, লুকাভাকু বিজুলীৰ স্পৰ্শ,
                                                গানৰ হেৰোৱা সুৰ
ভালপোৱাৰ ইমানবোৰ কথা ক'বলৈ মই অলপ জিৰাই ল'ব লাগিব,
                                                নৈখন এতিয়া বাঢ়ক ...



শাওণৰ সোৱণশিৰিৰে


ঘাট-পাহৰা নাৱৰীয়াটোৰ দৰে শাওণৰ সোৱন্শিৰিৰে
ময়ো নাও মেলি উজাই যাম । বন-কুকুৰাৰ আসৈ পোৱা মাতত
আকাশখনৰ গাত শিহৰণ লাগিছে । মোৰ নাৱৰ টিঙেৰে
সপোন হেৰোৱা সপোনৰ ৰঙা বেলিটোৱে এবাৰ ভূমুকি মাৰি চাব
নাওখন কিমান উজালে

মোৰ হাতত বাট-খৰচ অলপ আছে । পাৰ যদি তয়ো ওলাবি
নাও মোৰ পাৰ্ঘটতে বান্ধি থ'ম । শাওণৰ সোৱণশিৰিৰ ৰেহৰূপ চাই
আমি উজাই-ভটিয়াই দিনটো নাওতে পাৰ কৰি দিম -

কোনোবা সাগৰৰ আকৌ ইলাচি-বিলাচি গোন্ধে
                                       আমাৰ নাওৰ পালত ঢৌ খেলিব ...



দুটা লোক-চানেকীয়া কবিতা


               (১)
কোঁহ মেলি দিছে বতৰে -
সৰিয়হ ফুলিছে, কোমোৰা বগাইছে চালত ।
ৰৈ থকা ৰে'লখন উকিয়াই গৈছেগৈ,
বতাহ লাগিছে চুমা লগা তোমাৰ দুখন গালত ।
আলিদাঁতিৰ নিসন্ধি দুবৰিবোৰ নিয়ৰত ঠন ধৰি উঠিছে...

               (২)
সাঁকো নাইকিয়া নৈঢেঁকীয়া বুটলি আইজনী এতিয়া যাবগৈ ।
বালিত জাকেৰে পৰি আছে বালিলেছীয়া চৰাই -
দূৰণিৰে বৈ আহিছে ৰামধেনুখন, গধূলি বতাহত
বনৰীয়া হাঁহবোৰ গাতে গা লগাকৈ উৰি ফুৰিছে ...



নৈখনে কথা ক'লে


স্বপ্নবাক নৈখনে কথা ক'লে
ঘ্ৰাণমুগ্ধ ৰূপোৱালী ঢৌবোৰে সোঁতৰ মাজেৰে ভুমুকা-ভুমুকি কৰে,
তোৰ উদং পিঠিৰে বলিছে সেউজীয়া বতাহ -
দুপাৰৰ খোলা দুৱাৰেৰে প্ৰাণৱান দোকালটকা গান,
পথাৰ-ফুৰা ডাউক-দৰিকে শস্য-গোন্ধেৰে হাবিবন খলক লগাইছে
এখোজ দুখোজকৈ চোতালত ভৰি দিছে
                            চেঙেলীয়া ৰ'দে -
পথাৰ বনাই আহিছে নাঙলৰ ফাল যেন ফৰকাল ৰাতিপুৱা
মোৰ শিতানত বহি বেলিটোৱে অভিধানৰ পাত লুটিয়াইছে




Poems of Hiren Bhattacharya (হীৰেন ভট্টাচাৰ্যৰ কবিতা- ৪৮)


গধূলিৰ আন্ধাৰত


গধূলিৰ আন্ধাৰত কুলি চৰাইটোৱে বিনাইছে
বিৰহৰ সতেজ মাতত দোঁ-খাই পৰিছে গছ-লতা

কান্দোনত পাতসৰা বতাহ বলিছে গছৰ আগেৰে
একেজোপা গছ একোখন খিৰিকী, বহু দুৰলৈকে দেখি -

ঠন ধৰি উঠা হাবিতলীয়া বতাহজাক আবেলি
গছৰ গা-ঘঁহাই খোলা খিৰিকীখনেৰে কোনোবাখিনি পাবগৈ

নিজানত পৰি থাকিব শান্ত বিষাদ -
কবিৰো কলিজাত গছলতাই কুঁহিপাত মেলিব ...



ভালপোৱাৰ ভোগদৈ


তই মোৰ ভালপোৱাৰ ভৰানৈ, শব্দ-নিসৰ্গৰ দুটা পাৰ
ৰাতিপুৱাই ল'ৰামতীয়া বেলিটোৱে তোৰ দহোটা আঙুলিত জেতুকা পিন্ধাইছে
তোৰ কোমল ওঁঠ দুটাৰে বৈ আহিছে বন-বিৰিখিৰ বনৰীয়া লাবণ্য
আৰু লাহী চুলিকোছাৰ এন্ধাৰেৰে বগাই আহিছে অন্তহীন এলানি সপোন
মোৰ ভালপোৱাৰ ভৰনৈৰ দুকাষে ৰ'দ বৰষুণৰ বা-লগা দুখন ডেউকা ...



গছ্লতা মানুহ আৰু নৈখন


আকাশখনৰ এটা চুকত দাৱৰে গিৰ্‌গিৰাই আছে
বাঢ়ি উঠক সেউজীয়া গছলতা মানুহ আৰু মোৰ চকুলোৰ দিন

মই ৰাই-ৰুই নোহোৱা সৌ আঁহতজোপাৰ ওচৰ চাপিছোঁ -
গছজোপাই নিজৰ গাৰ চাৰিওফালে এডৰা ছাঁ বৰ নিমজকৈ পাৰি থৈছে

আঁহতৰ তল মহুৱা-মাদলেৰে তোলপাৰ কৰি দিওঁ ব'ল -
চকুৰ আগৰ এই খৰাং নৈখনৰে ভটিয়া সোঁতৰ ধল বৈ যাব
নৈ মোৰ পাৰভঙা দীঘল সপোন, খলকনি তোলে সপোনতো ...



আকাশ চহোৱা মাত


তোৰ টোকাৰিৰ উদং বুকুৰ আকাশ চহোৱা মাত শুনিছোঁ
মোৰ বাৰীৰ ঢাপৰ গছবোৰে তিয়নী সলাই গা-ৰ'দাইছে
                                বতাহ লাগিছে গছৰ নতুন পাতত

বতাহৰ খুঁটি-নাটি তোৰ ঘুণে বিন্ধা টোকাৰিৰ সুৰে
                               আতোলতোলকৈ বুটলি লৈছে -
ব্ৰহ্মাণ্ডৰ ঠায়ে নোজোৰা সুৰৰ আগেৰে
বাট পাহৰা এটা নীলা চৰাই উৰি ফুৰিছে বেলি তিন পৰৰ আকাশখনেৰে -

চৰাইটোৰ ডেউকাৰে উঁহ ভাঙি নামি আহিছে উৎসৱময় গান ...



গধূলিৰ গান


এইকণ সুৰ লৈয়েই ময় বহুদুৰ পালোহি
মোৰ নিৰ্বোধ গানৰ ভাঙা আইনাত ঢলি পৰিছে মহাৰ্ঘ আকাশ

মোৰ আগে পিছে বৰষুণ, শস্যৰ গোন্ধেৰে ভৰা গধূলিৰ গান
মনৰ হেন্দোলি উঠা বাগিচাত মাটি-পানী-গছ-গছনিৰ কথোপকথন

নৈৰ পানী বাঢ়িছে তীব্ৰ দৃশ্যপটৰ মাজেৰে
বাঢ়ি আহিছে তোৰ দুৱাৰ-ধৰা হাতৰ তলেৰে সৰকি অহা
বাঢ়নি পানীৰ শব্দবোৰ


Poems of Hiren Bhattacharya(হীৰেন ভট্টাচাৰ্যৰ কবিতা) - ৪৭


পাল তৰা নাওখন


মই নৈৰ পাৰত বহি আছোঁ -
আনন্দে বিষাদে মোৰ সোঁৱৰণৰ কোষ কুশল হাতেৰে মেলি চাইছে
কান্দোনে সাৱটি ধৰিছে যোজনগন্ধা ৰাতিৰ নক্ষত্ৰ
                        আৰু অচিনাকী ফুলবোৰৰ সৰলতা

মই বহুদুৰ পামগৈ -
                       নৈৰ ভৰা শৰীৰেৰে বাজি উঠিছে বোধৰ শংখ

পাল তৰি দিছে নাৱৰীয়াই
নাও মোৰ শাওণৰ ঢৌ ভাঙি গৈ আছে কোনোবা মোহনা ঘাটেৰে -

বতাহত নিঢালে উৰিছে চিলা যেন ৰঙা পালখন ...



গানৰ দিগন্ত


আজি আকাশৰ আহৰি নাই, কত্থকে কথাকলিৰে উখলমাখল
ডাৱৰৰ কোমল কোলাত বিজুলী চমকেৰে মেঘৰঞ্জনীৰ মোহিনীঅট্টম -
নাচে গানে এহাতে চৈতি-বিৰ্‌হাৰ সুৰ
                                              আনহাতে বিহু-ভাৱাইয়াৰ বিননি

ডাৱৰে জানো পাহৰে গান, সুৰ-ভীক্ষু কণ্ঠৰ আৰ্ত আহ্বান -
দীঘল হৈ আহিছে মোৰ গানৰ দিগন্ত...



মোৰ বুকুৰ তলৰ শিপাডাল


মোৰ বুকুৰ তলতে শিপাডাল আছে -
তোৰ চকুৰ এচলু পানীৰে তিয়াই দে । চকুৰ পানী বৰ সাৰুৱা

উটনুৱা ডাৱৰবোৰ, আকাশখনত অনাইবনাই ফুৰিছে
তেনেই শুকান ডাৱৰবোৰ, ক'তো পানীৰ লেশ নাই,

বৰষুণ নহ'লে আকাশ  বৰ অকলশৰীয়া । বতাহো আমন-জিমনকৈ বলে ।

আজি বেলিমাৰৰ এবুকু পোহৰে আকোঁৱালি ধৰিছে
নৈখনেৰে জপিয়াই ফুৰা ঢৌবোৰ ।
দুৰত, বৰষুণ অনা ডাৱৰৰ মাত শুনিছোঁ । শেষ ৰাতিলৈ বৰষুণ হ'ব ।

কাইলৈ সাজিকাচি বেলিটো জক্‌মকাই ওলাব ...



জীৱন উৎসৱময়


আবতৰীয়া বৰষুণ । আৱাহন বিসৰ্জন নাই । দিয়েই আছে
একেটাই ভাৱ-ভংগী । এৰাধৰা নাই, একেবাৰে পটু পঢ়ুৱৈৰ পাঠ -
কোনোবা প্ৰযুক্তিমনাই গাঁৱে-ভুঁয়ে পানীৰ ভঁৰাল পাতিছে ।
ব'ল বৰষুণৰ মাজেৰে । ডাৱৰৰ পিঠিৰ পটত তিতা সাজপাৰে
তোক শুৱাই তুলিব । পানীচকুৱা আকাশখনত ৰ'দ বতাহৰ সনাপোটোকা চলিছে ।
নাচেবাগে গোটেইখন তল ওপৰ ...



ধান দে, কঠীয়া পাৰোঁ


ৰাতিপুৱাই ৰ'দে যেন ৰমলিয়াই আছে
বতাহত নতুন পাহি মেলি দিছে এটা পুৰণি গানে
মোৰ কাষতেই ধানৰ পথাৰ, মন গ'লেই হ'ল,
হাতবাউলেৰে উচটাই থাকে বোকা-মাটিয়ে -
মই আলিত বহি এতিয়াও সেই পুৰণি গানটোকে শুনি আছোঁ
মোৰ উমাল হাতত এমুঠি-দুমুঠিকৈ ধান দে, কঠীয়া পাৰোঁ



Poems of Hiren Bhattacharya(হীৰেন ভট্টাচাৰ্যৰ কবিতা) - ৪৬


তোৰ কান্দোনৰ আচলেৰে ৰ'দ


কাৰো চোতালতে ৰ'দ নাই
চাৰিওফালে নিসন্ধি আৱৰবোৰৰ হেতওপৰা
গোমোঠা আকাশখনেৰে হুৰ-হুৰকৈ
                             একোজাক বৰষুণ পৰিছে
আকৌ সঅৰ পাই উঠিল এটা পুৰণি কবিতাৰ উপমা -
তোৰ কান্দোনৰ চিৰলি আঁচলেৰে ৰ'দ বিৰিঙিছে
এডৰা জিলমিল ঘাঁহৰ দৰে



নিয়ৰ গ'ৰকি


তোৰ জীপাল ওঁঠত মোৰো জিৰাবৰ মন গৈছে
ধানৰ ঠোৰত ভৰ দি পৰিছে আহিনৰ পৰো-নপৰো নিয়ৰ টোপাল
বতাহত উৰি আহিছে গছে-পাতে সঁজাল ফুলৰ বঢ়া-টুটা বনৰীয়া গোন্ধ
ব'ল সৰুমাই, নিয়ৰ গ'ৰকি ঘৰলৈ যাওঁ...



সপোনোতো মোৰ বাঢ়নি পানীৰ ঢৌ


তই মোৰ ভালপোৱাৰ সোঁৱৰণ
এলানি সৰাপাতৰ মাজেৰে দীঘল দি পৰিছে মেলানিৰ ৰ'দ
শাওণৰ গধূৰ ডাৱৰবোৰ মোৰ বুকুৰ পতাৰে নামি আহিছে
বৰষুণ হ'ব খুব, প্ৰচুৰ বৰষুণ -
শব্দৰ এন্ধাৰেৰে বৈ যাব দীঘল দিনৰ ভালপোৱা
সপোনতো মোৰ বাঢ়নি পানীৰ ঢৌ...



আইদেউৰ গালেমুখে ৰ'দ


আইদেৱে চুলি মেলইছে
এহাতে ফণীখন আৰু আনখন হাতত আৰ্চি -

ৰাতিপুৱাৰ ৰ'দকন পনিয়লি বেৰ লগাই আইদেউৰ মুখত পৰিছে
চিকুণ চৰাই এজাক নীলা কৰ্চিপি আকাশখনেৰে উৰি গৈছে

খোপাত পিন্ধিবলৈ ল'ৰি গৈ আইদেৱে
পদূলিমুখৰ পৰা ডালে সৈতে এপাহ নৰাতগৰ ছিঙি আনিছে

আইদেউৰ গালে-মুখে ৰ'দ পিছলি পৰিছে ...


তৰাৰ দৰে উজাগৰে


আহিনৰ আকাশেৰে বনৰীয়া হাঁহ এজাক উৰি আহিছে -
সিঁহতৰ কোবাল ডেউকাত হাবিয়লি মাত;
ডাৱৰৰ পিঠিত হাত থৈ এঙাই থকা বতাহজাকে উষহাহ সলাইছে
মই দুৱাৰ খুলি বাহিৰলৈ ওলাই আহিছোঁ -
গধূলি-আকাশৰ কোলাত একে কোবে চুবুৰিৰে কেইটামান তৰাই উমলিছে
সিঁহতৰ গাত কিংবদন্তিৰ জেউতি

তৰবোৰ ৰাতি নোশোৱে; সাাৰে থকা তৰা একো একোটা নক্ষত্ৰ
আজি ময়ো সাৰে থাকিম তৰাবোৰৰ লগতে,
তৰা থকাৰ দৰে উজাগৰে...